8.
‘সব মিলিয়ে লেখালেখি রীতিমতাে ছােটোখাটো একটা অনুষ্ঠান’—প্রবন্ধ অনুসরণে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে
৫.
‘সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে’ – কবিতা অনুসরণে পরিস্থিতিটির বিবরণ দাও।
Answers
Answer:
Profile picture for user avimanyu pramanik
Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 08/27/2021 - 12:34
Share iconShare on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn Share via Messenger Share via Viber Share via WhatsApp
প্রশ্ন:- "সব মিলিয়ে লেখালেখি রীতিমতো ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান"— প্রবন্ধ অনুসরণে মন্তব্যটির বিশ্লেষণ কর ।
উত্তর:- আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটি 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে । লেখক শ্রীপান্থ তাঁর কিশোর বয়সের লেখাপড়া বিষয়ে উপরিউক্ত মন্তব্যটি করেছেন । লেখক গ্রামের ছেলে ছিলেন বলে লেখাপড়ার প্রথম জীবনে ফাউন্টেন পেন হাতে পায়নি । বাঁশের কঞ্চির কলম ব্যবহার করতেন । যে কলম তিনি নিজের হাতে তৈরি করতেন । কলমের কালিও তাঁকে তৈরি করে নিতে হত । কলমের মুখটা সূঁচালো করে কেটে আবার মাঝখান দিয়ে চিরে দিতেন । দোয়াতের কালিতে কলম ডুবিয়ে ডুবিয়ে লিখতেন । কালি তৈরীর জন্য বাড়ির রান্নার কড়াই -এর তলার কালি লাউ পাতা দিয়ে ঘষে তুলে পাথরের বাটিতে জলে গুলে নিতেন । কালি বেশি ভালো করার জন্য অর্থাৎ যাতে দীর্ঘক্ষণ লেখা স্থায়ী থাকে তার জন্য আতপ চাল ভেজে গুঁড়ো করে কালিতে মেশাতেন এবং হরিতকী ঘসে পোড়া খন্তির ছ্যাঁকা দিতেন । লেখক দোয়াতের কালি আর বাঁশের কঞ্চি অনেকদিন ব্যবহার করতেন । কৈশোরে এইভাবে লেখাপড়া করার প্রসঙ্গে লেখক উপরিউক্ত মন্তব্য করেছেন ।
লেখক শ্রীপান্থ কঞ্চির কলম ছেড়ে ছিলেন শহরে এসে হাইস্কুলে ভর্তি হবার পর । প্রথমে কালির বড়ি দিয়ে লিখতেন । পরে কাজল কালি, সুলেখা কালি বাজারে কিনতে পাওয়া গেলে সেই দিয়ে লেখাপড়ার কাজ করতেন । খাতার লেখা ভালোভাবে শুকিয়ে নেয়ার জন্য ব্লটিং পেপার বা বালি ব্যবহার করতেন । লেখাপড়ার জন্য বিশেষ করে লেখালেখির জন্য, সঠিক জায়গায় লেখা উপস্থাপিত করার জন্য বিশাল আয়োজন করতে হত । এই সব কারণে লেখক উক্ত মন্তব্য করেছেন ।