তোমার প্রিয় রিতু ও তার বৈসিষ্ট লেখ
Answers
Answer:
1925 0Answer
1 Answer
fajal89
Added an answer on April 18, 2020 at 6:22 am
শরৎকাল
সূচনা: ঋতুররানী শরৎ কাল, বাংলার তৃতীয় ঋতু। বর্ষার ঘন বাদল বৃষ্টি শেষ হলে আগমন ঘটে শরতের। ভাদ্র আশ্বিন মাস নিয়ে গঠিত এই ঋতু। এই ঋতুতে এই দূর্গা বাংলা মায়ের আবির্ভাব ঘটে এবং সমস্ত বাংলা জুড়ে উদযাপিত হয় দুর্গোৎসব।
শরৎ এর বৈশিষ্ট্য: শ্রাবণ শেষে অবিরত বৃষ্টির বিরাম ঘটলেই প্রকৃতি নতুন রূপে সাজে। আকাশের বুকে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘ, রোদ হয় ঝলমলে আর বাতাস হয় নির্মল। আকাশের উজ্জ্বল নীলিমার প্রান্ত ছুঁয়ে মালার মত উড়ে যায় পাখির ঝাঁক। শরৎ নিয়ে আসে এক মাধুর্য।ফলে যাহার পৃথিবী এক অপরূপ মহিমায় পরিণত হয়। সূর্যের আলোয় সবুজ ধানের ক্ষেত হয়ে মনমুগ্ধকর।
শরৎ কালের রুপ: শরৎকালের প্রকৃতিতে লক্ষ করা যায় এক অনন্য রূপ। গাছপালা বৃক্ষ হয়ে ওঠে সতেজ ও সুন্দর । চারিদিকে সবুজের ছড়াছড়ি মনে হয়। ধানের ক্ষেতের মাঠ হয়ে ওঠে সবুজ প্রান্তর । নদীর ধারে উঠে উঁকি দেয় সাদা সাদা কাশফুল। শিউলি তলায় হালকা শিশিরে ভেজা দূর্বাঘাসের ওপর চাদরের মত বিছিয়ে থাকে সাদা আর জাফরন রং মেশানো রাশি রাশি শিউলিফুল। শরতের আগমনে বাংলার বন কোয়েল, দোয়েল ময়নার কল কাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে। সাজে এক অপরূপ সাজে।
শরতের দুর্গোৎসব: শরৎকাল এর মূল আকর্ষণ দুর্গোৎসব বা দূর্গাপুজা। যা বাঙালির প্রধান উৎসব। তাই দুর্গাপূজা কে শারদীয় উৎসবে বলা হয় । দুর্গা মায়ের আগমনের জন্য বাঙালি অপেক্ষা করে সারা বছর ধরে। সেই অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে দুর্গা মা নিয়ে আসেন আনন্দ বাংলার ঘরে ঘরে। আকাশে বাতাসে মুখরিত হয় বাংলা মায়ের আগমনের ধ্বনি। উৎসবের আনন্দে বাঙালি হয় মাতোয়ারা। স্কুলের ছুটি হলে ছোটদের মধ্যে আনন্দের সীমা থাকে না। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা ছাড়াও লক্ষ্মীপূজা কালীপূজা এই শরৎ কালেই উদযাপিত হয়।
উপসংহার: আকাশের সাদা মেঘের ভেলা আর নদীতীরে সাদা কাশফূল,ভোরে হালকা শিউলিভেজা শিউলিফুল আর দূর্গা মায়ের আগমন সব মিলিয়ে শরৎ যেন শুভ্রতার ঋতু।শরৎকালে রাতের বেলায় জ্যোৎস্নার রূপ অপরূপ ।মেঘমুক্ত আকাশ থেকে কল্প কথার পরীরা ডানা মেলে নেমে আসে পৃথিবীতে।শরতের জ্যোৎস্নার মোহিত রূপ নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যায় না । বলা যায়, শরৎ বাংলার ঋতু – ঋতুর রানী।
Answer:
hagajjsnshhshsudhsgysywgwjsusbdhxhdvdhzywjsosbsysbsjusgwhsus