essay on corona pandemic in Bengali language
Answers
Answer:
করোনভাইরাস সিভিডি -১৯ মহামারীটি হ'ল আমাদের সময়ের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংকট এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আমরা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। গত বছরের শেষ দিকে এশিয়ায় উত্থানের পর থেকে এন্টার্কটিকা ছাড়া ভাইরাসটি প্রতিটি মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
আমরা এখন এক মিলিয়ন মৃত্যুর মর্মান্তিক মাইলফলক পৌঁছেছি, এবং মানব পরিবার ক্ষতির প্রায় অসহনীয় বোঝার মধ্যে ভুগছে।
"আরোহী মৃতের সংখ্যা বিস্ময়কর এবং এই ভাইরাসের বিস্তার কমিয়ে আনার জন্য আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।" - ইউএনডিপি প্রশাসক আছিম স্টেইনার।
তবে মহামারীটি স্বাস্থ্য সংকটের চেয়ে অনেক বেশি, এটি একটি অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক সঙ্কটও। যে দেশগুলি এটি স্পর্শ করে তাদের প্রত্যেককে জোর দিয়ে, এটি বিধ্বংসী সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি করার সম্ভাবনা রাখে যা গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী দাগ ফেলে দেবে। ইউএনডিপি হ'ল জাতিসংঘের আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধারের প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব, স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি ডাব্লুএইচওর নেতৃত্বে এবং গ্লোবাল হিউম্যানিস্টিটিভ রেসপন্স প্ল্যান এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীদের নেতৃত্বে কাজ করা।
প্রতিদিন মানুষ চাকরি এবং আয় হারাচ্ছে, কখন স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে তা জানার উপায় নেই। ছোট দ্বীপের দেশগুলি, পর্যটন উপর নির্ভরশীল, খালি হোটেল এবং নির্জন সৈকত আছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা অনুমান করে যে ৪০০ মিলিয়ন চাকরি হারাতে পারে।
বিশ্বব্যাংক এই বছর রেমিট্যান্সগুলিতে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্রাসের প্রকল্প করেছে, যার অর্থ হতে পারে ৮০০ মিলিয়ন মানুষ তাদের প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে না।
ইউএনডিপি সাড়া
প্রতিটি দেশকে প্রস্তুত, প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং পুনরুদ্ধারের জন্য অবিলম্বে কাজ করা দরকার। জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস সবচেয়ে দুর্বলতার জন্য মার্কিন $ 2 বিলিয়ন বিশ্বব্যাপী মানবিক প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা চালু করেছেন। উন্নয়নশীল দেশগুলি কমপক্ষে ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের ক্ষতি করতে পারে এবং জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনে তাদের সহায়তা করার জন্য ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আহ্বান জানিয়েছে।
ইবোলা, এইচআইভি, এসএআরএস, টিবি এবং ম্যালেরিয়া যেমন আমাদের অন্যান্য প্রাদুর্ভাবের পাশাপাশি আমাদের বেসরকারী ও সরকারী খাতের সাথে কাজ করার দীর্ঘ ইতিহাস নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা আঁকার, ইউএনডিপি দেশগুলিকে জরুরী ও কার্যকরভাবে COVID-19 তে সাড়া দিতে সহায়তা করবে দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য হ্রাস এবং সংকট ও ধাক্কায় স্থিতিস্থাপকতা তৈরির লক্ষ্য।
ইউএনডিপি'র COVID-19 সঙ্কটের প্রতিক্রিয়ার পরবর্তী ধাপটি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের পুনরুদ্ধারের বাইরে, ২০৩০ সালের দিকে নজর দেওয়া, চারটি মূল ক্ষেত্রের মধ্যে জটিলতা এবং অনিশ্চয়তা পরিচালনা এবং পরিচালনা করতে সহায়তা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে: প্রশাসন, সামাজিক সুরক্ষা, সবুজ অর্থনীতি এবং ডিজিটাল ব্যাহত। এটি জাতিসংঘের আর্থ-সামাজিক প্রতিক্রিয়া প্রযুক্তিগতভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকে অন্তর্ভুক্ত করে।
Answer:
মহামারীর ইতিবৃত্ত, এবং মানবজাতির আবহমানকালের লড়াই
করোনাভাইরাসের আগে যত ভাইরাস এবং ব্যাক্টিরিয়া এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়েছে মানবজাতি? এপিডেমিক কীভাবে পরিণত হয় প্যানডেমিকে? লিখলেন আইসিএমআর-এর প্রাক্তন বৈজ্ঞানিক ডাঃ অসিত রঞ্জন ঘোষ
শিয়রে শমন। কোভিড-১৯। মনে করিয়ে দিচ্ছে, প্রাচীন ভারতের ‘হরপ্পা-মহেঞ্জোদাড়ো’ বা প্রাচীন চীনের ‘হামিন মাঙ্ঘ্যা’ ও ‘মিয়াওঝিগউ’-এর ইতিহাস। সম্ভবত যূথবদ্ধ ও ঘনিষ্ঠ বসবাসের দরুন, ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাবে অজানা মারণ রোগের শিকার হয়েছিল মানুষ। তাই কোভিড-১৯ এর নিদারুন সময়ে কতগুলি কথা সবার জানা উচিত, যা আমাদেরকে গৃহবন্দী থাকতে আস্বস্ত করবে, এবং এই অতিমারীকে জয় করতে আত্মস্থ করবে।
বর্তমান পৃথিবীর পারিবারিক সদস্য প্রায় ৮০০ কোটি। মানুষের শরীরে আছে এর হাজার গুণের বেশী জীবনের একক বা কোষ। অর্থাৎ প্রায় ৮০০ হাজার কোটি কোষ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো এরা প্রকার ভেদে প্রায় ২১০ রকমের। সংখ্যা, আকার ও প্রকারভেদে আলাদা আলাদা। আমরা খালি চোখে যে কণা বা বিন্দু দেখতে সক্ষম (১০০ মাইক্রন) তার দশভাগের এক ভাগ আকারের কম-বেশী – আমাদের দেহকোষ (১০ মাইক্রন), যা খালি চোখে দেখা যায় না। আবার প্রত্যেক শ্রেণীর কোষের নিজস্ব জীবনধারা ও জীবনচক্র আছে। কেউ মাত্র কয়েক ঘন্টা, আবার কেউ মানুষের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
আমাদের দেহে এরকম গড়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কোষ জন্মাচ্ছে ও মরছে। মানুষ সহ সমস্ত জীবই নিরন্তর তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পরিবেশের কুপ্রভাবের সঙ্গে পঞ্জা কষে চলেছে। তাই পরিবেশ-পরিজন ভালো হলে যেমন আমরা ভালো থাকি, অন্যথায় ভুগি, কোষ-সমাজেও এমনটাই ঘটে। বিপত্তিতে কোষের সংখ্যার হেরফের হয়। অন্যতম কারণগুলির একটি হলো – জীবাণুর সংক্রমণ। জন্মসূত্রে দেহকোষগুলি স্বজাতিদের সম্পর্কে শিক্ষিত ও অভিযোজিত হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী শরীরকে একটা সুর-সঙ্গমের মধ্যে আবদ্ধ রাখে, এবং আমরা সুস্থ থাকি। কিন্তু বিজাতীয় কেউ শরীরে অনুপ্রবেশ করলে, বিশেষ কিছু কোষ তখন দেহের সাম্য বজায় রাখতে নিজেদের সংখ্যা বাড়িয়ে বিজাতীয়র উপর আক্রমণ শানায়। এরা মুলত অনাক্রম্য কোষ, থাকে দেহব্যাপী, প্রধানত রক্ত ও লসিকায়, নাম ও কাজের বিভিন্নতায় শ্বেত রক্তকোষ।
আমাদের দেহে গড়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কোষ জন্মাচ্ছে ও মরছে। ছবি: অরুল হরিজন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
যুদ্ধের ফলস্বরূপ সামান্য হাঁচি, সর্দি, নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি, জ্বর শুরু হয় – যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘ইনফ্লেমেশন’ বা প্রদাহ বলা হয়। এই শ্রেণীর কোষবহুল সর্বদা আমাদেরকে পরিবেশের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করে যাচ্ছে। এরাই আমাদের দেহের প্রথম সারির সৈনিক কোষ বা পাহারাদার, সিবিআই। এবং এটাই জন্মগত বা সহজাত অনাক্রম্যতা বা ইমিউনিটি। একটু অচেনা বুঝলেই লড়াই শুরু।
প্রাথমিক এই দশার উত্তরণের জন্য দেহের জওয়ান কোষগুলি সক্রিয় হয়ে, বিদেশী অজ্ঞাত শত্রুকে পরাস্ত করে। তাতে অবশ্য এক থেকে পাঁচ দিন লেগেই যায়। যদি দেহ সঙ্কেত পায় যে শত্রুকে প্রাথমিকভাবে কাবু করা গেল না, বশে আনা গেল না, তখন অভিযোজিত অনাক্রম্যতা সক্রিয় হয়ে পড়ে। তা শুরু হয় তিন থেকে সাতদিনের মাথায়। এবার বেশ শক্তিশালী হাতিয়ার – টি কোষ ও বি কোষ – যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। প্রথম ক্ষেত্রে বিশেষ অনাক্রম্য কোষ জীবানুকে গলাধঃকরন করে, কেটে-ছিঁড়ে, তার টুকরো বয়ে এনে টি কোষকে সঙ্কেত দিলে, টি কোষ উজ্জিবীত ও সক্রিয় হয়ে বহু রাসায়নিক সঙ্কেত সৃষ্টি করে। তা দিয়েই অনুপ্রবিষ্ট শত্রু (অ্যান্টিজেন) যথেষ্ট কাবু ও পরাস্ত হয়ে পড়ে। তা না হলে এই রাসায়নিক সঙ্কেতের ভাষায় উদ্দীপ্ত ও সৃষ্ট হয় জীবানু আগ্রাসী বিশেষ টি কোষ এবং পরাক্রমী বি কোষ – যারা তৈরি করে অ্যান্টিবডি এবং স্মৃতিধর বি ও টি কোষ। অনাক্রম্য কোষ সমূহের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সৃষ্ট রসায়ন সম্ভারের অনুশীলিত পরিচালনায়, মানবদেহ সুরক্ষিত থাকে।
Request:
Please follow me...
And Mark this answer as Brainiest answer....