write an essay on environment pollution and effects in Bengali in 200 words
Answers
আশা করি দুটি থেকে যে কোনো একটি তোমার কাজে লাগবে।
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
ভূমিকা:-
বহুকাল পূর্বে পৃথিবীতে ‘ পরিবেশ দূষণ শব্দটি ছিল অজ্ঞাত । পুরাকালে আগুন আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গেই সূচিত হল অক্সিজেনের ধ্বংস লীলা । ক্রমে ক্রমে অতি যান্ত্রিকতায় মানুষ সভ্য হল , কলকারখানা সৃষ্টি হল , যন্ত্রচালিত যানবাহনের কোলাহলে মুখর হয়ে উঠল পৃথিবী । সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে কতভাবে যে পরিবেশ দূষণের ঘটনা ঘটছে তা বলে শেষ করা যায় না।
কারণ:-
আধুনিক যুগে কল - কারখানাগুলি শহরের সীমা ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপকভাবে তত । কল - কারখানায় জ্বালানাে গ্যাস কারখানার চিমনী দিয়ে ধোয়া অনবরত সুনীল আশকে করে তুলছে কালাে । পথে পথে অবিরাম ছুটে চলছে পেট্রোল , ডিজেল চালিত বাহন । যানবাহনের থেকে নির্গত ধোঁয়া আমরা শ্বাস - প্রশ্বাসের সঙ্গে নিজের অজান্তেই তো করে চলেছি । কার্বন মনাে - অক্সাইডে দূষিত পৃথিবীর বড় বড় শহর । বায়ু দূষণের সাথে সাথে যন্ত্রচালিত যানবাহনের শব্দেও দূষণ ছড়াচ্ছে । দূষণ থেকে নানা প্রকার রােগ ব্যাধি দেখা । কাচ্ছে । শব্দ দূষণের ফলে বধির হওয়ার মত অবস্থা । গ্রাম অঞ্চলেও পরিবেশ দূষণের মুলে । রয়েছে , কীটনাশক ঔষধ । জমির রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই কটিনাশক প্রবেশ করে জমিকে করে তুলছে । বিষাক্ত । শহরাঞ্চলের ময়লা আবর্জনা এবং কলকারখানার দূষিত পদার্থ নদীর জলে মিশে গিয়ে জলকে করছে দূষিত । গঙ্গার জল দূষণ আজ আমাদের কাছে এক বিরাট সমস্যা । শব্দ দূষণের মূল কারণ , গাড়ির হর্ণ , নানারকম বাজী ফাটানাে , মাইকের কর্ণবিদারী শব্দ প্রভৃতি । তাছাড়া কা , আধুনিক কালে আণবিক বােমা বিস্ফোরণের ফলে দূষণের মাত্রা কয়েক লক্ষ গুণ বেশি ।
প্রাকৃতিক ও মানবিক ক্ষতি :-
পৃথিবী জুড়ে চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানি , পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বােমা বিস্ফোরণের ফলে পৃথিবীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে , আবহাওয়ায় দেখা দিচ্ছে পরিবর্তন । কোথাও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে , কোথাও হ্রাস পাচ্ছে । ঋতুচক্রের আবর্তন ক্রমশঃ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । এইভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য যদি ক্ষুচা হয় , তবে মানুষ তথা প্রাণীকূলের অস্তিত্বই একদিন লােপ পাবে । দূষিত পরিবেশের মধ্যে আগামী প্রজন্ম , নতুন শিশুর জন্ম হবে পঙ্গুত্ব ও ব্যাধিগ্রস্থ অবস্থায় । যারা বেঁচে থাকবে তারা হবে অকালবৃদ্ধ জরাগ্রস্থ । মানুষের জীবনে দূষণ এক ভয়াবহ রূপ নিয়ে গ্রাস করছে । জলে দূষণ হচ্ছে মাটির গভীরে , নলকূপের জলে পাওয়া যাচ্ছে আর্সেনিক বিষ , যা পান করে অসহায় ভাবে বেঁচে থাকছে মানুষ।
উপসংহার :-
সুতরাং পরিবেশ দূষণের কারণগুলাে সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা আনার জন্য সংবাদপত্র , রেডিও , দূরদর্শন প্রভৃতি গণমাধ্যমগুলােতে প্রচার ও বিজ্ঞপ্তি হাজির করে সুস্থ পরিবেশের সচেতনতা বাড়াতে হবে । অ - পরিকল্পিতভাবে বন থেকে গাছ কেটে ফেলা নিষিদ্ধ করতে হবে , কারণ পরিবেশ দূষণ প্রতিকারে প্রকৃতি আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু । একটি গাছ একটি প্রাণ এই শ্লোগান নিয়ে বনসৃজন করে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার প্রয়াস আমাদের নেতৃবর্গ ও চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ নিয়েছেন । অরণ্য ধ্বংস নয় , প্রতিটি মানুষের জন্য আনুপাতিক হারে চাই অরণ্য সৃষ্টি । কার্বন মনােক্সাইডের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাবার জন্য পরানাে গাডিগুলাে বাতিল করা প্রয়ােজন । পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বােমা , রকেট নিক্ষেপ নিষিদ্ধ হওয়া চাই । সারা বিশ্বে ৫ই জুন ‘ বিশ্ব পরিবেশ দিবস ' পালন করা হয় । শুধু কথার ফুলঝুরি না ঝড়িয়ে , কাজের মধ্যে দিয়ে পরিবেশ দূষণ প্রতিরােধ ও দূষণ আতরােধ কল্পে জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে । মানব জাতির সম্মিলিত প্রচেষ্টা । পরিবেশ হবে দূষণ মুক্ত ।