Essay writing on একটি উৎসবের স্মৃতি
Answers
Answer:
উৎসব হলো আনন্দময় অনুষ্ঠান।আর আমরা বাঙালিরা উৎসব প্রিয়।উৎসবের মধ্যেই রয়েছে বাঙালির আনন্দ। তাই বাঙালির ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের মেঘ বার বার ঘনিয়ে এলেও বাঙালির আনন্দস্রোতে ভাটা কখনো পড়েনি। বাঙালি নানান রঙে বার বার সাজিয়েছে তার উৎসবের ডালি।উৎসবের দিনের আনন্দের মুহূর্ত গুলোকে বাঙালি ছড়িয়ে রেখেছে তার বিস্তৃত জীবনের আঙিনায়।
কল্যাণী ইচ্ছাই উৎসবের প্রাণ:
“বাঙালি ঘরকুনে” এ অপবাদ আমাদের সকলেরই জানা কিন্তু তাই বলে বাঙালি কখনই আত্মকেন্দ্রিক নয়। আত্মকেন্দ্রিক মানে আপনাতে আপনি বদ্ধ।কিন্তু বাঙালি যদি আপনাতে আপনি বদ্ধ হতো তাহলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ হতনা। আমার আনন্দে সকলের আনন্দ হোক,আমার আনন্দ আরো পাঁচ জন উপভোগ করুক – এই কল্যাণী ইচ্ছাই হলো উৎসবের প্রাণ।সকল বাঙালির মনে এই ইচ্ছে আছে বলেই
সবাই মিলেমিশে উৎসবে মেতে উঠে।
উৎসবের শ্রেণীকরণ:
বাংলার
Answer:
একটা উৎসবমুখর দিনের স্মৃতি মাঝে মাঝেই মনেপড়ে। ঘটনাটি বছর চারেক আগের। তখন আমি বালিগঞ্জে থাকি। দিনটা দুর্গাপূজার অষ্টমী কি নবমী, ঠিক মনে পড়ছে না ।এমনিতেই দক্ষিণ কলকাতার পূজোগুলো যেমন বিগ বাজেটের হয় তেমনি জন জোয়ারের চাপ ও থাকে একটু বেশী। স্ত্রী পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে সেদিন বেশ কয়েকটা পুজো প্যান্ডেল ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখলাম। ফেরার সময় আমার এক পরিচিত দম্পতি বন্ধুর সাথে দেখা। তারা গড়িয়া হাটের কাছে একটা বড় পূজা প্যান্ডেলের দিকে যাচ্ছে এবং তাদের অনুরোধে আমরাও তাদের পায়ে পা মেলালাম । কখনো আইসক্রিম কখনো ঠান্ডা পানীয় খেতে খেতে জন প্লাবনের মধ্যেই ধীরে ধীরে সেই পূজা প্যান্ডেলের সম্মুখে পৌঁছে গেলাম। পাট দিয়ে প্যান্ডেল ও ঠাকুরের অমন কাজ সত্যিই শিল্পীর অসাধারণ দক্ষতার বলিষ্ঠ দাবী রাখে। কয়েক মুহূর্ত যেন দেব লোক থেকে বিচরণ করে এলাম বলে মনে হল। এরপর বাইরে বেরিয়ে প্যান্ডেল সংলগ্ন একটা ভেলপুরীর দোকানে দাঁড়িয়ে সবাই ভেলপুরী খাচ্ছিলাম। হঠাৎই পাশ থেকে একটা পোড়া গন্ধ নাকে এল। মাথা ঘুরিয়ে তার উৎস খুঁজে দেখতেই বুকের ভেতর তা কেমন ঠান্ডা হয়ে গেল। পাটের প্যান্ডেলের পেছন দিকে, ঠিক হাত তিনেক দূরে ডাই করে ফেলে রাখা প্লাস্টিকের আবর্জনায় কেউ মনে হয় ধূমপানের জ্বলন্ত অবশিষ্ট অংশটি ফেলায় তাতে সবে আগুন ধরে উঠেছে। কি করব, কাকে বলব কিছু বুঝতে না পেরে পাশের কফির দোকানের মিনারেল ওয়াটারের বড় জারটি নিয়ে ছুট লাগলাম আগুন নেভাতে। সব জলটাই ঢেলে দিলাম তাতে। আগুনটা পুরোপুরি নিভে যেতেই খুব স্বস্তি পেলাম।
কফির দোকানের মালিক প্রথমে রাগারাগি করলেও পরে আসন্ন ভয়াবহ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ায় ক্ষমা চেয়ে নেন। এরপর গরম গরম কফিতে চুমুক দিয়ে বাড়ির পথে পা বাড়ালাম।
Explanation:
HOPE THIS ANSWER HELPS YOU IF SO HIT A THANKS
MARK ME AS BRAINLIEST.