নির্জন বাড়িতে একাকী একদিন |
Write a Paragraph On this Topic within 250 words. Pls Help.
Answers
it might be helpful for you
বিকেলটা ছিল বিষন্ন।বিষন্ন দিনে গুমোট ভাব নিয়ে বিষন্ন বনে যাওয়াটা আমার একদম ভাল লাগেনা।তাই প্রকৃতির এরুপ বিরুপ আচরনেও গ্যারেজ থেকে নিজের ২০০৩ মডেলের করোলা জি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম লং ড্রাইভিং এর উদ্দেশ্যে।আমার সারাটা সময় রচনাকে ঘিরে আবর্তিত হলেও বিষন্ন দিনে তাকে আমার সঙ্গী করিনা।রচনা ব্যানার্জী আমার স্ত্রী।দীর্ঘ তিন বছর অক্লান্ত ভালবেসে লাভ করা আমার অমূল্য রতন।জীবনের ঝড়-তুফানের প্রতিটি মোড়ে দক্ষ সঙ্গীর মত আমাকে পাশে রাখলেও আমি এসব সিচুয়েশানে তাকে আমার যাত্রাসঙ্গী করিনা।একারনে রচনা ব্যানার্জীর অনেক ক্ষোভ।সেই ক্ষোভের সীমা যখন সহ্যের বাঁধ ভেঙে নিঙড়ে পড়ে,রচনা তখন তার বাপের বাড়ি গমন করে।সাধারনত তিন-চার দিনের বেশী রাগের ব্যাপ্তি বাড়েনা।ব্যাপ্তি কমলে আবার এই অধমের মাঝে ফিরে এসে মাথা গুজায়।এবার রচনা গেল দিনপঞ্জিকার পাতায় পাতায় প্রায় এক বছর হয়ে গেল,সেই যে গেল জীবনের প্রতিটি মোড়ে তাকে খুঁজে বেরিয়েছি,কিন্তু আমার প্রাণপাখিটাকে সঙ্গে করে নিয়ে কোথায় যে লুকিয়ে গেল আর খুঁজেই পায়নি।শ্বশুরের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে দেখি দরজায় 'তিন রিংয়ের্ִ সেই ঐতিহাসিক তালা ঝুলছে।প্রথম দিকে বারকয়েক এভাবে খুঁজাখুজি করলেও এখন আর করিনা।যে চলে গেছে,তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও যখন ফিরে পাওয়া যায়না,তখন তাকে তার মতই থাকতে দেয়া উচিত।আমিও মানুষ।সুতরাং এর ব্যতিক্রম আমিও করতে পারলাম না।
Answer:
একদিন যখন আমি বাড়িতে একা ছিলাম, তখন আমি ভয় পাওয়ার চেয়ে বেশি উত্তেজিত ছিলাম। আমার বাবা-মা আমন্ত্রণ ের জন্য গিয়েছিলেন এবং আমি তাদের সাথে যেতে আগ্রহী না হওয়ায় আমাকে পিছনে ফেলে গিয়েছিলেন। আমি পাখির মতো মুক্ত এবং আমার জীবনে প্রথমবারের মতো খুব স্বাধীন বোধ করছিলাম। আমার কাছে কিছু স্ন্যাকস ছিল যা আমার মা এক গ্লাস হট চকোলেটের সাথে প্রস্তুত করেছিলেন, যা আমার প্রিয়। তারপরে আমি পালঙ্কে ডুবে গেলাম এবং হার্ডি বয়েজের আমার প্রিয় গল্পগুলির মধ্যে একটি পড়তে শুরু করলাম।
আমি প্রায় এক ঘন্টা গল্পের বইটি পড়েছিলাম এবং তারপরে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ততক্ষণে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে.m। আমার প্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৭:০০ টায় শুরু হবে.m.; যদিও আমার মা আমাকে টেলিভিশন দেখার 'করণীয় এবং করণীয়' সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রায় দুই ঘন্টার জন্য যে কোনও উপায়ে আমি আমার জীবনের মাস্টার হব! আমি জানালা দিয়ে উঁকি মারলো। রাস্তায় পূর্ণিমা উজ্জ্বল ভাবে জ্বলজ্বল করছিল। কিছু শিশু শীতল উইনট্রি রাতে ব্যাডমিন্টন খেলছিল। জানালা দিয়ে একটি শীতল এবং তাজা বাতাস বইছিল।
আমি রান্নাঘরে গিয়েছিলাম এবং তারপরে রেফ্রিজারেটরে গিয়ে কিছু খেতে গিয়েছিলাম। কিছু খাওয়ার জন্য খুঁজে পেয়ে, আমি হল রুমে ফিরে আসি যেখানে আমি একটি পালঙ্ক আলু হয়ে ছিলাম এবং আমার প্রিয় টেলিভিশন প্রোগ্রামটি দেখেছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে.m এবং আমি পালঙ্কে আরামে বসে ছিলাম, যখন আলো নিভে গেল। এটি একটি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। হঠাৎ আমি নিজেকে অন্ধকারে দেখতে পেলাম। কি দুর্ভাগ্য, আমি মনে মনে ভাবলাম। আমি আমার চারপাশের অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে জরুরী আলো খুঁজতে গিয়েছিলাম। আমি অন্ধকারে কিছুটা ভয় পাচ্ছিল, কিন্তু পুরো পর্বটি অনেকটা এক ধরণের দুঃসাহসিক কাজের মতো খুঁজে পাচ্ছিল।
হঠাৎ আমি দরজায় একটি বিকট 'শব্দ' শুনতে পেলাম। আমার হৃদয় একটি স্পন্দন এড়িয়ে গেছে। আমি ঘাবড়ে গিয়ে কীহোল দিয়ে উঁকি মারছিলাম, কিন্তু কাউকে দেখতে পাইনি। তারপরে আবার আরেকটি জোরে নক! আমি তৎক্ষণাৎ দোতলায় প্রতিবেশীর কাছে ফোন করেছিলাম, যিনি বলেছিলেন যে তিনি এক মুহুর্তের মধ্যে আসছেন। এর মধ্যে আমি নিজেকে একসাথে ধরে দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি দরজা খুলে কাউকে দেখলাম না; কিন্তু আমি ভেবেছিলাম আমি ঘরে কিছু হামাগুড়ি দিতে দেখেছি। দেখে মনে হচ্ছিল যেন এক বা দুই রকম প্রাণী। আমি আমার প্রতিবেশীকে ফোন করতে দৌড়ে নেমে ছিলাম এবং তাকে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে দেখে স্বস্তি পেয়েছিলাম।
আমরা দুজনেই বাড়িতে প্রবেশ করলাম এবং রান্নাঘরে কিছু বকবক শুনতে পেলাম। আমরা ধীরে ধীরে উঁকি দিয়ে দেখলাম রান্নাঘরে টেবিলে দুটি প্রাণী বসে আছে। তারা বানরের মতো দেখতে ছিল এবং সত্যিই তারা ছিল। কী করতে হবে তা না জেনে আমরা পাড়াকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতক্ষণে শক্তি পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল এবং বানরগুলি ঠিক আমাদের দিকে দৌড়ে এসেছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমি তাক থেকে একটি বস্তা বের করে প্রাণীটির উপর ফেলে দিলাম। আমার প্রতিবেশী দ্রুত এটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দ্রুত বস্তাটি বেঁধে দেয়। অন্য বানরটি জানালা থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিল। এই দুই বানর বেশ কিছুদিন ধরে পাড়াকে যন্ত্রণা দিচ্ছিল; এবং এখন আমরা একটি ধরেছিলাম !
আমার বাবা-মা ততক্ষণে ফিরে এসেছেন এবং যখন তারা পুরো পর্বটি শুনেছিলেন, তখন তারা আমাকে নিরাপদে এবং সুস্থ দেখে খুশি হয়েছিলেন। তারা আমার প্রতিবেশীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পরের দিন চিড়িয়াখানা থেকে কর্তৃপক্ষ এসে বানরটিকে নিয়ে যায়। আমার আশেপাশের লোকেরা এখন বানরটিকে ফাঁদে ফেলার আমার সাহসী প্রচেষ্টার কথা বলছিল। আমি এখন শহরের নায়ক ছিলাম!
Hope it helps you :)