কি খাঁটি কথা এখানে কোন খাঁটি কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে
Answers
Answer:
প্রবাদ প্রবচন প্রতিটি ভাষার অমূল্য সম্পদ। বাঙালীর হাজার বছরের সংস্কৃতি তথা সামগ্রিক জীবনাচরণে প্রবাদ প্রবচন সমৃদ্ধ একটি ধারা হিসেবে বিবেচিত। প্রবাদ প্রবচনের মাধ্যমে বাঙালির জীবন, ধর্ম, সংস্কৃতি, আচার, বিশ্বাস ও রসবোধের পরিচয় পাওয়া যায়।
প্রবাদ ও প্রবচন প্রায় একই অর্থে এবং পাশাপাশি ব্যবহৃত হলেও এর মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান।
প্রবাদ
মানবসমাজের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতালব্ধ জীবনসত্যের স্মারক কোনো জনপ্রিয় বিদ্রুপাত্মক সংক্ষিপ্ত উক্তিকে প্রবাদ বলে।[১]
প্রবচন
প্রবচন হলো প্রজ্ঞাবান, মননশীল বা সৃজনশীল ব্যক্তির অভিজ্ঞতাপ্রসূত ব্যক্তিগত সৃষ্টি। এগুলো সাধারণত স্রষ্টার নামেই প্রচলিত হয় (যেমন: খনার বচন)। কবি, সাহিত্যিক বা প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিবর্গ এর উদ্ভাবক বা রচয়িতা। যেমন:
পিপীলিকার পাখা হয় মরিবার তরে। - কবি কঙ্কণ চণ্ডী
নগর পুড়িলে কি দেবালয় এড়ায়? - ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
বিনে স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা? - রামনিধি গুপ্ত
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী। - কাশীরাম দাস
বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। - সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
প্রবাদ ও প্রবচনের পার্থক্য
প্রবাদ ও প্রবচনের সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট পার্থক্য হলো প্রবাদ লোকসমাজ বা কালের সৃষ্টি। কিন্তু প্রবচন কবি, সাহিত্যিক বা প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির সৃষ্টি।[১] প্রবাদের কোনো লিখিত ভিত্তি নেই, কিন্তু প্রবচনের আছে। প্রবাদকে বলা যায়, লোকসমাজের অভিজ্ঞতার নির্যাস, একক কোনো ব্যক্তি এর রচয়িতা হিসেবে দাবি করতে পারে না। অন্যদিকে প্রবচন ব্যক্তিগত প্রতিভার দ্বারা সৃষ্ট বাক্য বা বাক্যাংশ। তবে, প্রবচন একসঙ্গে লোকসমাজের অধিকারে চলে আসে।
Answer:
কি খাঁটি কথা এখানে কোন খাঁটি কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে