Somaj seba essay in bengali
Answers
Answer:
ভূমিকাঃ সভ্যতার তথাকথিত অগ্রগতিমূলক বহু বিবর্তনের পরেও মানুষের মধ্যে আজও একটা পশু বিরাজ করছে। সে অকারণে উৎপীড়কের ভূমিকা নেয়। এর কোনো যুক্তিসিদ্ধ ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না। এই রকম উৎপীড়নকে র্যাগিং বলে। ছাত্রাবাসে অনুষ্ঠিত র্যাগিং একটি অনুরূপ বিষয় যাকে বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। আমাদের সমাজের এটি অন্যতম জ্বলন্ত সমস্যা। এর প্রকৃতি অনুধাবন এবং এ থেকে পরিত্রাণের পন্থাপদ্ধতি অনুসন্ধান বর্তমানে একান্ত প্রয়োজন।
র্যাগিং কীঃ র্যাগিং শব্দটির আভিধানিক অর্থ রসিকতা বা কৌতুকের নামে অত্যাচার করা, যা উৎকট ও কুৎসিৎ কৌতুক-ক্রিড়া, অথবা অসভ্য আচরণাদির দ্বারা পরিহাস ও জ্বালাতন। অর্থাৎ র্যাগিং হল একটি অত্যাচারমূলক ক্রিয়াকর্ম। একজন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির উপর বা একদল ছাত্র অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের উপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মৌখিক অশ্লীল গালিগালাজ বা অশ্লীল ক্রিয়াকলাপ করে বা শারিরীক অত্যাচার করে নিজেরা এক ধরনের উল্লাসে মেতে ওঠে। এইরূপ আচরণকে র্যাগিং বলা হয়। তা ছাড়া অসভ্য আচরণ দ্বারা বা দাঙ্গাবাজি করে কোনো কোন ছাত্র-ছাত্রীকে বিরক্ত করলে বা কষ্ট দিলে অথবা ভীতি, আতঙ্ক ইত্যাদি সৃষ্টি করে তার মানসিক ক্ষতি করলে, সেই আচরণকে র্যাগিং বলা হবে। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের অনুরূপ মর্মে একটি রায়ে এই কথাই বলা হয়েছে।
র্যাগিং-এর প্রক্রিয়াঃ সাধারণভাবে ছাত্রাবাস বা ছাত্রীনিবাসে ও কলেজের মধ্যে নবাগত ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুরানো ছাত্রছাত্রীরা দৈহিক ও মানসিকভাবে নানা রকম পীড়ন চালিয়ে যায়। নানা অজুহাতে নবাগতদের বোকা বানানো, উদ্ভট প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য করা, প্রচন্ড শীতের মধ্যে স্নান করতে বাধ্য করা, মাটিতে দীর্ঘ নাকখত দিতে বলা, জোর করে মদ খাইয়ে দেওয়া, শরীরে জলন্ত সিগারেটের ছাঁকা দেওয়া ইত্যাদি নবাগতদের জীবন একেবারে অতিষ্ট করে তোলে। উঁচু ক্লাসের দাদাদিদিদের এইসব নির্দেশ পালন করতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠা বা অবহেলা দেখানো হলে কুৎসিৎ গালিগালাজ, চড়-চাপড় ইত্যাদি উপরি পাওনা হয়। বিভিন্ন কলেজে, ছাত্রাবাসে এই ধরণের ঘটনা ঘটে থাকলেও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এর প্রাদুর্ভাব বেশি।
র্যাগিং-এর যুক্তিঃ র্যাগিং-এর যুক্তি হিসেবে বলা হয় যে, নবাগত ছাত্রছাত্রীদের সংশ্লিষ্ট কলেজের উপযুক্ত করে তোলার জন্য নাকি র্যাগিং। এতে নাকি পুরনোদের সঙ্গে নতুনদের যোগাযোগ নিবিড় হয়। কিন্তু এইধরনের যুক্তি নেহাতই র্যাগিং করার পক্ষে মিথ্যা অজুহাত মাত্র।
mark as brainliest...
here is your answer!!!
এটা বিশ্বাস করা হয় যে অনেক যোনি জন্মের পরে, যোনিটি অসুবিধা পায় বিশ্বাসের কোনটিই না, কিন্তু এটি সত্য যে, সকল প্রাণীর মধ্যে মানুষই সেরা। এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণকারী সমস্ত মানুষের তুলনায়, মানুষের আরও উন্নত মন আছে, যাতে তিনি সঠিক-ভুল সম্পর্কে ভাবতে পারেন।পৃথিবীর অন্য প্রাণীর পেটে ক্ষুধার লড়াইয়ের জন্য যুদ্ধ করে এবং তারা একে অপরের দুঃখের কথা চিন্তা করে না। কিন্তু মানুষ একটি সামাজিক জীব। মানুষ পরস্পরের সাথে মিলিত হয় এবং সমাজের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য একে অপরকে সুখ ও দুঃখের অংশীদার হতে হয়।তাঁর পরিবারের খাদ্য, তার সাহায্য, প্রাণিকুল, পাখি ও পশুর এটি করতে পারবে না, কিন্তু মানুষ জীব প্রতিটি আক্রান্ত ব্যক্তি সমর্থন আধুনিক সমাজ উত্তোলন করা হয়। নিঃস্বার্থ অনুভূতি সহ কোনও সহপাঠীকে সাহায্য করার জন্য এটি সামাজিক সেবা।
✌✌❤✌✌✌❤✌✌✌❤✌✌✌❤✌✌