India Languages, asked by barman43, 8 months ago

এসব আমার ই হবে, আমাকেই দেবেন বিধাতা। ভাবনাটি কার ? বিধাতা তাকে কী দেবেন ?

Answers

Answered by ramgopalyadav1431910
6

Explanation:

এবার হয়ত টিউব শিশুর বাবা টিউব মানুষ চেঁচিয়ে উঠবেন এ তো হিউমার! স্যাটায়ার!আয়রনি! হয়ত পাশ থেকে কেউ বলে উঠবে কই!এতো ব্রম্ভসত্য। প্রকৃতিসিদ্ধি। আত্মউচ্চারনের এক একটা ধাপ,যে ধাপ তার পরের ধাপকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি,নাকি চায়নি!প্যাঁচানো,বড্ড প্যাঁচানো তারাপদ রায়ের এই সিঁড়িগুলো; ব্যক্তিজীবনের ছায়া নয় ,যেন স্বয়ং ব্যক্তিজীবনই এসে বসেছে ইনএক্সিসটেন্স ভিসেরালে।তবে,তারাপদ রায়ের কবিতা ঠিক কেমন? নন্দনতত্ত্ব,গ্রহনতত্ত্ব ঠিক কোন বোধের সন্ধানী তার ছোটোখাটো হাওয়া তার নিরালা নির্দেশ? না,কবিতার উর্বরভূমি গড়তে কোনো তত্ত্ব নয় কোনো তাপঝাঁঝ নয় বরং বলা যেতে পারে তার কবিতা প্রচুর পড়াশোনা করেনা কেবল পাতাদের জড়ো করে আর শীতের কাছে নিয়ে গেলেই আগুন উঠে বসে, হাত পাতে-জ্বালাতে নয় জীবনানন্দে; আর এই কক্ষের অভিনবত্ব তার বিশালত্ব শুধুই তারাপদের, উত্তরাধিকারহীন বাউন্ডুলে যেন এক বিন্দুতে দাঁড়াতে জানে না; কোনো দুঃখই যেন তার মধ্যে বাসা বাঁধে না ,নাকি তারাপদ ছাড়া তার ভেতর তিলধারনের জায়গা নেই? কি আশ্চর্য অনায়াসে তিনি স্ব কে বর্জন করে অর্জন করছেন নিঃস্বকে; কি সহজেই প্রদক্ষিণ করছেন নিজেকে- ত্যাজ্য করছেন নিজেকে; হাসতে হাসতে পা মুছছেন যেখানে ওয়েলকাম লেখা নেই। শব্দের যৌথতায় দাঁড়িয়েও যেন অতিদূর নৈঃশব্দে জমছে শহর জমছে মানুষ ভাঙছে পুরোনো লেপ আর নতুন লেপ বানাতে সাড়ে সাতশো তুলো কমে যাচ্ছে;তার কবিতায় তাই অসংখ্য পায়ের ছাপ ছাড়া আর কোনো মাপদন্ড নেই;এই সাড়ে সাতশো তুলোর জন্যই যেন বারবার ঘেঁটে দিয়েছেন তার শব্দের বিছানা –চাদর আর খুঁজে দেখেছেন নিজস্ব তাঁতঘর যেখানে হাওয়া এসে ছিঁড়ে দেয় কলাপাতা আর দু একটা সোজা রাস্তা চাইলেই কাটা পড়ে সাড়ে সাতশো বাবলাঝোপ সাড়ে সাতশো বক্রতা;ব্যজোক্তির গড়নে লেখা কবিতায় সবসময়ই তিনি এক অন্য পাড়া রেখে এসেছেন –রেখে এসেছেন স্বয়ং তারাপদকে যে কথার হিসেব মেলায়নি বরং কবিতা ছড়িয়ে দিয়েছে কথার আদলে কৌতুকের আভিজাত্যে; সহজ শব্দের কাছে ফেলে গেছেন সবুজ পাশপোর্ট আর সীমান্তের ট্রেন থেকে ভিজতে ভিজতে নেমে প্রথম জুতো পালিশওয়ালাকে ঈশ্বর বলে বুকে টেনে নিয়েছেন; বড় গোলমেলে তাই না? বড় ঘুলিয়ে দেওয়া!আসলে, কথাকে উৎসাহী করতে কৌতুকের আড়ালে যখন দাঁড় করাতে চান নিজেরই অন্তর্মানচিত্রকে,তখন নিমগ্ন বিস্ময় ছাড়া আর কিইবা অবশিষ্ট থাকতে পারে? তার কবিতার ভাষা সহজ,শব্দটিকে বসাতে সেখানে অনুমতি লাগে না, তাই হয়ত তার কবিতার পরিচর্যা নেই, পড়ে থাকে সে ছাইরঙা বেতের চেয়ারে;গোপন থেকে ডালটি উঁকি দেয়, পাখি সেই ডালে এসে বসে, নাড়ায়, আর পাঠক ডাল ধরে দোলা খায়। আর একটা খুব জোর ফুঁ এসে অভ্যর্থনার দিকে নিয়ে যায় দৃষ্টির ভেতর লেগে থাকা দর্শনের নিঃসঙ্গ অংশগ্রহনটুকু।আর তারাপদ? সিরিয়াস কবিতার কোষ্টীচক্রে সহজাত কবির সাক্ষাৎকার কে নেবে? নিরূপায় যাত্রীর মত কোনো রকমে মাথা গুঁজে পাদানিতে ঝুলে থাকেন। তিনিও তো চান প্রয়োজনহীন বেঁচে থাকতে কারন আয়না ভাঙতে ভাঙতে কবেই তো তোলা হয়ে গেছে সেই সহজ বাতাস সেই ঝকঝকে মেঘ। এখন পাপোষে পা মুছে ফিরে যেতে চান গন্তব্যহীন। লক্ষ্যহারা । পাঠক খুঁজুক, এধার থেকে ওধার-দাঁত নখ হারানো খোলা জানলায়

i hope this was helpful to you please mark as brainliest answer

Answered by sudipchowdhury2015
8

Answer:

উপরিউক্ত পংক্তিটি তারাপদ রায়ের লেখা "একটি চড়ুই পাখি" নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। ভাবনাটি একটি চড়ুই পাখির।

Explanation:

লেখকের ঘরে যেখানে চড়ুই পাখি বাসা বেঁধেছিল সেখানে থাকা - জানলা দোর, টেবিলে ফুলদানি,বই খাতা সব কিছুই বিধাতা তাকে দেবে বলে মনে করেছে।

Similar questions