পলাশী যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল লেখवीडियो फिल्म
Answers
Answered by
2
Answer:
Write in English please.
Answered by
2
পলাশির যুদ্ধ
বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে 1757 খ্রিস্টাব্দে 23 শে জুন মুর্শিদাবাদ থেকে 23 মাইল দূরে পলাশির প্রান্তরে পলাশির যুদ্ধ বাধে।
যুদ্ধের কারণ:
- প্রথাগত নিয়ম অনুসারে সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসনে বসার পর, পর্তুগিজ,ফরাসি প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা কোনো উপঢৌকন পাঠাননি ফলে সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের প্রতি ক্ষুব্ধ হন।
- গোপনসূত্রে সিরাজ খবর পান তার প্রবল প্রতিদ্বন্দী সৌকৎ জঙ্গ কে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দী করার জন্য ইংরেজরা সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফলে নবাব প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন।
- বিনা শুল্কে বাংলায় বাণিজ্যের যে অধিকার লাভ করেছিল ইংরেজ কোম্পানি, তা তারা অপব্যবহার করতে শুরু করে,এর ফলে নবাব সিরাজউদ্দৌলা অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফলে তিনি ইংরেজদের কাছে দাবি করেন যে তারা যেন এই দস্তকের অপব্যবহার না করেন কিন্তু ইংরেজ কোম্পানি না শোনায় নবাব রুষ্ট হন।
- এইভাবে একের পর এক নবাব সিরাজউদ্দৌলার নির্দেশ না মানা ও তার বিরুদ্ধে কাজ করার ফলে নবাব ইংরেজদের কঠোর শাস্তি দেয়ার জন্য ইংরেজদের আক্রমণ করেন, এইভাবেই পলাশির যুদ্ধ সূচনা হয়।
যুদ্ধের ফলাফল:
- পলাশির যুদ্ধের পর সিরাজউদ্দৌলার পরবর্তী নবাব হন মিরজাফর এবং নতুন নবাব মিরজাফর সুশাসক না হওযায় বাংলা ক্রমশ তার দেশীয় আধিপত্য হারাতে থাকে।
- ইংরেজরা তাদের আধিপত্য ধীরে ধীরে বিস্তার করতে থাকে। এবং ক্রমশ নবাবের শক্তি ক্ষয় হতে থাকে
- ধীরে ধীরে নবাব ইংরেজদের গোলাম হয়ে পড়ে এবং ইংরেজ কোম্পানি ইংরেজ কর্মচারীদের প্রচুর অর্থ পুরস্কার দিতে বাধ্য করে নবাব কে।
- নবাবের কোষাগার থেকে একের পর এক পুরস্কারের নামে অর্থ আদায় করার ফলে নবাবের কোষাগারে ক্রমশ অর্থের সংকট দেখা দেয়।
- এইভাবে যুদ্ধ পরবর্তী কালে কোম্পানি বাংলায় প্রচুর পরিমাণে যে অর্থ আদায় করতে থাকে তা পলাশির লুণ্ঠন নামে পরিচিত।
- নবাবের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কম হওয়ার ফলে বাংলা থেকে ফরাসিরা বিতাড়িত হয়।
- ইংরেজ কোম্পানি পাকাপাকিভাবে বাংলায় আধিপত্য বিস্তার করে।
- পরিশেষে বলা চলে যে পলাশি যুদ্ধের ফলে ভারতের মধ্যযুগের অবসান হয় এবং আধুনিক যুগের সূচনা হয় (যদুনাথ সরকার বলেছেন)।
#SPJ3
Similar questions