India Languages, asked by sudiptadas111978, 9 months ago

৩.১ “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে!” – তপনের এমন মনে হওয়ার কারণটি লেখাে।
৩.২ “আমরা ভিখারি বারাে মাস” – এই উপলব্ধির মর্মার্থ লেখাে।​

Answers

Answered by bipinsingh7034
15

Explanation:

উঃ বিখ্যাত লেখক শ্রীপান্থ রচিত 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে লেখক জানিয়েছিলেন কিভাবে কালি ও কলম জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বর্তমানে কম্পিউটার আমাদের লেখালেখির মূল মাধ্যম হলেও একসময় কালি ও দোয়াত ছিল লেখার একমাত্র উপাদান । সেই দিনগুলির কথা লেখক স্মরণ করেছেন ।

ঘরোয়া কালি তৈরির নানা রকম পদ্ধতি ছিল, সবচেয়ে ভালো পদ্ধতিটির সম্পর্কে প্রাচীনদের দ্বারা কথিত একটি শ্লোক পাওয়া যায় --

"তিল ত্রিফলা সিমুল ছালা

ছাগ দুগ্ধে করি মেলা

লৌহপাত্রে লোহায় ঘসি

ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি ।"

অর্থাৎ তিল, ত্রিফলা ( আমলকী, হরীতকী, বহেড়া ) আর সিমুল ছাল ছাগলের দুধে মিশিয়ে লোহার পাত্রে সেই দ্রবণকে লোহার পাত দিয়ে ঘষলে উৎকৃষ্ট মসি অর্থাৎ কালি তৈরি হয় যা কাগজ ছিঁড়ে গেলেও নষ্ট হয় না । এরপর লেখক জানিয়েছেন তাকে কালি তৈরি করতে মা, পিসি, দিদিরা সাহায্য করতেন । তাদের কালি তৈরির পদ্ধতি ছিল অত্যন্ত সহজ । বাড়ির রান্না হত কাঠের উনুনে । তাতে কড়াইয়ের তলায় বেশ কালি জমত ।লাউ পাতা দিয়ে তা ঘষে তুলে একটা পাথরের বাটিতে রেখে জলে গুলে নেওয়া হত । লেখক জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে যারা ওস্তাদ তারা সেই কালো জলে হরিতকী ঘষতেন। কখনো কখনো মাকে দিয়ে আতপ চাল ভেজে পুড়িয়ে তা বেটে সেই তরলে মেশাতেন। সব ভালো করে মেশাবার পর একটা খুন্তির গোড়ার দিকটা পুড়িয়ে লাল টকটকে করে সেই জলে ডুবিয়ে দিতেন । অল্প জল হওয়ায় তা টগবগ করে ফুটত। তারপর ন্যাকড়ায় ছেঁকে দোয়াতে ঢেলে রাখা হত । (এইভাবে প্রাবন্ধিক কালি প্রস্তুত করতেন ।) দোয়াত মানে তখন ছিল মাটির দোয়াত । বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, ঘরে তৈরি কালি আর কলাপাতা -- এই সব নিয়ে লেখকদের প্রথম লেখালেখি শুরু । এভাবে কালি তৈরি প্রসঙ্গ এনেছেন ।

২. 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে লেখকের ছেলেবেলার হোমটাস্ক দেখানোর জন্য কোন্ ব্যবস্থার কথা বলেছেন ?

উঃ শ্রীপান্থ 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে ৫০-৬০ বছর আগে তার বাল্যকালে গ্রাম বাংলার মানুষ লেখার জন্য যে উপায় বেছে নিয়েছিলেন তা উল্লেখ করেছেন । এই আলোচনার প্রসঙ্গক্রমে লেখক তার ছেলেবেলার স্কুলের হোমটাস্কের প্রসঙ্গের অবতারণা করেন ।

লেখকের মতো যারা অজ পাড়াগাঁয়ে শৈশব কাটিয়েছেন তারা এখনকার মতো কলম ব্যবহার করতেন না। সরু বাঁশের কঞ্চি কেটে কলম তৈরি হত। তারপর সেই কঞ্চির সূঁচালো মুখটা চিরে দেওয়া হত যাতে একসঙ্গে অনেকটা কালি গড়িয়ে না পড়ে । সে সময় লেখার জন্য কাগজের পরিবর্তে ব্যবহার করা হত কলাপাতা । সেগুলি কাগজের মতো মাপ করে কেটে নিয়ে তার ওপর কঞ্চির কলমে ঘরের তৈরি কালি দিয়ে লিখে হোমটাস্ক করতে হত তখনকার ছাত্রদের । ওই কলাপাতা গুলি বান্ডিল করে স্কুলে নিয়ে যেতে হত। শিক্ষক মহাশয় হোমটাস্ক দেখে বুঝে আড়াআড়িভাবে ছিঁড়ে পর্বতের ফেরৎ দিতেন। স্কুল থেকে ফেরার পথে ছাত্র-ছাত্রীরা ওই হোমটাস্কের কলাপাতা গুলি কোনো পুকুরে ফেলে দিত। কারন তখন তারা বিশ্বাস করত এই পাতা যদি কোনো ভাবে গোরুতে খায় তবে তা ভয়ানক অমঙ্গল ।

৩. 'আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন পেন কেনার কথা' -- লেখকের প্রথম ফাউন্টেন পেন কেনার অভিজ্ঞতা লেখো ।

উঃ ফাউন্টেন পেন কেনার অভিজ্ঞতা : বিখ্যাত লেখক শ্রীপান্থ রচিত হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ থেকে আলোচ্য অংশটির নেওয়া হয়েছে ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কয়েক বছর পর লেখক কলেজ স্ট্রিটের এক দোকানে গিয়েছিলেন পেন কিনতে ‌। দোকানি পেনের নাম জানতে চাইলে লেখক কিছুটা থতমত খেয়ে গেলেন । দোকানদার লেখককে একে-একে পেনের দাম ও নাম বলতে থাকলেন। শেষে লেখকের পকেটের অবস্থা বুঝে নিয়ে সস্তার একটি জাপানি পাইলট পেন লেখকের সামনে ধরলেন। শুধু তাই নয় পেনটি কতটা শক্তপোক্ত, টেকশয় সেটা বোঝানোর জন্য লেখকের সামনে ছোটোখাটো একটা ডেমো দিলেন। পেনের মুখ থেকে খাপটা সরিয়ে কলমটা ছুড়ে দিলেন টেবিলের পাশে রাখা কাঠের বোর্ডের উপর। সার্কাসে যেমন ছুরির খেলা দেখায় ঠিক সেই রকম । বোর্ড থেকে পেনটা খুলে এনে দু-এক লাইন লিখে লেখককে দেখিয়ে দিলেন নিব ঠিক আছে । লেখক সেদিন জাপানি পাইলট নিয়ে ঘরে ফিরেছিলেন, যা তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী হিসেবে ছিল।

Kya yeh right answer hai

Similar questions