ইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন কেন ?বিষয় :ইতিহাস ।' assessment criteria'
Answers
Answer:
first please don't mind spelling mistakes because i dont know bengali language.
Explanation:
second ,ইতিহাস হ'ল ইতিহাসের প্যাটার্ন পরিবর্তনের অধ্যয়ন। ইতিহাসে দু'টি কাল এক নয় al এটা পরিবর্তন অধ্যয়ন। সময়ের সাথে সাথে যে পরিবর্তনগুলি ঘটে তা ইতিহাসের মূল উপাদানকে গঠন করে। ইতিহাস অধ্যয়ন করে আমরা জানার চেষ্টা করি কীভাবে বিষয়গুলি অতীতে ছিল এবং বছরের পর বছরগুলিতে সেগুলি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল। আমরা আজ যে জিনিসগুলি দেখতে পাই তার মূলে রয়েছে অতীত।
সময়ের সাথে সাথে ইতিহাস বিকশিত হয়েছে এবং বিকশিত হয়েছে। একবার এটি শক্তিশালী ব্যক্তিদের জীবন (ব্যক্তিত্ব-ভিত্তিক) এর চারদিকে ঘোরে। এখন, ইতিহাস সাধারণ মানুষের, তাদের জীবন এবং নতুন ধারণা সম্পর্কে অধ্যয়ন হয়ে উঠেছে। সময়ের সাথে সমাজ এবং অর্থনীতি কীভাবে পরিবর্তিত হয় তা নিয়ে এটি একটি গবেষণা হয়ে দাঁড়িয়েছে,
ইতিহাসের তারিখগুলি ঘটনার সাথে যুক্ত। কিছু ইভেন্টের জন্য, উদাহরণস্বরূপ যুদ্ধগুলি, নির্দিষ্ট তারিখগুলি বরাদ্দ করা যেতে পারে। তবে কিছু প্রক্রিয়াগুলির জন্য, কোনও নির্দিষ্ট তারিখ থাকতে পারে না। এই প্রক্রিয়াগুলি দীর্ঘ সময় ধরে ঘটে এবং আমরা কেবল সেগুলিকেই শতাব্দী নির্ধারণ করতে পারি।
ইতিহাস পাঠ জরুরী এই কারনে যে-
১. সমাজ এবং সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল। আজকে আমরা যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক আবহাওয়ায় আছি তা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ। পরিবর্তন গুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকলে বর্তমান আমাদের হাতছাড়া হয়ে অন্যের দখলে চলে যাবে।
২. নিত্যদিন আমাদের উপর সমাজ এবং রাস্ট্র নতুন নতুন নিয়ম কানুন,আইন এমনকি জীবন যাপনের কৌশল চাপিয়ে দিচ্ছে। কেন, কি কারনে, কোন ধারাবাহিকতায় আমরা এই conflicts গুলোর মুখোমুখি হচ্ছি এবং সেগুলো বোঝা, ধারণ এবং বর্জনের জন্য ইতিহাস পাঠ সহায়ক।
৩. ইতিহাস লোভ, ত্যাগ, সংগ্রাম, ক্ষয় এবং জয়- এর সবকিছুই ধারণ করে- সব গল্পই বলার চেষ্টা করে; হতে পারে সেটা নিরপেক্ষ বা biased. এর মধ্যে থেকেই আমরা নিজ লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা নিতে পারি।
৪. মানুষ এবং মানবগোষ্ঠী নিজের অজান্তেই কিছু ভয়াবহ শক্তিশালী চলক বা variable দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা পরিচালিত হয়, যেমন ধর্ম, ভাষা, জাতীয়তাবোধ ইত্যাদি। এগুলোর যে কোন একটি বা একাধিকের সমষ্টি যে কোন সময় সময়ের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে- বয়ে নিয়ে আসতে পারে মুক্তি অথবা চরম বিপর্যয়। হাজার বছরের ইতিহাস গাঁথা সেই গল্পই লিখে গেছে। এটি অনুপ্রেরণা বা সাবধানতা দু ভাবেই কাজ করতে পারে।
৫. আমাদের প্রতিদিনের গল্পই আগামী কালের ইতিহাস। এ গল্পে ব্যাক্তিক, গোষ্ঠীয়, সামাজিক এবং রাস্ট্রীয় পর্যায়ে হয় আমরা অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করছি বা অন্যের দারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছি। এ এক নিরন্তর অস্তিত্তের যুদ্ধ। এ যুদ্ধে যার ইতিহাস জ্ঞান যতো বেশী তার টিকে থাকবার সম্ভাবনাও ততো বেশী।
৬. আপনি যে রাস্ট্রের নাগরিকই হন না কেন- আজকে আপনি যে ভুগোলে আছেন শত বা হাজার বছর আগে হয়তো তার অস্তিত্তই ছিল না। আমার জানা দরকার আমি কোথায় আছি, কেন আছি, কিভাবে আছি। ৭. আপনার যাকে খুশী আপনি ঘৃণা করুন অথবা অনুসরণ করুন। ইতিহাস পাঠ না করলে জানা অসম্ভব আপনি কাকে ঘৃণা করবেন আর কাকে অনুসরণ করবেন।