History, asked by biswasanneswa8, 9 months ago

তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার কি কি উদ্যোগ নিয়েছিলেন?​

Answers

Answered by MohakBiswas
8

Answer:

স্বাধীনতা আন্দোলনে অখণ্ড মেদিনীপুর জেলার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই আন্দোলনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ছিল বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক, মহিষাদল, সুতাহাটা। ১৯৪২ সালে ব্রিটিশদের নির্যাতন তখন তুঙ্গে। মহিষাদল থানার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি গ্রামে ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউই বাদ যেত না শাসকের অত্যাচার থেকে। সেই সময়ে মহিষাদলের মাশুড়িয়া, চণ্ডীপুর-সহ কয়েকটি গ্রামে ৪৬ জন মহিলার সম্মানহানি করে ব্রিটিশ সৈন্যরা।

মহাত্মা গাঁধি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দিলে তমলুকের মাতঙ্গিনী হাজরা এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। মেদিনীপুরে মাতঙ্গিনী হাজরা ও রামচন্দ্র বেরার নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ ১৯৪২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নানাদিক থেকে এসে তমলুক থানা ও আদালত অবরোধ করেন। ৭৩ বছর বয়স্কা কৃষকবধূ মাতঙ্গিনী হাজরা তমলুক আদালতের উপরে ভারতের ত্রিবর্ণ-রঞ্জিত পতাকা তুলতে গিয়ে ব্রিটিশের গুলিতে প্রাণ হারান।

এইসব ঘটনার মধ্যেই স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্ব নারকেলদহ গ্রামে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এক গোপন বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই ইংরেজেদের শাসন অস্বীকার করে নতুন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয়। সর্বাধিনায়ক হন বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। এই সরকারের বিভিন্ন বাহিনী গঠিত হয়। এই জাতীয় সরকার সে সময় পৃথক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। আইন-শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচার, কৃষি, প্রচার, সমর ইত্যাদি বিভাগে পৃথক পৃথক সচিব নিয়োগ করা হয়েছিল। সবার উপরে ছিলেন সর্বাধিনায়ক বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। অর্থসচিব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজয়কুমার মুখোপাধ্যায় এবং সমর ও স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন সুশীলকুমার ধাড়া। ১৯৪৪ সালে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের অস্তিত্ব।

১৯৪৩ সালের জুন মাসে গ্রেফতার বরণের আগে পর্যন্ত সতীশচন্দ্র এই সরকার পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সফলভাবে কাজ করেছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণকার্যও চালায় এই সরকার।

Answered by km326839gmail
2

Answer:

১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয়। ব্রিটিশ শাসনকালে এটি ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সমান্তরাল জাতীয় সরকার। [১][২] সর্বাধিনায়ক হন বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। এই সরকারের বিভিন্ন বাহিনী গঠিত হয়। এই জাতীয় সরকার সে সময় পৃথক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। আইন-শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচার, কৃষি, প্রচার, সমর ইত্যাদি বিভাগে পৃথক পৃথক সচিব নিয়োগ করা হয়েছিল। সবার উপরে ছিলেন সর্বাধিনায়ক বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। অর্থসচিব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজয়কুমার মুখোপাধ্যায় এবং সমর ও স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন সুশীল কুমার ধাড়া। ১৯৪৪ সালে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের অস্তিত্ব। [৩][৪][৫] এই জাতীয় সরকারের সংবাদপত্র বা মুখপত্র বিপ্লবী প্রকাশিত হত। মূল মুখপত্রের কপি দিল্লির নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়া অ্যান্ড লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত আছে।

তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার

গঠিত

১৭ ডিসেম্বর ১৯৪২

বিলুপ্ত

৮ আগস্ট ১৯৪৪

ধরন

স্বাধীন সমান্তরাল জাতীয় সরকার

যে অঞ্চলে

তমলুক, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি

সর্বাধিনায়ক

সতীশচন্দ্র সামন্ত

১৯৪৩ সালের জুন মাসে গ্রেফতার বরণের আগে পর্যন্ত সতীশচন্দ্র এই সরকার পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত সফলভাবে কাজ করেছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণকার্যও চালায় এই জাতীয় সরকার।

তাম্রলিপ্ত এলাকার অনেক জাতীয়তাবাদী ধনী ব্যক্তি সেইসময় এই সরকারের বৈপ্লবিক কাজের জন্য অর্থপ্রদান করে ছিলেন। সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে গ্রামের জমিদার সকলেই সাধ্যতন অর্থ জুগিয়ে গেছেন।

Similar questions