৪. “কি লজ্জা! দুঃখের কথা হায় কব কারে?’– কে, কেন একথা বলেছেন? বক্তার মনােভাব আলােচনা করাে।
5. ‘মিথ্যা কথা, নাথ। বক্তা কোন কথাকে ‘মিথ্যা বলেছেন? কীভাবে তিনি নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করেছেন?
Answers
Explanation:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ কর্তার ভূত ’ রচনায় আমরা দেখি ‘ দেশের মধ্যে দুটো একটা মানুষ ’ দিনের বেলায় ভূতের নায়েবের ভয়ে চুপ করে থাকে । কিন্তু তারাই গভীর রাতে বুড়াে কর্তার দ্বারস্থ হয় । তারা হাতজোড় করে বুড়াে কর্তাকে প্রশ্ন করে , “ কর্তা , এখনাে কি ছাড়বার সময় হয়নি ? ” বুড়াে কর্তা এ কথা শুনে তাদের ‘ অবােধ ’ সম্বােধন করে বলেন যে , তিনি তাদের যেমন ধরেও রাখেননি , তেমনি ছেড়েও যাননি । তারা বুড়াে কর্তাকে ছাড়লে তবেই তিনি তাদের ছেড়ে চলে যাবেন । সেকথা শুনে ওইসব মানুষ জানায় যে , তেমনটা করতে তারা খুবই ভয় পায় । + এখানে বুড়াে কর্তা সরাসরিই জানিয়েছেন যে , মানুষের মনের ভয়ের মধ্যেই ভূত অবস্থান করে । আসলে আলােচ্য কাহিনিটিতে রবীন্দ্রনাথ বলতে চেয়েছেন , আত্মশক্তি এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবেই ভীত - সন্ত্রস্ত দেশবাসী আজ ‘ পঞ্চত্বপ্রাপ্ত ‘ সর্বাঙ্গাসম্পন্ন প্রাচীন সভ্যতার ’ ‘ প্রেতযােনি ’ - কে আঁকড়ে রয়েছে । জনগণের ভয়ের কারণেই দেশে জীর্ণ ও অপ্রাসঙ্গিক ধর্মীয় সংস্কার ও ধর্মতন্ত্র এখনও বাসা বেঁধে রয়েছে । বুড়াে কর্তার এই কথাটির মধ্য দিয়ে সেই সত্যটিই প্রকাশ করা হয়েছে । তাই বলা যায় , আমাদের সর্বাঙ্গাসম্পন্ন