8) পিতা স্বাভাবিক ও মাতা হিমােফিলিয়ার বাহক হলে সন্তানেরা কেমন হবে?
Answers
Answer:
ছেলে-মেয়েদের ওপর মাতা-পিতার অধিকার ও শ্রেষ্ঠত্বের কথা কেউ অস্বীকার করতে পারে না। এই পৃথিবীতে সন্তান তথা ছেলে-মেয়েদের অস্তিত্ব লাভের কারণই হচ্ছে মাতা-পিতা। সুতরাং সন্তানের উপর তাদের অধিকার যে কত বড়, কত ব্যাপক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভূমিষ্ট লাভের পর সন্তানকে তারাই লালন-পালন করেন। সন্তানের আরামের জন্য ক্লান্তি বহন করেছেন, তাদের নিদ্রার জন্য নিজেরা জাগ্রত থেকেছেন। তোমার মা তোমাকে তার উদরে ধারণ করেছেন। যেখানে দীর্ঘ নয় মাসাধিক সময় তারই খাদ্য ও স্বাস্থের উপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করেছ। এ দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ্ তাআলা তার বাণীতে বলেন, حَمَلَتۡهُ أُمُّهُۥ وَهۡنًا عَلَىٰ وَهۡنٖ [لقمان: ١٤ তাকে তার মা দুর্বল থেকে দুর্বলতর অবস্থার মধ্য দিয়ে পেটে ধারণ করেছেন।’ [সূরা লুকমান: ১৪] অতঃপর সে মা-ই আরো দু’বছর পর্যন্ত অসীম কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করে তাকে দুধ পান করিয়েছেন, তার সেবা যত্ন করেছেন। শৈশব থেকে নিজের পায়ে দাড়ানোর পূর্ব পর্যন্ত পিতা তার সন্তানের জীবন ধারণ, তার সুখ-স্বাচ্ছন্দ ও খাদ্য-বস্ত্রের জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়েছেন। তার শিক্ষা-দীক্ষা এবং পরিচালনার যাবতীয় ব্যবস্থা সে পিতাই করেছেন। অর্থাৎ এমন অবস্থায় পিতা-মাতা তাদের সন্তানের জন্য সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব বহন করেছেন যখন তুমি তোমার ভালো-মন্দ এবং কল্যাণ-অকল্যাণের কোনো ক্ষমতাই রাখতে না। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা সন্তানকে মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার ও কৃতজ্ঞতার আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরানে বলেন, وَوَصَّيۡنَا ٱلۡإِنسَٰنَ بِوَٰلِدَيۡهِ حَمَلَتۡهُ أُمُّهُۥ وَهۡنًا عَلَىٰ وَهۡنٖ وَفِصَٰلُهُۥ فِي عَامَيۡنِ أَنِ ٱشۡكُرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيۡكَ إِلَيَّ ٱلۡمَصِيرُ ١٤ [لقمان: ١٤] আর আমরা লোকদেরকে আমার এবং তাদের মাতা-পিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য উপদেশ দিয়েছি, তার মা তাকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর অবস্থার মধ্য দিয়ে পেটে ধারণ করেছে এবং দু’বছর পর্যন্ত দুধ পান করিয়েছে-আর তাদেরকে আমার নিকটই প্রত্যাবর্তন করতে হবে।’ [সূরা লুকমান: ১৪] আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেন, وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنًاۚ إِمَّا يَبۡلُغَنَّ عِندَكَ ٱلۡكِبَرَ أَحَدُهُمَآ أَوۡ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَآ أُفّٖ وَلَا تَنۡهَرۡهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوۡلٗا كَرِيمٗا ٢٣ وَٱخۡفِضۡ لَهُمَا جَنَاحَ ٱلذُّلِّ مِنَ ٱلرَّحۡمَةِ وَقُل رَّبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤ [الاسراء: ٢٣، ٢٤] আর মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার কর। তাদের কোন একজন অথবা উভয়ই যখন তোমাদের কাছে বার্ধক্যে উপনীত হয়, তাদের বেলা উফ (উহ) এই শব্দটিও উচ্চারণ করো না এবং রূঢ় ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের দূরে সরিয়ে দিও না। বরং তাদের উভয়ের সাথেই ভদ্রভাবে কথাবার্তা বলো। তাদের জন্য তোমার আনুগত্য ও দয়ার হস্ত প্রসারিত করে দাও এবং আমার নিকট এই বলে প্রার্থনা কর: হে রব ! তাদের অনুরূপ দয়া করো যেমনটি তারা করেছেন আমার সাথে আমার শৈশবে।’ [সূরা আল-ইসরা: ২৩-২৪] মাতা-পিতার অধিকার এই যে, কথা ও কাজে এবং শারীরিক ও আর্থিক উভয় দিক দিয়েই ছেলে-মেয়েদেরকে তাদের সাথে সদ্ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কথায়
Explanation: helpful to you