Brindabon soforer oviggota????
Answers
Answer: সেকন মন্দির বা শ্রী কৃষ্ণ বলরাম মন্দিরটি বৃন্দাবনের অন্যতম বৃহত্তম, পরিষ্কার ও সুন্দর মন্দির। মন্দির কমপ্লেক্সে অনেকগুলি বিল্ডিং রয়েছে, সেগুলির প্রতিটি সাদা মার্বেল দ্বারা নির্মিত। সন্ধ্যা :00 টা নাগাদ অনেক ভক্ত প্রাঙ্গণে গান ও নাচের জন্য আসতে শুরু করেন। কীর্তনটি আমার চোখে জল এনেছিল এবং আমি সত্যিই নাচের মতো অনুভব করেছি, এগুলি এই মন্দির এবং লোকদের সুন্দর কম্পন। নৈবেদ্যর জন্য বেশ কয়েকটি ভারতীয় মহিলা ফুলের মালা তৈরির চারপাশে বসে দেখতে পারেন। মূল বেদীতে রাধা ও কৃষ্ণের মূর্তিগুলি মনোরম। একটি ভাল ধারণাটি এই মন্দিরটি প্রথমে সন্ধ্যা :00 টা ৪০ মিনিটে দেখার এবং তারপরে সন্ধ্যা :00 টা ৩০ মিনিটে প্রেমের মন্দিরে যান to তারা একে অপরের খুব কাছাকাছি। এটি পবিত্র শহর বৃন্দাবনে আপনার সেরা রাত তৈরি করবে।
Explanation:
বৃন্দাবনঃ মথুরা থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে যমুনার তীরে মন্দিরময় বৃন্দাবনের বার্তমান পরিধি মাত্র ৭ কিমি হলেও কৃষ্ণদাস কবিরাজের ভাষায় চৌরাশি ক্রোশ বেষ্টিত শ্রীব্রজমণ্ডল বা ব্রজভুমি। ধর্মপ্রাণ বৈষ্ণব তীর্থযাত্রীরা ২১ দিনে ব্রজ পরিক্রমা সমাপ্ত করে দর্শন করেন প্রায় হাজার চারেক কৃষ্ণলীলাস্থল। এখানে দেখুন-
মদনগোপাল মন্দির- খ্রিষ্টীয় ষোলোশতকে নির্মিত এই মন্দিরের শিলালিপি থেকে জানা যায় রামচন্দ্রের পুত্র গুনানন্দ এটি তৈরি করান। অবশ্য প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে এ নিয়ে মতভেদ আছে। জনশ্রুতি এই যে রামদাস বা কৃষ্ণদাস নামে জনৈক মুলতানি বনিক মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠাকরেন। ঔরঙ্গজেবের রষানল থেকে বাঁচাতে মদনমোহন বিগ্রহকে করৌলিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
গোপীনাথ মন্দির- জয়পুরের রাজপুত্র রায় শিলাজি নির্মিত গোপীনাথ মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী কিছুটা মদনমোহন মন্দিরের মতো। রায় শিলাজি ছিলেন আকবরের সেনাপতি এবং শোনা যায় এই ঐতিহাসিক মন্দির নির্মাণের ব্যাপারে বাদশাহ স্বয়ং খুব উৎসাহী ছিলেন।
গোবিন্দজি মন্দির- ১৫৯০ সালে জয়পুরের রাজা মানসিংহের হাতে গড়া এই মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে। গ্রিক স্থাপত্যরীতিতে তৈরি করা মন্দিরটি আদিতে ছিল সাততলা। ঔরঙ্গজব ওপরের চারটি তলা ধ্বংস করেন। ঔরঙ্গজেবের হাত থেকে বাঁচাতে আদিমূর্তি সেই সময় জয়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়। বলা হয় গোবিন্দর অনুপম মুখমণ্ডল, গোপীনাথের প্রশস্ত বক্ষদেশ ও মদনমোহনের শ্রীচরণযুগল দর্শন করলে বৃন্দাবনের শ্রীকৃষ্ণ দর্শন সম্পুর্ন হয়।