Please write a bengali story within 1000 words for my project...
Answers
yo you all off
your key dBm he sh me intent with UK yet mule used harms thy RJR hey he bend Benn end I
Answer is given below.
Explanation:
Given,
Write a Bengali story within 1000 words..?
ছোট গল্প: দৃষ্টিপাত
কলটা কেটেই মোবাইলটা বিরক্তিতে টেবিলের ওপর ছুড়ে ফেলে দিল অনিকেত। রাগ হচ্ছে। খুব রাগ হচ্ছে ওর। ঢকঢক করে কাচের গ্লাসে রাখা জলটা পুরোটা খেয়ে ফেলল। আনপ্রফেশনাল লোকজন একদম পছন্দ নয় অনিকেতের। কথা দিয়ে যারা কথা রাখতে পারে না তাদের খুব অপছন্দ করে ও। অ্যাপয়েন্টমেন্টটা খুব দরকার ছিল। গত সপ্তাহে আজকের দিনটা বুক করে রেখেছিল এই অ্যাপয়েন্টমেন্টটার জন্য।অফিসের কাজও শেষ করে ফেলেছিল প্রায় লাঞ্চের আগেই। এখন ওঁর চেম্বার থেকে রিসেপশনিস্ট জানাচ্ছে আজকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ক্যানসেল, স্যারকে নাকি কনফারেন্সে যোগ দিতে দিল্লি চলে যেতে হয়েছে।
তো যাই হোক, শুধুমাত্র অনিকেতের জন্যই পনেরো দিন পরের একটা ডেট ফিক্স করা হয়েছে। এক মাসের আগে যার ডেট পাওয়া যায় না, এই ভুলের জন্যই শুধুমাত্র অনিকেতকে পনেরো দিন পরে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট দেওয়া হয়েছে।
বিকেলটা ছিল এইজন্য অনিকেতের কাছে মুক্ত বাতাস। আজ অনেকদিন পর বিকেল দেখে পুরনো কথাগুলো মনে পড়ে গেল।
দুজনের কারো কোনো কথাই পাত্তা না দিয়ে এগিয়ে এলো অনিকেত।
-তাহলে বলছেন আপনার ভেতরের রাগটাকে আপনি কন্ট্রোল করতে পারছেন না, তাই তো?
-হ্যাঁ ডাক্তারবাবু। মাঝেমাঝে এটার প্রকাশ একদম অন্যরকমভাবে হচ্ছে।
-কিরকমভাবে?
-আমার মনে হচ্ছে আমার ভেতরে যেন কোনো জন্তু ঘুমিয়ে থাকছে, একটা অমানুষ, যেটা সময় বিশেষে আমার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে।
-বেরিয়ে কী করছে?
-আমি ঠিক জানি না, বুঝতে পারছি না, যেমন গতকাল আমার খুব রাগ হয়েছিল। আমি আমার গাড়ির জ্যাকের হ্যান্ডেলটা নিয়ে এসে ওপরে আমার ঘরে ঢুকে পড়েছিলাম।তারপর আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারি নি।আমার আসলে খুব রাগ হচ্ছিল তখন।
-হ্যালুসিনেশনটা কি রাগ হলেই আসছে?
-হ্যাঁ, অনেকটা সেরকমই। রাগ হওয়ার পরই আমি দেখতে পাই আমার স্ত্রী আমার বন্ধুর সাথে আমারই বেডরুমে সেক্স করছে। অথচ আমার স্ত্রীর সাথে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে প্রায় দু মাস হল। ও আলাদা থাকে।
-হুমম। এরপর কি করলেন যখন দেখলেন ওরকম?
-আমি ওদের দুজনকেই হ্যান্ডেলটা দিয়ে মাথায় আঘাতের পর আঘাত করে গেলাম। এরপর যখন দেখলাম দুজনের স্কাল ফেটে ঘিলু বেরিয়ে ছিটকে পড়েছে, তখন শান্ত হলাম।
-স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ কেন হল?
-আসলে আমার অফিস নিয়ে আমি ব্যস্ত থাকতাম, কাজের চাপ ছিল, ওকে সময় দিতে পারি নি, এখান থেকেই দুজনের দূরত্ব বাড়তে থাকে।এরপর আস্তে আস্তে ও আমার এক ছোটবেলার বন্ধু প্রতীকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপরই আমরা সিদ্ধান্ত নিই আলাদা হয়ে যাওয়ার।
-এর আগে কখনো হ্যালুসিনেট করেছেন?
-হ্যাঁ।
-কবে?
-ছোটবেলায় আমার একটা পোষা কুকুর ছিল, যার নাম ছিল জিমি। ওই ছিল একমাত্র আমার খেলার সঙ্গী। বিকেলবেলা যখন সমর কাকু আমাদের বাড়িতে আসত, তখন আমি জিমিকে নিয়ে বাড়ির নিচে খেলতাম। একদিন হঠাৎ দেখি সমর কাকু বাড়ি থেকে একটু আগে আগে বেরিয়ে গেল, আর তার পিছন পিছন মা’ও বেরিয়ে এলো। মায়ের চোখে জল ছিল। আমাকে দেখতে পেয়েই হাত ধরে টেনে ওপরে নিয়ে যেতে চাইল। জিমি দেখলাম একটু দূরে দাঁড়িয়ে কুঁইকুঁই করছে। মাকে অনেক করে বললাম, জিমি একা আছে, ওর সাথে আরেকটু খেলে নিই তারপর যাচ্ছি। মা বলল কোথাও কোনো জিমি নেই, চল এক্ষুণি আমার সাথে। ঘরে এসে আমার সমস্ত রাগ গিয়ে পড়েছিল জিমির ওপর। সেদিন রাতেই ওকে আমি গলা টিপে মেরে ফেলি। তারপরই জিমি আমার সামনে থেকে যেন উবে গেছিল। ওর বডিটা পর্যন্ত আমি দেখতে পাই নি আর। বুঝেছিলাম আসলে জিমি বলে কেউ ছিলই না। পুরোটা আমার কল্পনা ছিল। বিকেলবেলা খেলার জন্য আমি জিমিকে সৃষ্টি করেছিলাম।
-এরপর আর কখনো হ্যালুসিনেট করেন নি?
-মা মারা যাওয়ার পর বেশ কয়েকবার করেছিলাম।
-কিরকম?
-মাকে দেখতাম আমার সামনে হাত জোড় করে বলছে আমাকে মারিস না বাবু, আমাকে মারিস না।
-এর কোনো কারণ আছে বলে আপনার মনে হয়?
-সম্ভবত মা কে আমি খুব অপছন্দ করতাম বলে মা কে মারতে চাইতাম হয়ত! ঠিক জানি না।
-হুমম, বুঝলাম। আপনার ভেতরের অবদমিত ইচ্ছেগুলো আপনি হ্যালুসিনেট করেন। যেগুলো আপনি করতে পারেন নি, সেগুলো আপনি নিজে সৃষ্টি করেন। আপনার স্ত্রী আর আপনার বন্ধুর ওপর আপনি প্রচণ্ড রাগ পুষে রেখেছেন আপনার অবচেতনে। সব সময় আপনার মনে হয় ওরা হয়ত একসাথে রয়েছে এবং শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে রয়েছে। সেখান থেকেই আপনার ওদেরকে খুন করার চিন্তা আসে আর আপনি হ্যালুসিনেট করেন। আমি কয়েকটা ওষুধ দিচ্ছি এগুলো খান, আর একটু কাউন্সেলিং করান। একটা অ্যাংগার ম্যানেজমেন্ট কোর্স করতে হবে আপনাকে।
-আমি ঠিক হব তো ডাক্তারবাবু?
-অবশ্যই ঠিক হবেন। ঠিক হওয়ার জন্যই তো এখানে এসেছেন।
-আমার না প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা হয় হ্যালুসিনেট করার পর। যন্ত্রণায় মাথা ফেটে আসে তখন। গা গোলাতে থাকে আর বমি পায়।
-ঠিক আছে, মাথা যন্ত্রণার একটা ওষুধ দিচ্ছি, এটা মাথা যন্ত্রণা হলেই একমাত্র খাবেন। ঠিক হয়ে যাবেন। চিন্তার কোনো কারণ নেই। যান বাড়ি ফিরে যান আর এসব নিয়ে বেশি কিছু ভাববেন না।
রাস্তার দিকের ছাদের কোনটায় আসতেই বুকটা ধক করে উঠল অনিকেতের। ওর মা হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে কিছু একটা যেন বলছে। যখন মা’কে ছাদের এই কোনটায় নিয়ে এসে কোলে তুলে কার্নিশ দিয়ে নিচে ফেলে দিচ্ছিল তখন যেমনভাবে বলছিল, ঠিক যেন তেমনভাবেই ওকে অনুরোধ করে যাচ্ছে। ‘আমাকে মারিস না বাবু, আমাকে মারিস না’। পনেরো বছরের অনিকেতের শক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে পারে নি ওর মা। বিকেলবেলা খেলার ফাঁকে একদিন ওপরে উঠে ঘরের কি হোল দিয়ে যেদিন সমর কাকুর সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় মা’কে দেখেছিল সেদিন থেকেই ঠিক করে রেখেছিল মা’কে আর বাঁচতে দেওয়া যাবে না।
মুখ ঘুরিয়ে নিচে চলে এলো অনিকেত। বারান্দা থেকে টিয়াটা বলে উঠল, ‘প্লিজ অনিকেত মেরো না, প্লিজ অনিকেত মেরো না’। পাখিটাকে খাবার দিতে হবে। দানা শেষ হয়ে গেছে হয়ত।