গ) উদ্দীপকের ছকে উল্লিখিত Z মৌলের ১ টি পরমাণুতে বিদ্যমান নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয় কর।
Answers
Answer:
ক) আইসােটোপ কাকে বলে?
উত্তর: যে সকল পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে একে অপরের আইসোটোপ বলে।
খ) পারমাণবিক সংখ্যা বলতে কী বুঝ?
উত্তর: পারমাণবিক সংখ্যা বলতে প্রোটন সংখ্যাকে বোঝায়:
কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটনের সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলা হয়।
কোনো পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা দ্বারা ঐ পরমাণু কে চেনা যায়। প্রোটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যা কে Z দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
গ) উদ্দীপকের ছকে উল্লিখিত Z মৌলের ১ টি পরমাণুতে বিদ্যমান নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয় কর।
উত্তর: উদ্দীপকের উল্লিখিত Z মৌলটি হল C (কার্বন)। কার্বন মৌলের একটি পরমাণুতে বিদ্যমান নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয়-
দেওয়া আছে,
নিউট্রন এর পারমাণবিক সংখ্যা/প্রোটন সংখ্যা, Z =৬ এবং, ভরসংখ্যা, A =১৪
সুতরাং, নিউট্রন সংখ্যা =ভর সংখ্যা – প্রোটন সংখ্যা
=A-Z
=১৪-৬
=৮
সুতরাং, কার্বন মৌলের একটি পরমাণু তে বিদ্যমান নিউট্রন সংখ্যা ৮;
ঘ) উদ্দীপকের ছকে উল্লিখিত X ও Y মৌল দুটির পরমাণুসমুহের মধ্যে যৌগ গঠন সম্ভব- যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।
উত্তর: উদ্দীপকে উল্লেখিত X মৌলটি হল ক্লোরিন (Cl) এবং Y মৌলটি হল সোডিয়াম (Na)।
মৌল দুটির মধ্যে যৌগ গঠন সম্ভব।
সোডিয়াম এবং ক্লোরাইড মৌল দুটি আয়নিক যৌগ গঠন করে। দুটি মৌলের মধ্যে ইলেকট্রন আদান প্রদানের মাধ্যমে যে যৌগ গঠিত হয় তাকে আয়নিক যৌগ বলে।
এখানে সোডিয়াম হল ধাতু এবং ক্লোরিন হল অধাতু। ধাতু এবং অধাতুর মধ্যে যৌগ গঠনকালে আয়নিক বন্ধন তৈরি হয়।
আমরা জানি, সোডিয়ামের ইলেকট্রন সংখ্যা 11 এবং ক্লোরিনের ইলেকট্রন সংখ্যা 17।
সোডিয়াম মৌলের শেষ কক্ষপথে ১টি ইলেকট্রন এবং ক্লোরিন মৌলের শেষ কক্ষপথে ৭টি ইলেকট্রন রয়েছে।
প্রত্যেকটা পরমাণুই চায় তার শেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন অষ্টক পূর্ণ হোক বা নিষ্ক্রিয় গ্যাসের কাঠামো অর্জন করুক।
তাই, সোডিয়াম তার শেষ কক্ষপথের ইলেকট্রনটি ছেড়ে দিয়ে অষ্টক পূর্ণ হয় এবং ক্লোরিন সেই ইলেকট্রনটি গ্রহণ করে আর্গনের কাঠামো অর্জন করে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, X ও Y মৌল দুটির পরমাণুসমূহের মধ্যে আয়নিক যৌগ গঠন সম্ভব।
অর্থাৎ, সোডিয়াম ও ক্লোরিন এর সমন্বয়ে সোডিয়াম ক্লোরাইড(NaCl) গঠন সম্ভব। এটি খাবার লবণের সংকেত।
Answer:
বন্ধু এই উত্তরটি তো আমার কাছেও আছে। যাইহোক তুমি কি বাঙালি???