(i) বায়ু ক্ষয়কার্যে সৃষ্ট ভূমি
Answers
Answer:
sorry
Explanation:
I don't understand your language
উষ্ণ মরু অঞ্চলে বায়ুর গতিবেগ ও বায়ুর বালিকনার পরিমানের ওপর ক্ষয়কার্যের ক্ষমতা নির্ভর করে। মরু অঞ্চলে বায়ুর অবঘর্ষজনিত ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট প্রধান ভূমিরূপ গুলি হল –
১. ভেন্টিফ্যাক্ট – মরু অঞ্চলে একটি নিদিষ্ট দিক থেকে সারা বছর প্রবল বেগে বায়ু প্রবাহিত হলে বায়ু প্রবাহের দিকে শিলা ক্রমাগত ক্ষয় পেয়ে মসৃন ও সূচালো হয়। এগুলিকে ভেন্টিফ্যাক্ট বলে।
উদাহরণ – কালাহারি মরূভূমিতে ভেন্টিফ্যাক্ট দেখা যায়।
২. ড্রেইকান্টার – যে সব মরু অঞ্চলে বিভিন্ন দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয় সেখানে শিলা বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষয় পেয়ে মসৃন হয়। এরূপ বিভিন্ন দিকে থেকে মসৃন শিলাকে ড্রেইকান্টার বলে।
উদাহরণ – সাহারা মরুভূমিতে এরূপ দেখা যায়।
৩. গৌর – মরু অঞ্চলে কোন উঁচু বড়ো শিলাখন্ডের নিচের অংশ কোমল শিলাস্তর দ্বারা গঠিত হলে অবঘর্ষ পদ্ধতিতে নীচের অংশ দ্রুত ক্ষয় পেয়ে সরু হয়ে যায়। ফলে ওপরের অংশ ব্যাঙের ছাতার মতো চওড়া ও চ্যাপ্টা হয়ে অবস্থান করে। এদের গৌর বলে। আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে গৌর দেখা যায়।
৪. জুইগেন – মরু অঞ্চল কঠিন ও কোমল শিলাস্তর ওপর নীচে সমান্তরাল ভাবে অবস্থান করলে এবং কোন ভাবে ভূপৃষ্টের কঠিন শিলার নীচে থাকা কোমল শিলা উন্মুক্ত হলে তা বেশি হারে ক্ষয়িত হয়। এভাবে কঠিন শিলায় কম ক্ষয় এবং কোমল শিলায় বেশি ক্ষয়ের জন্য কোথাও মোটা এবং কোথাও সরু শৈলশিরার তৈরি হয়। একে জুইগেন বলে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সোনেরান মরুভূমিতে এরূপ জুইগেন দেখা যায়।
৫. ইয়ার্দাং – মরু অঞ্চলে বায়ুর গতিপথে ভূ-পৃষ্টের কঠিন ও কোমল শিলা পাশাপাশি উল্লম্ব বা একনত ভাবে অবস্থান করলে কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয়িত হয়ে যায় এবং কঠিন শিলাগুলি দীর্ঘাকার সারিবদ্ধ ভাবে অবস্থান করে। এদের ইয়ার্দাং বলে। তুর্কিস্থানের মরুভূমিতে এরুপ ভূমিরূপ দেখতে পাওয়া যায়।
৬. ইনসেলবার্জ – মরু অঞ্চলে দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষয়ের ফলে বিস্তৃর্ন অঞ্চল সমপ্রায়ভূমিতে পরিনত হয়। এরূপ সমপ্রায়ভূমিতে অপেক্ষাকৃত কঠিন শিলা অনেক সময় অনুচ্চ টিলার আকারে বিচ্ছিন্ন ভাবে অবস্থান করে। প্রায় সমতল বা গোলাকৃতি শিখর বিশিষ্ট টিলাকে ভূ-বিজ্ঞানী পার্সাজ ইনসেলবার্জ বলেছেন। দক্ষিন আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমিতে ইনসেলবার্জ লক্ষ্য করা যায়।
৭. মেসা ও বিউট – মরু অঞ্চলের কোন মালভূমি দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষয়ের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে টেবিলের মতো সমতল আকৃতিযুক্ত খাড়া উঁচু ভূমিরূপে অবস্থান করে, একে মেসা বলে। মেসা অপেক্ষা ক্ষুদ্র বিচ্ছিন্ন ছোটো ছোটো ঢিপি কে বিউট বলে।
৮. রেগ ও হামাদা – মরু অঞ্চলের বালুকনা সমূহ বায়ুর দ্বারা অপসারিত হলে কেবলমাত্র নুড়ি, প্রস্তর খন্ড ইত্যাদি সঞ্চিত অবস্থায় পাওয়া যায়। সাহারায় এরূপ প্রস্তর ময় মরুভূমিকে রেগ বলে। অপেক্ষাকৃত বড় বড় প্রস্তর খন্ড দিয়ে গঠিত মরুভূমিকে হামাদা বলে।