5.
কোনাে গােলকাকার গ্যাস বেলুন ফোলাবার সময়ে তার ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্য 7সেমি. থেকে 21 সেমি. হলে
বেলুনটির পূর্বের ও পরের সমগ্রতলের ক্ষেত্রফলের অনুপাত নির্ণয় করি।
অর্ধগােলাকৃতি একটি বাটি তৈরি করতে 127= বর্গ সেমি. পাত লেগেছে। বাটিটির মুখের ব্যাসের দৈর্ঘ্য
হিসাব করে লিখি।
6.
7.
একটি নিরেট লােহার গােলার ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্য 2.1 সেমি.। ওই গােলাটিতে কত ঘন সেমি. লােহা আছে
তা হিসাব করে লিখি এবং ওই লােহার গােলার বক্রতলের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করি।
please answer these question with explanation.....
It is urgent for me..
Answers
Answer:
বর্তমান যুগের বিমানের অভূতপূর্ব উন্নতির আগে আকাশপথে যাত্রী পরিবহনের জন্য আকার-আকৃতি এবং বিলাসবহুলতায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল জার্মানির জেপলিন এয়ারশিপ কোম্পানির বায়ুতরী। এই এয়ারশিপ বা বায়ুতরী আকারে অনেকটা চুরুটের মতো হতো। সামনে ও পেছনের দিকে চাপা আর মাঝের অংশ নলাকার। মজবুত ধাতব কাঠামোর উপরে বিশেষ পদ্ধতিতে নির্মিত আচ্ছাদন দিয়ে বেলুনের মতো সেই অংশটি ঢেকে দেয়া হত। অতিকায় সেই চুরুট আকৃতির বেলুনের নিচের অংশে থাকতো নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আর যাত্রীদের বসার জায়গা।
হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করে বায়ুতরী নির্মাণের কাজ শুরু হয় আঠারো শতক থেকেই। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে কিংবা যাত্রী পরিবহনের কাজে নির্ভরযোগ্য আকাশযান নির্মাণ করতে এর নির্মাতাদের সময় লেগে যায় আরও এক শতাব্দীর মতো। ১৯০০ সালে গ্রাফ ভন জেপলিন নামের এক জার্মান নির্মাতা তার প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত প্রথম বায়ুতরী জনসমক্ষে নিয়ে আসেন। সেই আকাশযানে কিছু ত্রুটি থেকে যাবার কারণে সকলের মাঝে বিশেষ ধরনের এই আকাশযান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্র
থম বিশ্বযুদ্ধের সময় কেবল যুদ্ধের কাজে ব্যবহার হয় জেপলিন কোম্পানির নির্মিত এই বিশেষায়িত বেলুন। ধীরে ধীরে প্রস্তুতকারকের নাম অনুযায়ী জেপলিন নামে পরিচিতি পায় এই ধরনের বায়ুতরী। সে সময়ের যেকোনো সমুদ্রগামী জলযান থেকে প্রায় অর্ধেক সময়ে লম্বা দূরত্ব পাড়ি দিতে পারায় অল্প দিনেই যাত্রী পরিবহনের কাজেও এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। নানা সময় বিভিন্ন দেশ জেপলিন নির্মাণ এবং ব্যবহার করলেও ইতিহাসের পাতায় হিন্ডেনবার্গ বায়ুতরীর নামটি বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। এর সাথে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাই হয়তো একে অন্য সকল জেপলিন থেকে আলাদা করে তুলেছে। হিন্ডেনবার্গ আকাশযানকে তাই অনেক ইতিহাসবিদ আকাশপথের টাইটানিকও বলে থাকেন।
Image Source: Amazon
হিন্ডেনবার্গ ছিল জেপলিন কোম্পানির নির্মিত বিশেষায়িত শ্রেণীর প্রথম বায়ুতরী। 'হিন্ডেনবার্গ' নামটি দেয়া হয় জার্মানির প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ফিল্ড মার্শাল পল ভন হিন্ডেনবার্গের নামানুসারে। যদিও এর কারগরি নাম ছিল এল. জেড ১২৯। ১৯৩১ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৩৬ সালে। দৈর্ঘের দিক দিয়ে নির্দ্বিধায় সেটি ছিল বিশালাকারের। ৮০৩ ফুট দৈর্ঘ্যের হিন্ডেনবার্গ জেপলিনটি আকারে বোয়িং ৭৮৭ বিমান থেকে প্রায় ৪ গুণ বড় ছিল। অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্কর ধাতু ডুরালুমিন ব্যবহার করে হিন্ডেনবার্গের কাঠামো তৈরি করা হয়। হিন্ডেনবার্গের উপরের দিকে থাকা বিশাল গ্যাস চেম্বারগুলো সব মিলিয়ে ৭ মিলিয়ন ঘন ফুট হাইড্রোজেন গ্যাস ধারণ করতে পারত।