একটি ড্রামে 160 লিটার কেরোসিন তেল ছিল । একটি ছিদ্র দিয়ে 10 লিটার তেল বেরিয়ে গেল । ড্রামে শতকরা কত লিটার তেল রইল
Answers
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, মাথা পিছু মাসে ৮৫০ মিলিলিটার কেরোসিন বন্টন করা যায়। সেই মতো ঝাড়গ্রাম মহকুমার জনসংখ্যা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১১১৭ কিলোলিটার কেরোসিন পেলেই হয়ে যায়। অথচ জঙ্গলমহলের এই মহকুমার জন্য এত দিন বরাদ্দ আসত, ১৪৮২ কিলোলিটার (১ কিলোলিটার অর্থাত্ ১ হাজার লিটার)। অর্থাত্ ৩৬৫ কিলোলিটার অতিরিক্ত!
আবার খড়্গপুর মহকুমার জনসংখ্যা অনুযায়ী যেখানে ১৯৯৮ কিলোলিটার কেরোসিন তেল প্রয়োজন সেখানে সরকারি ভাবেই তেল আসত ২২০২ কিলোলিটার। অর্থাত্ প্রয়োজনের তুলনায় ২০৪ কিলোলিটার বেশি!
অর্থাত্ পশ্চিম মেদিনীপুরের এই দুই মহকুমার জন্য মাসে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ৫৬৯ কিলোলিটার কেরোসিন আসত। এই বাড়তি কেরোসিন সাধারণ গ্রাহককে বন্টন করার জন্য বলা হলেও বাস্তবে এর পুরোটাই প্রায় খোলা বাজারে চলে যেত বলে অভিযোগ। রেশনে যেখানে কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ১৫ টাকা ৩১ পয়সা, সেখানে খোলাবাজারে তা ৩০-৩৭ টাকায় লিটারে বিক্রি হয়। দীর্ঘ দিন এই অনিয়ম চলেছে বলে অভিযোগ। এ বার তাই অতিরিক্ত বরাদ্দ কিছুটা ছাঁটাই করল সরকার। জঙ্গলমহলের মাওবাদী প্রভাবিত ব্লকগুলি বাদে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাকি সব ব্লকে মাথা পিছু সম পরিমাণ কেরোসিন বিলির নির্দেশ ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে।