‘তা নদীমা তোর মেয়ের সারা গায়ে গয়না পরিয়ে দিয়েছেন।
সােনা গল্পে চাষি কাকে, কেন একথা বলেছিল ?
Answers
Answer:
গৌরী ধর্মপালের লেখা "সত্যি সোনা" গল্পে চাষী তার বউকে একথা বলেছিল। চাষী ও তার বউ তাদের মেয়ে সােনাকে নিয়ে নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল। মেয়েকে ভালাে করে স্নান করিয়ে দেওয়ার পর গা মোছাতে গিয়ে চাষি দেখে গায়ে বালি চিকচিক করছে। বারবার মুছে ও ছেড়ে দেওয়ার পরেও গা থেকে বালি গেল না। তখন চাষী ভালাে করে লক্ষ্য করে দেখলো আর বললো এ তাে বালি নয়, এ যে দেখছি সােনা!" গায়ে এই রকম সােনা দেখে চাষী বলেছিল যে নদীমা তাদের মেয়ের গায়ে সােনা পরিয়ে দিয়েছেন।
অতিরিক্ত তথ্য-
গল্পটি পড়ে আমরা জানতে পারব যে, এক বৃদ্ধ চাষির মৃত্যুশয্যায়। সেই চাষির ছেলে বড়ই অলস। মারা যাবার সময় সেই চাষি তার ছেলেকে কাছে ডাকলেন এবং বললেন যে, তার জমানো সোনা তাদের চাষের জমির মধ্যে পুঁতে রাখা আছে। এই বলে তিনি মারা গেলেন। এদিকে অলস ছেলের লোভ ছিল ষোল আনা। কিন্তু চাষির ছেলের বউ ছিল খুব বুদ্ধিমতী। চাষির ছেলে তার বউয়ের পরামর্শে এবং সোনা পাবার লোভে দুজন মজুরকে সাথে নিয়ে গোটা জমি খুড়ে ফেললেন। কিন্তু কোন সোনা পাওয়া গেল না। তখন বউয়ের কথায় চাষির ছেলে বাজার থেকে সেরা ধানের বীজ কিনে নিয়ে আসে এবং সেই চষে ফেলা জমিতে সেই বীজ ছড়িয়ে দেয়। তারপর যথারীতি নামে বর্ষা। উপযুক্ত পরিবেশে সেবছর ফসল ফলে খুব ভালো। মাঠ ভরা পাকা ধানের রাশি দেখে মনে হয় কেউ যেন সত্যি সত্যি মাঠে সোনা ঢেলে দিয়েছে। ফসল কাটার পর চাষির ছেলে তা হাটে বিক্রি করে এক থলি টাকা উপার্জন করে। তখন সে উপলব্ধি করে যে, কঠোর পরিশ্রম করলে এবং বুদ্ধিকে কাজে লাগালে তার পুরস্কার অবশ্যই পাওয়া যায়।