History, asked by risitapaul4162, 11 months ago

History project
topic-
ভারতীয় চিত্রকলা, গুহাচিএ
(ভীমবেটকা থেকে অজন্তা)
point-
1.সূচনা
2.প্রকল্পের উদ্দেশ্য
3.তথ্য সংগ্রহ
4.উপক
5.বিষয়ভিত্তিক আলোচনা
6.বিশ্লেষণ করা
7.সিদ্ধান্ত
8.কৃতজ্ঞতা স্বীকার
plz help...​

Answers

Answered by chironnag99
4

Answer:

প্রাচীন গুহাচিত্র- এই শব্দটি মাথায় আসলে চোখের সামনে ঘুরতে থাকে বড় বড় সব গুহা এবং তার বিশাল বিশাল সব প্রাচীরে অংকিত চিত্রকর্ম ও চারপাশে বন্যপরিবেশ। এরকম একটি ছবি হয়তো নিজের কল্পনায় তৈরি হয়ে থাকে। কারণ আমরা যা জানি বা কোন সময়ে একটু হয়তো দেখে থাকি, তারই হয়তো একটা কাল্পনিক ছবি আমাদের মাথায় জমা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এরকম কোনো বিষয় আমাদের সামনে আসলে হয়তো আমাদের মস্তিস্ক আমাদের কল্পনায় ঐ ছবিগুলোই প্রতিফলিত করতে থাকে।

তবে যা-ই হোক না কেন, প্রাচীন এই গুহাচিত্রগুলোর এক সুবিশাল ইতিহাস আছে। এবং গুহাচিত্রগুলোর মাধ্যমে যে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে একটু হলেও জানতে পারি তা ভাবতেই ভালো লাগে। যেহেতু আমরা জানি, জিনের মাধ্যমে মানুষের বৈশিষ্ট্য বংশ পরম্পরায় ছড়িয়ে পড়ে, তাই খুব জানতে ইচ্ছা করে, আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষরা কী করেছে আর আমরা এখন কী করছি? এর মধ্যে একটু হলেও কি যোগসূত্র পাওয়া যায়?

ভীমবেটকা শব্দটি এসেছে হিন্দি শব্দ ভিমবাইথকা থেকে, যার অর্থ ভীমের (মহাভারত কাব্যের পঞ্চ পাণ্ডবদের এক ভাই) বসার স্থান। এটি ভারতের মধ্য প্রদেশে রাইসেন জেলায় অবস্থিত এবং ভোপাল শহরের ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বিন্ধ্য (মধ্য ভারতের একটি নিম্ন উচ্চাতার পর্বতমালা) পর্বতের দক্ষিণ ঢালে এর অবস্থান। ভীমবেটকা গুহাতে পাথরের প্রাচীরের উপর যে চিত্রগুলো পাওয়া যায়, তা নিঃসন্দেহে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এখানে প্রাপ্ত কিছু কিছু চিত্রের বয়স খ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় ৩০ হাজার বছর আগেকার!

Explanation:

ভীমবেটকা গুহার প্রস্তরে অংকিত চিত্রের বিষয়বস্তু

ভীমবেটকা গুহাতে আঁকা চিত্রের বিষয়গুলো প্রাচীনকালে অংকিত অন্য যেকোনো গুহাচিত্রের চেয়ে বেশ সমৃদ্ধ। এই গুহার প্রাচীরগুলোতে শুধু একটি বিষয়েই নয়, বরং বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে আঁকা হয়েছে। এখানে মানুষের প্রতীকী অবয়ব থেকে শুরু করে শিকারের দৃশ্য, ধর্মীয় চিহ্নসহ অনেক বিষয়ই স্থান পেয়েছে।

চিত্রগুলোকে বোঝার সুবিধার্থে কয়েক শ্রেণীতে বিভক্ত করা যেতে পারে। যেমন- মানুষের অবয়ব (নর-নারী), প্রাণী (বিভিন্ন প্রজাতির), শিকারের দৃশ্য, রণসংগীত, নৃত্যানুষ্ঠান, পৌরাণিক কাহিনী এবং বিভিন্ন নকশার মাধ্যমে অলংকারিক সাজসজ্জা।

ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ মথপালের মতে, এখানে প্রাপ্ত মানুষের অবয়বের এর সংখ্যা ২,৩৩০ এবং তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত; যেমন- পুরুষ, মহিলা, ছেলে, মেয়ে, শিশু, মানুষের প্রতীকি অবয়ব, শিকারি, ঘোড়া চালক, হাতি চালক, ষাড় চালক, সৈন্য, বাদ্যযন্ত্র বাদক, কুঠার হাতে মানুষ, বিভিন্ন কর্মকান্ডে ব্যস্ত মানুষ, আচার-অনুষ্ঠান এবং মা দেবী।অঙ্কনশৈলী

শিল্প হচ্ছে একজন শিল্পীর মাথায় কল্পিত ধ্যানধারণার বাস্তবরূপ। আর শৈলী (Style)-কে বলা যেতে পারে শিল্পীর শিল্প রচনার নিজস্ব বুদ্ধিভিত্তিক কৌশল। এককথায়, তিনি কীভাবে তার চিন্তাভাবনাকে বাস্তবে রূপ দান করবেন। এতে করে একজন শিল্পীর নিজস্ব শৈলী ও কৌশল প্রকাশ পায়। আর যেহেতু আমরা এক মানুষ থেকে অন্য মানুষ ভিন্ন এবং চিন্তাভাবনার ধরনও ভিন্ন, তাই আমাদের অঙ্কনশৈলীও জনে জনে ভিন্ন হবে। সর্বোচ্চ হয়তো প্রভাবিত হতে পারে।

ভীমবেটকায় প্রাপ্ত চিত্রগুলো পর্যবেক্ষণ করলে প্রধানত তিন ধরনের শৈলীর চিত্র লক্ষ্য করা যায়।

ন্যাচারিলিস্টিক কৌশল: মশিবর্ণ ছায়া-পরিলেখা (Silhouetted), সুন্দরভাবে সজ্জিত, চিত্রগুলো আংশিকভাবে পরিপূর্ণ, রেখার মাধ্যমে ন্যাচারিলিস্টিকভাবে অংকিত।

জিওমেট্রিক কৌশল: মশিবর্ণ ছায়া-পরিলেখা (Silhouetted), সুন্দরভাবে সজ্জিত, চিত্রগুলো আংশিকভাবে পরিপূর্ণ, রেখার মাধ্যমে জ্যমিতিক প্যাটার্নে অংকিত।

বিমূর্ত পদ্ধতি: মশিবর্ণ ছায়া-পরিলেখা (Silhouetted), সুন্দরভাবে সজ্জিত, চিত্রগুলো আংশিকভাবে পরিপূর্ণ, রেখার মাধ্যমে অংকিত।

ভি. এস. বাকঙ্কর ১৯৭৬ সালে ভীমবেটকায় প্রাপ্ত গুহাচিত্রগুলোকে ৫টি যুগ এবং ২০টি শৈলীতে বিভক্ত করেন।

Answered by apa34659
3

Answer:

বিষয়বস্তু পয়েন্ট history class 11 2022

Similar questions