World Languages, asked by snehil8879, 7 months ago

portray the character of Azharuddin kha in the story of “লাকট” (lokti)

Answers

Answered by suchxndra
9
Answer:
আজহারউদ্দিন খাঁ এর চরিত্রটা যদিও গল্পের প্রথম ভাগে খুবই কৃপণ ছিল কিন্তু গল্পটি এগোতে এগোতে আমরা দেখতে পাই কিভাবে তিনি একজন ভালো মানুষে পরিবর্তিত হলো।
check explanation
Explanation:
হুমায়ুন আহমেদের লেখা 'লোকটি ' গল্পে আজহারউদ্দিন খাঁ একজন তিপান্ন বছর বয়সের ভদ্রলোক ছিলেন। নারায়ণগঞ্জে তাঁর দুটি গেঞ্জির কারখানা ছিল এবং সেখান থেকে তার মাসে সত্তর হাজার টাকা আয় হতো। ঢাকা শহরে তাঁর তিনটি বাড়ি ছিল যেগুলি তিনি ভাড়া দিয়ে মালিবাগে তিন কামরার একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন।কিন্তু তাঁর মনের ধারণা ছিল যে তার তিন কামরা বাড়ির কোনো প্রয়োজন নেই কারণ তিনি একা মানুষ এবং সারাদিন কাজকর্ম করে এসে শুধু রাত্রিটা ঘুমিয়ে কাটানো নিয়ে কথা , এই জন্য তিনি দু কামরার ফ্লাট ও খুঁজছিলেন।
তিনি সভাবে চিনি অতি কৃপণ। একা মানুষ হয়েও তিনি এতো রোজগার করার সত্ত্বেও এক টাকাও খরচ করবার প্রতিপক্ষ ছিলেন না, এতটাই কৃপণ ছিলেন তিনি। চিনির কৌটোর পিঁপড়ে গুলোও তিনি বাঁচিয়ে রাখতেন যাতে চিনি শেষ হয়ে গেলে তিনি ঐগুলো দিয়ে চা খেতে পারেন। তিনি এটাও মনে করতেন যে জীবন রক্ষার জন্যে যতটুকু খাওয়া দরকার তার চেয়ে বেশি খাবার খাওয়া অপরাধ।তাঁর রাত্রের খাবার ছিল ডিমসেদ্ধ এবং দুটি কোলা আর তার সাথে টিনের কৌটোয় রাখা একটি টোস্ট বিস্কুট।
এক বর্ষার রাতে, ন'টা বাজছে তখন, আজহারউদ্দিন সাহেব তখন কলিংবেলের আওয়াজ শোনেন এবং হাত মুখ ধোয়া ছেড়ে চটজলদি গিয়ে দরজা টা খোলেন নাহলে লোকটি বেল বাজাতেই থাকবে, তাতে বেহুদা খরচ হবে। দরজা খিলতেই তিনি দেখেন বাইশ - তেইশ বছরের একজন যুবক ছেলে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। লোকটি বলেন যে তিনি একটি জিনিস বিক্রি করতে এসেছেন। প্রথমে জিনিষটির ব্যাপারে আজহারবাবু অনিচ্ছুক হলেও পরে যুবকটি যখন ব্যাবসায়িক লাভের কথা বলেন আজহারবাবুর মোট একটু পাল্টে গেলো। কিন্তু লোকটির কথা শুনে আজহারবাবু মনে করেন যে ওই লোকটি ঠগবাজ এবং ভাবলেন যে ঠগবাজ যুবকটিকে তিনি একটু ঘোল খাওয়াবেন। যুবকটি যেই জিনিসটি বিক্রি করবার উদেশ্যে এসেছিলো সেটি ছিল একটি হীরা। হীরাটি পায়রার ডিমের চাইতেও আকারে বোরো এবং একশো সাতশ ক্যারাট ওজন আর তার দাম ছিল এক কোটি টাকা । যুবকটি বলেন যে তিনি হীরেটি পারিবারিক সূত্রে পান এবং বিক্রি করতে চাইছেন কারণ হীরাটি তার কোনো কাজে লাগে না উল্টে সারাক্ষন সেটাকে লুকিয়ে রাখতে হয়। যুবকটি হিরেটা বিক্রি করে যেই টাকা অর্জন করতেন সেই টাকা দিয়ে তিনি সৎ কাজ করবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন আজহারবাবুর কাছে। তিনি চেয়েছিলেন একটি বোরো ধরণের অনাথ হরম বানাতে যেখানে ছেলেমেয়েরা নিজের বাড়ির মতন থেকে লেখাপড়া শিখতে পারবে। আজহারবাবু যুবকটির কথা বিশ্বাস না করে যুবকটি বলেন যে হিরেতা তিনি এক সপ্তাহ আজহারবাবুর কাছেই রেখে যাবেন যাতে তাঁর সন্দেহ দূর হয়ে যাই। আজহারবাবুর হাতে হিরাটা ধরিয়ে দিয়ে তাঁকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই যুবকটি দ্রুত রাস্তায় নেমে চলে গেলো
আজহারবাবু নানা উপাইয়ে হীরাটি পরীক্ষা করে দেখেন এবং তার সন্দেহ দূর হয়ে যাই। কিন্তু যুবকটির কথা মতো সে কিন্তু আর এক হীরাটি ফেরত নিতে এলো না। কিছু দিন পেরোতেই আজহারবাবুর জিনিষটির ওপর ময় ধরে যাই। এই করতে করতে দু সপ্তাহ তিন সপ্তাহ পেরিয়ে দু মাস পেরিয়ে গেলো কিন্তু যুবকটির কোনো খোঁজ পাওয়া গেলো না। কৃপণ আজহারবাবুও পয়সা ব্যায় করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলেন। কিন্তু খবর মিললো না কোনো।
তিনি তার একজন ম্যানেজার, মঈনুদ্দিন কে ডেকে বললেন যে তিনি একটি বড় অনাথ আশ্রম করতে চান। তাঁর এই কথা শুনে মঈনুদ্দিন খুব খুশি হন।
অনাথ আশ্রমের পর তৈরী হলো গ্রাম্মের দিকে একটি হাসপাতাল। বহু টাকা চলে যাই তাতে, তিনি আরো প্রানপন রোজগার করার চেষ্টা করেন এবং দুবেলা খাবার জায়গায় এক বলা খান। ভাড়া বাড়ি ফ্লাট বাড়িতে চলে যান। তার ব্যবসা ভালোই চলছিল। হাসপাতাম তৈরির পর তার যেন ধরে গেলো এবং তিনি স্কুল , রাস্তাঘাট, দাতব্য চিকিৎসালয় ও বানালেন
দশ বছর পর আবার এক বর্ষার রাত্রে তার বাড়ির কলিংবেল বাজলো। সেই যুবকটি শেষমেশ ফিরে এলো যুবকটি আজহার বাবু কে বলেন যে সে তাঁর জিনিসটি ফেরত নিতে এসেছেন কিন্তু যদি তিনি চান তাহলে তিনি ওটা রেখে দিতে পারেন কারণ যুবকটি তার পুরো দাম পেয়েগেছেন কিন্তু যদি তিনি ফেরত দেন তাহলে যুবকটি সেটিকে আবার ব্যবহার করতে পারবেন। আজহারসাহেব কালো বাক্স সমেত হীরেটি দিলেন এবং যুবকটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন যে সেই জিনিসটার কারণে সে আজ মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করার একটা অর্থ খুঁজে পেয়েছেন। এবং বলেন যে তিনি খুব আনন্দে আছেন এবং ভবিষৎ এ আরো বোরো প্রজেক্ট করতে চান। যুবকটি তাঁকে শুভ কামনা দিয়ে অন্ধকারে মিশে গেলো।
লোকটি গল্পে আমরা দেখলাম যে কিভাবে একজন অতি কৃপণ মানুষ নিজেকে একটা জিনিসের জন্যে পাল্টে ফেললো এবং তিনি মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহন করার অর্থ খুঁজে পেলেন। সেই যুবকটি কিরকম দেবদূতের মতন হটাৎ এক বর্ষার রাত্রে এসে আঝারুদ্দিন খাঁ এর জীবনটা পাল্টে দিলো। হীরেটি কিরকম চমৎকার ভাবে নিজের মায়ায় আজহারউদ্দিন বাবুকে লিপ্ত করে নিলো। আজহারউদ্দিন খাঁ এর চরিত্রটা যদিও গল্পের প্রথম ভাগে খুবই কৃপণ ছিল কিন্তু গল্পটি এগোতে এগোতে আমরা দেখতে পাই কিভাবে তিনি একজন ভালো মানুষে পরিবর্তিত হলো।
Similar questions