Pls give the summary of the bengali poem
Jonmo Bhumi Aj
Answers
কবি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে (২৫শে বৈশাখ ১২৬৮) কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যু ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই আগস্ট (২২শে শ্রাবন ১৩৪৮)। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা। 'গীতাঞ্জলী' কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বিশ্ব মর্যাদায় উন্নীত করেন। কাব্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, গান-সাহিত্যের সকল শাখায় তাঁর অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, সুরকার, গীতিকার, নাট্যকার, নাট্যপ্রযোজক এবং অভিনেতা। বলা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির একজন প্রধান রূপকার।
জন্মভূমি কবিতাটির উত্স ঃ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বদেশপ্রেম কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
শ্রেণিশিক্ষা ঃ মাকে আমরা সবাই অনেক বেশি ভালোবাসি। মাকে ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত চলতে পারি না! পারি কি? মা আমাদের খুব ভালোবাসেন। আমাদের জন্য সংসারে কত কাজ করেন। রান্না-বান্না করেন আমরা তাই খাই । কাপড় পরিষ্কার করেন সেগুলো গুছিয়ে রাখেন আমরা তাই পড়ি। তিনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজের দিকে না তাকিয়ে আমাদের যাবতীয় প্রয়োজন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হন। 'মা' যেমন আমাদের হন দেশও তেমন আমাদের হয়। মায়ের যেমন কাজ, জন্মভূমিরও তাই। জন্মভূমির মাটিতে আমরা বাস করি। এই মাটি আমাদের খাদ্য দেয়। তার বুক চিরে কৃষককূল ফসল ফলায়। এই মাটি কত গাছপালা, ফুল ও ফলে ভরে দেয় চারিপাশ। সবকিছুর মূলে এই মাটি। এই মাটি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মাটির চেয়েও উর্বর। অর্থাত্ এই মাটিতে ফসল খুব বেশি ফলে। এই মাটির ভিতর প্রবাহিত তেরশটি নদী। তাতে আছে কত রকম মাছ। এই মাটিতে আছে প্রাকৃতিক সম্পদ। গ্যাস, চুনা পাথর নানা রকম খনিজ সম্পদ যার অনেক দাম। যা আমাদের জীবনের জন্য খুবই প্রয়োজন।
এ দেশের প্রকৃতির মতো প্রকৃতি পৃথিবীতে অন্য কোথাও নেই। সকালের সূর্যের দিকে দেখো দুপুরের তার তীব্র রূপ, বিকেলে শান্ত স্নিগ্ধতা, সন্ধ্যার করুন সুরে সূর্যের বিদায় হয়। আকাশে চাঁদ ওঠে, আকাশে নানা তারা যাদের অপর নাম নক্ষত্র যা আমাদের মনকে প্লাবিত করে। রাতের আকাশ সুন্দর হয়ে ওঠে। আবার কোন কোন তারা আমাদের চলার দিক নির্দেশনা দেয়।
সবচেয়ে বড় যে ব্যাপার তা হলো আমরা এক স্বাধীন দেশের অধিবাসি। পরাধিনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাতৃভূমিকে করেছি মুক্ত। এ গৌরবের অংশ হয়ে আছে দেশপ্রেমিক, মাতৃপ্রেমিক অসংখ্য মানুষ। তাঁরা আমাদের পূর্ব পুরুষ, বীর বাঙালি, এই মাটির খাঁটি সন্তান। মাকে রক্ষা করতে তাকে চিরতরে বাঁচানোর জন্য সেই সব সন্তানেরা অনেকে আত্মত্যাগ করেছিল। জীবন দিয়ে মায়ের জন্য লড়েছিল। তাই তারা আমাদের আদর্শ, অহংকার এবং গর্বের বস্তু। আমাদের জীবন তাই স্বার্থক। আমাদের জীবন ধন্য এই জন্য যে, এমন সুন্দর চির সবুজ এই দেশে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি। তাই এই মাটিকে আমরা ভালোবাসি। এখানে শান্তি পাই, আনন্দ পাই। খুশীতে মন নাচে। তার ধনরতন রাজা-রাণীর মতো না থাকলেও আমাদের কোনো দুঃক্ষ নেই, কষ্ট নেই কারণ মা আমাদের যা দেন তা ধন রত্নর থেকেও বেশি। মায়ের স্পর্শে আমরা শান্তি পাই। তাঁর ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ি। এখানেই আমাদের জন্ম। এখানেই আমাদের চলাচল কাজ। আর এখানেই আমাদের জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশ।
মা যেমন আমাদের জন্য করেন তদ্রুপ সন্তানকেও মায়ের জন্য অনেক কিছুই করতে হয়। প্রথমত তাঁর যাতে কোনো কষ্ট না হয় তার খেয়াল রাখতে হয়। তাঁর সেবা করতে হয়। তাঁকে যত্ন করতে হয়। তাঁর ভালো মন্দের খেয়াল রাখতে হয়। তাঁর যাতে কোনো ক্ষতি না হয়। তাঁকে শত্রুদের হাত থেকে বাঁচাতে হয়। মায়ের জন্য দুর্গ গড়তে হয়। তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করতে হয়। যেহেতু এই দেশের মাটি আমাদের প্রত্যেকের প্রাণের অংশ। তাই তাকে রক্ষা করা, তাকে পরম যত্নে লালন-পালন, প্রত্যেকের নৈতিক এবং অনিবার্য দায়িত্ব। এ দায়িত্বের কথা কোনদিন যেন আমরা না ভুলি। আজ আমরা প্রত্যেকে সেই প্রতিজ্ঞা করি।
Hope it helps please mark me as brainliest ☺☺