Social Sciences, asked by dasjui73, 11 months ago

water crisis acknowledgement of Bengali version​

Answers

Answered by akifjameel180
0

Answer:

এই সময়: জল পেয়েও জল সমস্যায় দক্ষিণ কলকাতার একাধিক অংশ৷ টালিগঞ্জ, যাদবপুর বা বেহালার একাধিক এলাকায় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার কলে জল আসছে ঠিকই৷ কিন্ত্ত তা এমনই সরু যে, পর্যান্ত জল কেউ পাচ্ছেন না৷ এই পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে গার্ডেনরিচের সাম্প্রতিক বিপর্যয়৷ তাতে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ অংশে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল৷ পুরসভার উদ্যোগে তা ঠেকানো গিয়েছে৷ কিন্ত্ত সমস্যা যে রয়েছে , তা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কথায় পরিষ্কার৷ মঙ্গলবার তিনি বলেন , ‘আমার ডান হাত যদি কেটে যায় , বাঁ-হাত দিয়ে কাজ করতে একটু সময় তো লাগবেই৷ ’

পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের একাধিক কর্তাও স্বীকার করেন , বেশ কয়েকটি এলাকায় জলের চাপ স্বাভাবিকের থেকে কম৷ এ দিন বেহালার ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুটিয়ারি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বাসুদেব গুহ অভিযোগ করেন , ‘পুরসভা কলে সরু হয়ে জল পড়ার জন্য , আগের মতো জল পাওয়া যাচ্ছে না৷ ’ ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিষ রোড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা কেয়া শীলের অভিযোগ , ‘পুরসভার কলে এতটাই সরু হয়ে জল পড়ছে যে , দশ জন লাইনে দাঁড়ালে , ছ’জন জল পাচ্ছেন৷ ’ ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়োশিবতলার বাসিন্দা সোমনাথ অধিকারীর কথায় , ‘পুরসভার কলে জল এত সরু হয়ে পড়ছে যে , জল কখন আসছে , কখন যাচ্ছে তা বোঝাই যাচ্ছে না৷ ’ ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়ার বাসিন্দা তনু নস্করও বলেন , ‘গত কয়েকদিন ধরে পুরসভার কলে খুব কম জল আসছে৷ তাই পাড়ার অনেক বাসিন্দা কলের সামনে জলের পাত্র সারাদিন রেখে দিচ্ছেন৷ ’ ১১৯ নম্বর এবং ১২০ নম্বর ওয়ার্ডেরও অনেক বাসিন্দা এই একই অভিযোগ করেন৷ ১৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ বলেন , ‘জলের চাপ কম থাকার জন্য কিছু এলাকার বাসিন্দা জল নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন৷ তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে৷ ’ কলকাতা পুরসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক এবং ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না শূর বলেন , ‘জল পাওয়া যাচ্ছে না , এমন কথা বলা যাবে না৷ চাপ একটু কম থাকায় , কয়েকটি এলাকায় হয়তো সমস্যা হচ্ছে৷ তবে আমরা যে তত্পরতার সঙ্গে গার্ডেনরিচ বিপর্যয় সামাল দিয়েছি এবং তার পরেও যে বিভিন্ন এলাকায় পুরসভা জল সরবরাহ করছে , এটাই তো একটা অভাবনীয় বিষয়৷ ’যাদবপুর -টালিগঞ্জ এলাকার সমাজগড় , আজাদগড় , বিজয়গড় , সংহতি কলোনি , রায়পুর , খানপুর এবং বাঁশদ্রোণী এলাকারও একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন , পুরসভার কলে জল এলেও তা পরিমাণে খুব কম৷ তাই অনেক সময় জলের লাইনে দাঁড়িয়ে , কলের সামনে পৌঁছতে পৌঁছতেই জল চলে যাচ্ছে৷ ওই এলাকার বাসিন্দা গৌতম মণ্ডল বলেন , ‘দিনতিনেক ধরে আমাদের এলাকায় এই সমস্যা হচ্ছে৷ ’ ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুন্ত বলেন , ‘গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ের পরেও কোথাও জল সরবরাহ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়নি৷ তার পরেও কোথাও জল না -পাওয়ার অভিযোগ শুনলেই জলের গাড়ি পাঠানো হচ্ছে৷ ’ পুরসভা সূত্রে খবর , এ দিন পলতার জল সরবরাহের লাইনের পাইপের একটি ভাল্ভ খারাপ হয়ে যায়৷ মেয়র নিজে এ দিন দাবি করেন , যুদ্ধকালীন তত্পরতায় ইঞ্জিনিয়াররা সেই সমস্যা সামলে ফের ওই সংযোগ পথ দিয়ে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করেন৷ তিনি জানান , কসবা জলাধারের বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে এ দিন দুপুরে একটা সমস্যা হয়েছিল৷ কিন্ত্ত বিদ্যুত্ সংস্থার কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে সেই সমস্যার মোকাবিলা করেন৷

Similar questions