anyone from kolkata answer this
আমার জীবনের একটি স্মরণীয় দিন
essay......250-300words
Answers
উম্মে মাসিজা বৃষ্টি
০১ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০:০০
আমার এই ছোট্ট জীবনে যদি কোনো স্মরণীয় ঘটনা থাকে তাহলে সেটা আমার স্কুল জীবন। আমার বয়স যখন ছয় বছর তখন আমার বাবা আমাকে খুব ভোরে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললেন। তখন আমি কোনো কিছু ভালোভাবে বুঝতে পারতাম না। আমার বাবা আমাকে গোসল করিয়ে দিলেন। তখন আমার মা আমার জন্য নাস্তা তৈরি করে আনলেন। নাস্তা খেয়ে আমি আমার বাবার সাথে স্কুলে রওনা হলাম। স্কুলটি আমার বাড়ি থেকে খুব কাছে হওয়ার আমরা হেঁটে চললাম। আমরা যখন স্কুলে পৌঁছেছিলাম তখন দেখলাম আমার মত আরও ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা খেলাধুলা করছে। তাদেরকে দেখে আমারও খেলতে ইচ্ছে করল। তখন আমার বাবা বললেন, তাদের সাথে খেলতে হলে তোমাকে আগে স্কুলে ভর্তি হতে হবে। তারপর আমার বাবা আমাকে ১ম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দিলেন। তারপর স্কুলের সহকারী শিক্ষক আমাকে আামার নিজস্ব ক্লাসে নিয়ে গেলেন। সেখানে আমি আমার ক্লাসের সহপাঠীদের দেখতে পেলাম। তাদেরকে দেখে আমার ভীতি অনুভব হল। তারপর আমি আমার শ্রেণিতে প্রবেশ করার পর কিছু বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব হলাম। ক্লাসের আমার রোল ২ বলে ঘোষণা করা হলো। সেই দিনটি ছিল আমার খুব চমকপ্রদ এক বৈচিত্রময় দিন। টিফিন ঘণ্টায় আমি আমার বেশ কিছু বন্ধুর সাথে খেলার জন্যে মাঠে গেলাম। আমার বন্ধুরা আমার সাথে খুব আনন্দের সাথে খেললো। তারপর থেকে আমার মা আমাকে বিদ্যালয়ে আনে। আমাকে আমার শ্রেণি শিক্ষক বললেন_ তুমি জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারবে। আমার স্কুল জীবনের প্রথম দিন যেমন সুন্দর আকর্ষণীয় ছিল তেমন আমার স্কুলের প্রাইমারি জীবনটাও ছিল খুবই দুঃখের। আমার স্কুল জীবনের প্রথম ও শেষ দিন স্মরণীয়। আমি যখন ৫ম শ্রেণিতে পড়ি তখন আমি একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলাম। পরীক্ষাটি হলো প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট। আমি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই এবং এই পরীক্ষায় ফলাফল নিয়ে আমি গর্বিত হই। এই পরীক্ষাটি দেয়ার পর এই বিদ্যালয় থেকে স্বাভাবিক কারণেই আমাকে বিদায় নিতে হলো। পাঁচ বছর পাঠদান করার পর এই বিদ্যালয়ে আমার অনেক স্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে। যেইদিন আমার স্কুলটি আমাকে ছেড়ে দিতে হল সেই দিনটি ছিল আরো স্মরণীয়। সেই বিদ্যালয়ের অনুভূতির ঘটনা আজও আমার মনে পড়ে।
বিদ্যালয়ের শেষ দিনটি ছিল বিরল এক স্মৃতি। এ স্মৃতির জন্যে আমি মনে মনে ব্যাকুল হই। শৈশবের সেই দিনগুলো আজও আমার চোখের মধ্যে ভেসে উঠে।
লেখক : মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
জীবনের একটি স্মরণীয় দিন -
ভূমিকা : আমাদের জীবন হলো অদৃষ্টের টানে এগিয়ে চলা এক রোমাঞ্চকর যাত্রা। এই রোমাঞ্চকর যাত্রায় আমরা অনেক স্মরণীয় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে পড়ি এবং সেরকমই আমার জীবনের এক স্মরণীয় ঘটনার বর্ণনা করে এই রচনাটি লিখলাম।
বর্ণনা : ঘটনাটি ঘটেছিলো আমার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশের দিনে। সকাল থেকেই পরীক্ষার ফলের জন্য অত্যন্ত চিন্তিত ছিলাম,যদিও সব পরীক্ষা ভালোই হয়েছিলো তবুও কোন অসাধারণ ফলের আশা একদমই ছিলো না। তারপর ফলপ্রকাশের সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফলাফল দেখতেই চমকে উঠেছিলাম। সব বিষয়ে মোটামুটি আশা মতোন নাম্বার পেলেও, গণিতে অপ্রত্যাশিতভাবে ১০০ পেয়েছিলাম। গণিতের এই অভাবনীয় ফল আমাকে এবং আমার পরিবারকে অত্যন্ত খুশি করেছিলো। আমার গণিতের শিক্ষকও আমার এই ভালো ফলাফলে অত্যন্ত খুশি হয়েছিলো।
উপসংহার : স্মৃতি আমাদের সকলের বেঁচে থাকাদ অন্যতম রসদ,তাই আমাদের সকলেরই উচিৎ বিভিন্ন ভালো স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে আমাদের স্মরণকে রত্নালঙ্কারে সাজিয়ে তোলা।