लेखकाचे जीवनातील कोणत्या प्रसंगाचे वर्णन प्रस्तुत उतार्यात आलेले आहे
Answers
Answer:
Edogan
Explanation:
এরদোয়ান: শরবত বিক্রেতা থেকে প্রেসিডেন্ট হয়ে উঠা
আরো প্রায় সাড়ে চার যুগ আগের কথা তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে রুটি আর শরবত বিক্রি করতেন এক সুদর্শন যুবক। সেখান থেকে যে টাকা লাভ হতো তা দিয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ চালাতেন পাশাপাশি ভাই-বোনের পড়ালেখার খরচও চালাতেন। এরপরও যদি কিছু টাকা থেকে বেঁচে যেতো সে টাকা দিয়ে বই কিনতেন। এভাবে ছাত্র বয়সে তার একটা বিশাল লাইব্রেরিও হয়ে গেল, অবসর সময় বইয়ের সাথে কাটাতেন। অবশ্য ভালো ফুটবলও খেলতেন, বিভিন্ন ক্লাব থেকে ডাক পরতো খেলার জন্য। ছোটকালে স্বপ্ন দেখতেন বড়ো হয়ে একজন ফুটবলার হবেন। কিন্তু মা-বাবা বলতেন- না, তুমি পড়ালেখা কর, বড়ো হয়ে ভালো চাকুরি করবে। ছেলেটি বড়ো হয়ে না হলো তার স্বপ্নের ফুটবলার না হলো বাবা মায়ের স্বপ্নের চাকুরিজীবি! অথচ হয়ে গেল, একটি জাতির চেঞ্জ মেকার। কোটি কোটি মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাসের আশ্রয়স্থল!
নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গেলেন কার কথা বলছি! হ্যা, বলছি তুরস্কের রিসেফ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের কথা।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪, রবিবারে তানযিলে হানিম ও আহমদ এরদোয়ান দম্পত্তির কোল আলোকিত করে জন্ম নেন এক ফুটফুটে সন্তান। আরবিতে তখন রজব মাস। তাই বাবা-মা আরবি মাসের সাথে মিল রেখে রেজেপ, দাদার নাম থেকে নেয়া তায়্যিপ আর বংশীয় উপাধি এরদোয়ান যোগ করে শিশুটির নাম রাখেন 'রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ান'।
সংসারে টানাপোড়নের মধ্যেই এরদোয়ানকে বড়ো হতে হলো, পিয়ালেপাশা প্রাইমারি স্কুলেই এরদোয়ানের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি। এরদোয়ান ক্লাসে যেমন ছিলেন মেধাবী, তেমন ছিলেন উত্তম আমলধারী। একদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ঢুকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ নামাজ পড়াতে পারবে?” পুরো ক্লাসে মাত্র একজন শিক্ষার্থী সাহস করে হাত তুললেন, এবং নামাজ পড়ালেন। ছাত্ররা তখন তাঁকে রীতিমতো 'হুজাম' বলে ডাকতো। অর্থাৎ বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় 'আমাদের শিক্ষক'। ছোটবেলায় হুজাম উপাধি পাওয়া ছেলেটাই আজকের রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ান। পড়ালেখার পাশাপাশি তাঁকে ইস্তাম্বুলের রাস্তায় রুটি আর শরবত বিক্রি করতে হতো কারণ পরিবারে তখন টানাপোড়েনের মধ্যেই যাচ্ছে, একবেলা খাচ্ছে তো অন্যবেলা না খেয়ে আছে।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একবার এক মাদ্রাসা কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন,
“যখন বাল্যকালে আমি মাদ্রাসাতে পড়তে যেতাম, তখন আমার এলাকার কিছু মানুষ আমাকে বলতেন;
'বেটা! কেন নিজ হাতে তোমার ভবিষ্যত খারাপ করছো? তুমি কি বড়ো হয়ে মুর্দা (মৃতদেহ) নাহলানোর (গোসল করিয়ে পাক করে দেওয়া) কাজ করবে?
See more...
https://www.facebook.com/groups/273386747640026/permalink/355561476089219/?app=fbl