বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপন উৎসব করার আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে একটি চিঠি লেখ। Please answer it
Answers
Answer:
Explanation:
সবুজতে বৃক্ষরোপণ ড্রাইভ আয়োজিত
উডস স্কুল
সারা দেশে চলমান বৃক্ষরোপণ অভিযানের মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের চেতনাকে বাঁচিয়ে রেখে গত সপ্তাহে গ্রিন উডস গ্লোবাল স্কুলে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের আশেপাশে এবং আশেপাশের এলাকায় 5000 টি গাছ লাগিয়েছিলেন। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সকল গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বৃক্ষরোপণ অভিযানেও অবদান রেখেছিলেন।
অনুষ্ঠানে জনসভায় বক্তব্য রেখে মেয়র বাসিন্দাদের চারা স্বাস্থ্যকর যত্ন নিশ্চিত করার জন্য আবেদন করেন। তিনি সমাজে বিশুদ্ধ পরিবেশ তৈরির জন্য প্রতিটি চারা 100% বেঁচে থাকার এবং স্বাস্থ্যকর বিকাশের জন্য প্রতিটি গাছের সুস্থ বিকাশের জন্য তাদের বাড়ির নিকটে লাগানো চারাগুলি গ্রহণ করার আহ্বান জানান। মেয়র বিদ্যালয়ের চারপাশকে সবুজ করে তোলার জন্য অধ্যক্ষ জনাব তারসেম সিংহের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
Answer:
পল্লবী,ঢাকা
২৩.০১.২০১৮
প্রিয় রাহুল,
আমার শুভেচ্ছা নিও। অনেক দিন হলাে তােমার কোনাে খবর পাই না। আশা করি ভালাে আছ। গতদিন আমাদের স্কুলে বৃক্ষরােপণ উতসব হয়ে গেল। সেই সেমিনারেই বৃক্ষরােপণের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক ভালাে ভালাে কথা শুনলাম। তােমাকে সেগুলাে জানাতেই এ চিঠি লিখতে বসেছি।
তুমি তাে জানাে, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসে অক্সিজেন গ্রহণ করি, কার্বন-ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করি। আর গাছ আমাদের প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শশাষণ করে নেয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু মানুষ তার প্রয়ােজনে প্রচুর গাছ কাটছে। বন উজাড় হচ্ছে। তাতে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে।
তুমি হয়তাে জানাে না, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মূল ভূ-খণ্ডের কমপক্ষে পঁচিশ ভাগ বন থাকা দরকার। আমাদের দেশে তা নেই। বরং যা আছে তা-ও নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। সভ্যতা ও উন্নয়নের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কলকারখানা। রাস্তায় যানবাহনের চলাচল বাড়ছে। কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়ায় বাতাসে বাড়ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। ক্ষয় হচ্ছে বাতাসের ওজন স্তর। সৃষ্টি হচ্ছে গ্রিনহাউজ অ্যাফেক্ট। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। দেখা দিচ্ছে নানা রােগ-ব্যাধি। এসবই ঘটছে বাতাসে অক্সিজেনের অভাবের কারণে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগালে বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরে আসবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে। তা ছাড়া আমাদের জ্বালানির চাহিদার বেশির ভাগ পূরণ হয় বৃক্ষের মাধ্যমে। কাঠ থেকে আমরা বাড়িঘর এবং আমাদের প্রয়ােজনীয় আসবাবপত্র প্রস্তুত করে থাকি। সুতরাং ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই আমাদের অধিক হারে বৃক্ষরােপণ করা প্রয়ােজন। বাড়ির চারপাশে, রাস্তার দুপাশে, পতিত জমিতে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। বৃক্ষরােপণের প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে আরও সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, বৃক্ষ বাঁচলে আমরা বাচব।
আজ এই পর্যন্তই। তােমার মা-বাবাকে আমার শ্রদ্ধা জানিও। চিঠি দিও।
ইতি
তােমার বন্ধু
অনিস