একটি ঝড়ের রাতের অভিজ্ঞতা নিয়ে রচনা লেখো। The finest answer will be marked as brainliest and it must contain at least 250 words.
Answers
Explanation:
বিদৌরা নাসরীন বকুল : ভূমিকা : বৈচিত্র্যময় এদেশ বাংলাদেশ। এখনে কাঠ-ফাঁটা রোদ-কালবোশেখের তান্ডব, হাড়-কাঁপানো শীত কোনটাই বিচিত্র নয়।
স্মৃতির পাতায় ময়লা জমে এক সময় অনেক স্মৃতিই মানুষ ভুলে যায়। এ বিচিত্র জীবন প্রবাহে হঠাৎ কোন ঝড়ো হাওয়ায় মানুষের স্মৃতির পাতাগুলো ওলট-পালট হয়ে বের হয়ে আসে তার জীবনের এমন এক অধ্যায়-যা সে প্রায় ভুলেই গিয়েছিল।
তেমনই এক ঘটনা প্রবাহ আমাকে অনেক যন্ত্রণা দেয় সেটি হল একটি ঝড়ের রাত।
ঝড়ের পূর্বাভাস : দুইদিন ধরে আকাশটা ছিল মেঘাচ্ছন্ন। ক্ষণ বিরতি দিয়ে বার বার টুপটাপ করে বৃষ্টি নামছিল এবং থেমেও যাচ্ছিল। রেডিওতে বার বার সংকেত দিচ্ছিল বিপদের ঘনঘটার। দ্বিতীয় দিন দুপুরের দিকে বার বার দমকা হাওয়া বইছিল এবং আকাশ তার অশান্ত রূপ প্রকাশ করছিল বিদ্যুৎ চমকে ও বজ্রপাত ঘটিয়ে।
Answer:
ভূমিকা : আমার জীবনে অনেক ঝড়ের রাত্রি এসেছে। কালবৈশাখির তাণ্ডব নৃত্যও দেখেছি; আবার আশ্বিনের অকাল প্রচণ্ড ঝড়ও দেখেছি। বইপত্রে অনেক ঝড়ের বর্ণনা পড়েছি। আবার মুরব্বিদের কাছে অনেক ঝড়ের বীভৎস কাহিনি শুনেছি। কিন্তু ১৪২৪ বঙ্গাব্দের ৩ জ্যৈষ্ঠে ঝড়ের যে তাণ্ডবলীলা প্রত্যক্ষ করেছি, তার কাছে আমার দেখা এবং শােনা সমস্ত ঝড়ের রাত্রির স্মৃতিই ম্লান হয়ে গেছে।
ঝড়ের পূর্বমুহূর্ত : সে দিনটি ছিল অত্যন্ত সুন্দর। মেঘমুক্ত নীল আকাশ। প্রখর রােদের সাথে ঝিরঝির বাতাসে বেশ চমৎকার মনে হচ্ছিল দিনটি। অথচ সন্ধ্যার প্রাক্কালে সমস্ত মানুষকে অবাক করে উত্তর-পশ্চিম কোণে দেখা দিল এক বিশাল ঘন-কালাে মেঘের । পাহাড়। ধীরে ধীরে সূর্য ডুবছে, সন্ধ্যা নামছে আর মেঘের পাহাড় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সমস্ত আকাশ, গাছপালা, লতাপাতা, বাতাস নিস্তব্ধ। গাছের একটি পাতাও সামান্য নড়ে না, এমনকি সন্ধ্যায় নীড়ে ফেরা পাখিরাও যেন কি এক অজানা আশঙ্কায় নীরবনিস্তব্ধ। সমস্ত আকাশ ধীরে ধীরে অন্ধকারে ছেয়ে গেল।
ঝড়ের পূর্বাভাস : সন্ধ্যা হতে না হতেই রেডিওতে হঠাৎ শােনা গেল আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের বুলেটিন। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিমচাপ শুরু হয়েছে।
ঝড়ের তাণ্ডবলীলা : তখন রাত ৮টা বাজে হঠাৎ শুনতে পেলাম বাতাসের সই সই শব্দ । সাগরের উত্তাল তরঙ্গের মতাে শব্দ করে। বাতাস আসছে, ঝড় আসছে, ধুলাবালিতে আচ্ছন্ন হয়ে গেল চতুর্দিক। দরজা-জানালা বন্ধ করে দিলাম। কিছুক্ষণ পর বাতাসের সাথে শুরু হলাে প্রচণ্ড বৃষ্টি। বাতাসের বেগ ক্রমে বাড়তে লাগল। চারদিকে কেবল শাে শো শব্দ, একের পর এক বজ্রপাতের বিকট আওয়াজ, আর ঘন-ঘন বিদ্যুৎ চমকানিতে মনে হলাে যেন মহাপ্রলয় আসন্ন । মানুষের গগনভেদী চিৎকার আর আজানের ধ্বনি শুনে আমার শরীরে কাপন ধরেছে। আমাদের ঘরের পাশের বডাে আম গাছটি একটা বিকট মটমট শব্দ করে ভেঙে গেল। আমি ভয়ে চিৎকার করে উঠলাম। আমার মার কান্নাকাটি ও বারবার নির্দেশে আমিও কয়েকবার আজান দিলাম। যদিও 'আজান দিলে ঝড় থামে' একথা আমি বিশ্বাস করি না। একবার জানালা একটু ফাক করে দেখলাম আমাদের বৈঠক ঘর এবং রান্নাঘরের চালা উড়ে গেছে, বেড়াগুলাে খুঁটিসহ হুমড়ি খেয়ে উঠানে পড়ে আছে।
ঝড়ের পরের মুহুর্ত : প্রায় মধ্যরাতের দিকে ঝড় থামল । কিন্তু বাতাস একেবারে থামেনি, মাঝেমধ্যে দমকা বাতাস বইছে। চতুর্দিক থেকে ভেসে আসতে লাগল মানুষের কান্নার শব্দ, কিন্তু এই অন্ধকারে বেরােতে সাহস হলাে না। বিছানায় শুয়ে ঘুমাতে চেষ্টা করলাম, কিন্তু ঘুম আসছে না।
পরদিন সকালের চিত্র : ভাের হতে না হতেই বেরিয়ে পড়লাম। মেঘমুক্ত সীমাহীন নীল আকাশ, প্রকৃতির সব নীরব-নিস্তব্ধ । চারদিকে ধ্বংসস্তুপ। ভয়ে-বেদনায় বুক থর থর করে কাপতে লাগল।
Explanation:If you don't want to write of it you cut lines or you can write half.And thank me and mark me as brainliest