একজন ব্যক্তি সরকারের গৃহীত তথ্য ও যোগাযোগ ভিত্তিক সেবা থেকে কীভাবে সহযোগিতা পেতে পারেন? বিষয়টির একটি শিরোনাম দিয়ে (250 শব্দের মধ্যে ) একটি প্রবন্ধ লিখ.
প্রবন্ধে যা যা থাকবে - ° ভূমিকা
° সেবাসমূহের তালিকা
° ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা
° প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবার গুরুত্ব
° উপসংহার
Answers
Answer:
সেবা:জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশের অনেক স্থানে টেলিমেডিসিন সেবা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া সরকারি হাসপাতালসমূহের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মোবাইল ফোনে বা এসএমএসে অভিযোগ পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্যখাতে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকরণ:ঘরে বসেই এখন আয় করদাতারা তাদের আয়করের হিসাব করতে পারেন এবং রিটার্ন তৈরি ও দাখিল করতে পারেন। টাকা স্থানান্তর: পোস্টাল ক্যাশ কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম ইত্যাদির মাধ্যমে বর্তমানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অর্থ প্রেরণ সহজ ও দ্রুত হয়েছে এছাড়া ইন্টারনেট ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজে টাকা স্থানান্তরিত করা যায়। পরিসেবার বিল পরিশোধ: নাগরিক সুবিধার একটি বড় অংশ হল বিদ্যুৎ, পানি কিংবা গ্যাস সরবরাহ। এইসকল পরিষেবার বিল পরিশোধ করতে পূর্বে গ্রাহকের অনেক ভোগান্তি হত।বর্তমানে অনলাইনে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসকল বিল পরিশোধ করা যায়। পরিবহন: বর্তমানে অনলাইনে বা মোবাইল ফোনে ট্রেন, বাস বা বিমানের টিকেট সংগ্রহ করা যায়। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন: সরকারি কর্মকান্ডে আইসিটি প্রয়োগের মাধ্যমে সরকারি সেবার মান উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি স্বয়ংক্রিয়করনের একটি উদাহরণ দেওয়া হল। ব্যবসার উদ্দেশ্যে যখন কোন কোম্পানি বা ফার্ম গঠন করা হয়, তখন সেটিকে সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হতে হবে। বাংলাদেশের নিবন্ধনের এরকম একটি প্রতিষ্ঠান হল রেজিস্ট্রার অফ জয়েন্ট স্টক কম্পানিস এন্ড ফার্মস।ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবাডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের মানুষের জন্য ডিজিটাল সেবা দিতে হবে।বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা চালু করতে হবে নিচে প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো: ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থা: অনলাইনের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত সকল তথ্য মালিকানার নিবন্ধন ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা। ডিজিটাল স্থানীয় প্রশাসন: কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন সকল পর্যায়ে কাজে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা। ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা: জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার নিশ্চিত করা। যোগাযোগ ক্ষেত্রে: আধুনিক বিশ্ব কে বলা হয় গ্লোবাল ভিলেজ প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ স্থাপন করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠলে দেশের প্রতিটি মানুষ বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তি মহাসড়কে সঠিকভাবে প্রবেশ করতে পারবে। অনলাইন তথ্যকেন্দ্র স্থাপন: অনলাইন ভিত্তিক তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করতে পারলে দেশের সকল মানুষ তার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সহজেই জানতে পারবে। যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য অত্যন্ত আবশ্যক।প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার গুরুত্ব:আধুনিক জীবন যাপনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে করেছে উন্নত, জীবন যাপনকে করেছে সহজ। তথ্যপ্রযুক্তি মূলত একটি সমন্বিত মাধ্যম অডিও, ভিডিও , টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটিং সম্প্রসারণসহ আরো বহু প্রযুক্তির সম্মিলনের দীর্ঘদিন ধরে চর্চার ফলে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধি লাভ করছে। তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লব বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে।এর ফলে অসংখ্য নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা, যোগাযোগ , নানা ধরনের সেবা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইলফোনের ব্যাপক প্রসারের ফলে প্রধানত গ্রামাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাই বলা যায়, মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে, মানব জাতির কল্যাণে উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম এবং প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।উপসংহার:সম্ভাবনা উজ্জ্বল দুয়ারে দাঁড়ানো একটি দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এ দেশের উন্নতি কে ত্বরান্বিত করতে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির নির্ভর দেশ গঠনের কোনো বিকল্প নেই। আর তাই আমাদের আরো বেশি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর হতে হবে এবং এই খাতকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে
17 নভেম্বর মন্তব্য করা হয়েছে করেছেন হারুন অর রশিদ
বেশ ভালো হয়েছে।
1 উত্তর
0
টি ভোট
18 নভেম্বর উত্তর প্রদান করেছেন MK Måhäbűb alom (15 পয়েন্ট)
ভূমিকাঃ“Information is power”অর্থাৎ তথ্যই শক্তি। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে অগ্রসর হওয়ার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ ও। আধুনিক বিশ্বের সকল উন্নত প্রযুক্তির আছে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির অবিস্মরণীয় বিপ্লব, ফলে পৃথিবীর মানচিত্র এক হয়ে গেছে।সেবা সমূহের তালিকা: ই-পর্চা: জমিজমার বিভিন্ন রেকর্ড সংগ্রহের জন্য পূর্বে অনেক হয়রানি হত, বর্তমানে দেশের 64 টি জেলায় ই-সেবা কেন্দ্র থেকে তা সহজেই সংগ্রহ করা যায়।এই জন্য অনলাইনে আবেদন করে আবেদনকারী জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারে। এর ফলে জনগণ খুব সহজেই সেবা পাচ্ছেন।অন্যদিকে সেবা প্রদানের সময় তথ্যাদি ডিজিটাল কৃত হয়ে যাচ্ছে ফলে ভবিষ্যতে তথ্যপ্রাপ্তির পথ সহজ হচ্ছে। ই-বুক: সকল পাঠ্যপুস্তক অনলাইনে সহজে প্রাপ্তির জন্য সরকারিভাবে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তক ও সহায়ক পুস্তক রয়েছে ই-পুর্জি: চিনিকলের পূর্জি স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছে এবং
সম্প