rachana biggan o kusanskar
Answers
ভূমিকা- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ও রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের রোজকার জীবনযাত্রা বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। জীবনে প্রতি মুহূর্তে ঘটা সব ঘটনার পেছনেই বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে। কোনো ঘটনার অবৈজ্ঞানিক যুক্তিকেই কুসংস্কার বলা হয়।
বিজ্ঞান চেতনা- বহুদিন ধরে বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা ও প্রচেষ্টার পর মানুষ আজ অনেক সমস্যার সমাধান করতে সফল হয়েছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের ভরসায়। মানুষ নতুন সৃষ্টির উন্মাদনায় মেতে রয়েছে বিজ্ঞানের হাত ধরেই। বিজ্ঞান ছাড়া জীবনযাপন আজকের পৃথিবীতে ভাবা অসম্ভব। প্রাকৃতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বিদ্যুৎ; যাতায়াতের সুবিধার জন্য দিয়েছে উন্নত সড়ক, যানবাহন; গোটা পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে কম্পিউটার, দূরভাষ যন্ত্র, টেলিভিশন, রেডিও ও খবরের কাগজের মাধ্যমে।
বিজ্ঞানের এতো অবদানের পরেও পৃথিবীর থেকে কুসংস্কার পুরোপুরি মুছে যায়নি।
কুসংস্কার- অশিক্ষা, কুশিক্ষা মানুষকে বিজ্ঞানের থেকে বেশি কুসংস্কারকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে। সমাজের ভন্ড, অসৎ মানুষেরা সমাজে কুসংস্কারের ধারা বজায় রাখতে সফল হয়েছে। আজও গ্রামে ডাইনি অপরাধে পুড়িয়ে মারা হয়, সাপে কামড়ালে বা অসুখ করলে ডাক্তার অপেক্ষা ওঝাকেই বিশ্বাস করেন অনেক কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ, ভাগ্যের ফের বদলানোর জন্য জ্যোতিষিদের রমরমা প্রখর।
পথের দিশা- প্রকৃত সুশিক্ষাই একমাত্র কুসংস্কার দমনের একমাত্র পথ। মানুষকে বিজ্ঞানের উপকার, সৃষ্টি সম্পর্কে অবগত করতে হবে। সামাজিক প্রচার, পথ নাটিকা, চলচ্চিত্র, সেমিনার, বক্তৃতা প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি অনেকাংশে কমাতে পারে এবং সমাজকে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার মুক্ত করতে পারে।
Explanation:
ংঠঠফঠফজঝফণডফবদদফদদরদদঢদরঢঢরযঠঝরঝ