1) পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরন বিভিন্ন হয় কেন ব্যাখ্যা কর। 2) পৃথিবীতে তোমার ওজন 50 কেজি চাঁদে তোমার ওজন কমে যায় কেন ব্যাখ্যা কর। 3) একটি চকচকে কাঁচের গ্লাসে কিছু পানি নাও। এবার গ্লাসের মধ্যে একটি পাথর ফেলে দাও। এবার নিচের কাজ গুলো কর ➡ গ্লাসের উপর দিয়ে পাথরটিকে সরাসরি দেখার চেষ্টা কর। ➡ কিছুটা তির্যকভাবে পাথরটিকে দেখার চেষ্টা কর। ➡ গ্লাসে যে পযর্ন্ত পানি আছে তার একটু নিচ থেকে দেখার চেষ্টা কর। ➡ তিনটি ক্ষেত্রে কী ঘটছে এবং কেন ঘটছে? ব্যাখ্যা কর
Answers
Answer:
অভিকর্ষজ ত্বরণ কি?
বল প্রয়োগ করলে কোন বস্তুর বেগের পরিবর্তন হয়। প্রতি সেকেন্ডে যে বেগ বৃদ্ধি পায় তাকে ত্বরণ বলে। অভিকর্ষ বলের প্রভাবেও বস্তুর ত্বরণ হয়। এ তরণকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বা মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ বলা হয়।
পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বিভিন্ন হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা:
যেহেতু বেগ বৃদ্ধির হারকে ত্বরণ বলে,
সুতরাং অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।
অভিকর্ষজ ত্বরণ কে g দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেহেতু অভিকর্ষজ ত্বরণ এক প্রকার ত্বরণ, এর একক হবে ত্বরণের একক অর্থাৎ মিটার/সেকেন্ড^২
ধরি, পৃথিবীর ভর =M, ভূপৃষ্ঠের বা এর নিকটে অবস্থিত কোন বস্তুর ভর =m, বস্তু ও পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্যবর্তী দূরত্ব =d
তাহলে মহাকর্ষ সূত্র অনুসারে অভিকর্ষ বল, F=GMm/d^2
আবার বলের পরিমাপ থেকে আমরা পাই, অভিকর্ষ বল = ভর X অভিকর্ষজ ত্বরণ
অর্থ্যাৎ , F=mg
উপরের দুটি সমীকরণ থেকে বলা যায়,
mg=GMm/d^2
বা, g= GM/d^2
এ সমীকরণের ডান পাশে বস্তুর ভর m অনুপস্থিত। সুতরাং অভিকর্ষজ ত্বরণ বস্তুর ভরের উপর নির্ভর করে না।
যেহেতু G এবং পৃথিবীর ভর M ধ্রুবক, তাই g-এর মান পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে বস্তুর দূরত্ব d-এর উপর নির্ভর করে।
সুতরাং g-এর মান বস্তু নিরপেক্ষ হলেও স্থান নিরপেক্ষ নয়। তাই বলা যায়, g-এর মানের ভিন্নতার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বিভিন্ন হয়।
যেহেতু বেগ বৃদ্ধির হারকে ত্বরণ বলে, সুতরাং অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে। অভিকর্ষজ ত্বরণ কে g দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেহেতু অভিকর্ষজ ত্বরণ এক প্রকার ত্বরণ, এর একক হবে ত্বরণের একক অর্থাৎ মিটার/সেকেন্ড^২।
ধরি, পৃথিবীর ভর =M, ভূপৃষ্ঠের বা এর নিকটে অবস্থিত কোন বস্তুর ভর =m, বস্তু ও পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্যবর্তী দূরত্ব =d। তাহলে মহাকর্ষ সূত্র অনুসারে অভিকর্ষ বল, F=GMm/d^2
আবার বলের পরিমাপ থেকে আমরা পাই, অভিকর্ষ বল = ভর X অভিকর্ষজ ত্বরণ
অর্থ্যাৎ , F=mg
উপরের দুটি সমীকরণ থেকে বলা যায়,
mg=GMm/d^2
বা, g= GM/d^2
এ সমীকরণের ডান পাশে বস্তুর ভর m অনুপস্থিত। সুতরাং অভিকর্ষজ ত্বরণ বস্তুর ভরের উপর নির্ভর করে না।
যেহেতু G এবং পৃথিবীর ভর M ধ্রুবক, তাই g-এর মান পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে বস্তুর দূরত্ব d-এর উপর নির্ভর করে।
সুতরাং g-এর মান বস্তু নিরপেক্ষ হলেও স্থান নিরপেক্ষ নয়। তাই বলা যায়, g-এর মানের ভিন্নতার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বিভিন্ন হয়।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বিভিন্ন হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে পারলাম।
২. পৃথিবীতে আমার ভর ৫০ কেজি। চাঁদে আমার ওজন কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হলো:
বস্তুর মধ্যে পদার্থের পরিমাণই হচ্ছে এর ভর। ভর হচ্ছে একটি ধ্রুবক রাশি যা ভূপৃষ্ঠে বা ভূপৃষ্ঠের উপরে বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয় না।
অর্থাৎ, পৃথিবীতে আমার ভর ৫০ কেজি হলে চাঁদেও ভর ৫০ কেজিই থাকবে।
বস্তুর ওজন বস্তুর মৌলিক ধর্ম নয়। কোন বস্তুর ওজন থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে।
যেহেতু, বস্তুর ভর একটি ধ্রুব রাশি; সুতরাং বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণ g এর উপর নির্ভর করে।
যেসব কারণে অভিকর্ষজ ত্বরণের পরিবর্তন ঘটে সেসব কারণে বস্তুর ওজনও পরিবর্তিত হয়।
ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে উঠা যায় বস্তুর ওজন তত কমতে থাকে। চাঁদের অভিকর্ষজনিত ত্বরণের মান পৃথিবীর প্রায় ১/৬ ভাগ।
তাই, পৃথিবীতে আমার ভর ৫০ কেজি হলেও চাঁদে আমার ওজন কমে যাবে।
বি.দ্রঃ চাঁদে ১ কেজি ভরের বস্তুর ওজন হবে প্রায় ১.৬৩ নিউটন (N)