History, asked by Rajlaxmisikdar, 9 months ago

গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে
A কলকাতায়
B) দিল্লিতে
© বােম্বাইয়ে
D মাদ্রাজে​

Answers

Answered by akritibhardwaj0208
1

Answer:

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই আগস্ট ভারতবর্ষ ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। শাসনতন্ত্র অনুসারে দেশ পরিচালিত হয় আর এই শাসনতন্ত্রই হল সংবিধান। ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারত ও পাকিস্তানের সংবিধান রচনার জন্য দুটি পৃথক গণপরিষদ গঠনের কথা বলেন। গণপরিষদ হল ভারতের সংবিধান রচনার জন্য বিভিন্ন প্রদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি পরিষদ। ভারত স্বাধীন হওয়ার আগেই ক্যাবিনেট কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে এই গণপরিষদ গঠিত হয়েছিল। ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদ ছিলেন এই গণপরিষদের সভাপতি। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ ই ডিসেম্বর থেকে ২৩ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদের সভাপতিত্বে এই গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে এই গণপরিষদের কোনো সার্বভৌম ক্ষমতা ছিল না। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ১৮ ই জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘ভারতের স্বাধীনতা আইন’ বিধিবদ্ধ হলে ভারতীয় গণপরিষদ সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হয় এবং সংবিধান রচনার কাজ শুরু করে। ভারতীয় গণপরিষদে প্রদেশ এবং দেশীয় রাজ্যগুলির মোট ৩০৭ জন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। এই গণপরিষদ ২ বছর ১১ মাস ১৮ দিন ধরে স্বাধীন ভারতের সংবিধান রচনা করে। এই সময় গণপরিষদের মোট ১১ টি অধিবেশন বসেছিল। ডঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকর -এর নেতৃত্বে সংবিধানের একটি খসড়া কমিটি (Draft Committee) গঠিত হয়।  সংবিধান সভা যে সংবিধান রচনা করেছিল, তা ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে নভেম্বর ভারতীয় গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং গণপরিষদের সভাপতি ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ এতে স্বাক্ষর করেন। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ‘ভারত শাসন আইন’ অনুসারে এই সংবিধান রচিত হয়েছিল। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জানুয়ারি থেকে এই নতুন সংবিধান অনুসারে ভারত শাসন শুরু হয়। ভারতের সংবিধান রচনাকালে যেসব প্রখ্যাত মনীষীদের ভূমিকা ছিল তাঁদের মধ্যে ডঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকর, ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদ, ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ, জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, গোবিন্দবল্লভ পন্থ, আবুল কালাম আজাদ, আচার্য জে.বি. কৃপালনী, কে.এম. মুন্সী, টি.টি. কৃষ্ণমাচারী, গোপালস্বামী আয়ার, আল্লাদি কৃষ্ণস্বামী আয়ার, পুরুষোত্তমদাস ট্যান্ডন প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

গণপরিষদের সদস্যদের নিয়ে বেশ কয়েকটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠিত হয়। সংবিধানের নানা খুঁটিনাটি দিক বিচার করে গণপরিষদ তাঁদের রিপোর্ট পেশ করে। তারপর খসড়া কমিটির হাতে সংবিধানের চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ডঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকর ছিলেন ভারতের খসড়া সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রদত্ত রিপোর্ট এবং তথ্য বিচার-বিবেচনা করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সংবিধানটি গণপরিষদে পেশ করা হয়। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে নভেম্বর সেটি গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং স্থির হয় ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জানুয়ারি দিনটি থেকে এই সংবিধান কার্যকর হবে। কুড়ি বছর আগে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জানুয়ারি ভারতবাসী প্রথম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছিল। সেই শুভ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই ২৬ শে জানুয়ারি দিনটি বেছে নেওয়া হয়। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জানুয়ারি থেকে ভারতের নতুন সংবিধান বলবৎ হয়। ওই দিন থেকে ভারতবর্ষ স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র রূপে আত্ম প্রকাশ করে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতবর্ষকে সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র রূপে ঘোষণা করা ছাড়াও আরও কতকগুলি উদ্দেশ্য ব্যক্ত হয়েছে। সেগুলি হল সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা, চিন্তা, মতামত প্রকাশ, ধর্মবিশ্বাস এবং পূজাঅর্চনার স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং সুযোগের ক্ষেত্রে সমতা এবং ব্যক্তিগত মর্যাদা ও জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করা।

সংবিধানের প্রস্তাবনায় মূল বয়ানটি এরূপ :

Explanation:

Answered by Anonymous
9

Answer:

(C) বোম্বাইতে

Explanation:

Hope it helps you.....

Similar questions