িষয়--জী ন বিঞ্জান
১)হিল বিক্রিয়া কাকে বলে?সালােকসংশ্লেষ প্রক্রির রসা নিক সমীকরনটি লেখ।
২)রসের উৎস্রোত কি?সবাত ও অবাত শ্বসন এ পার্থক্য লেখ।
৩)পরভােজী পুষ্টি কয় প্রকার?প্রত্যেক প্রকারের উদাহরন সহ আলােচনা কর।
৪)গদ ও রজন এর উৎস ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব লেখ।
৫)হৃৎপিন্ডের লম্বচ্ছেদ অথবা নেফ্রনের একটি চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন কর।
৬)সহজাত ও অর্জিত অনাক্রম্যতা বলতে কি বােঝ?AIDS রােগের জন্য দায়ী জীবাণুটির নাম লেখ।
Answers
Answer:
6CO2+12H2O C6H12O6+6O2+6H2O
(ii) C6H12O6+6O2+6H2O+38ADP+38Pi 6CO2+12H2O+38ATP
ক. আত্তীকরণ শক্তি কী?
খ. অবাত শ্বসনে কম শক্তি উৎপন্ন হয় কেন?
গ. (i) ও (ii)-এর মধ্যে পার্থক্য করো।
ঘ. (i) নং বিক্রিয়ায় নির্গত অক্সিজেনের উৎস কী? তোমার উত্তরের সপক্ষে প্রমাণ দাও।
উত্তর: ক. সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ে রাসায়নিক শক্তি হিসেবে ATP ও NADPH2 উৎপন্ন হয়। ATP ও NADPH2-কে আত্তীকরণ শক্তি বলে।
উত্তর: খ. অবাত শ্বসন প্রক্রিয়ায় শর্করা পুরোপুরি না ভেঙে আংশিকভাবে ভাঙে। এ কারণে জৈবশক্তি বেশি পরিমাণে উৎপন্ন হতে পারে না। অবাত শ্বসনে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শর্করা সম্পূর্ণরূপে জারিত হতে পারে না। ফলে কম শক্তি উৎপন্ন হয়।
উত্তর: গ. (i) হলো সালোকসংশ্লেষণের বিক্রিয়া এবং (ii) হলো শ্বসনের বিক্রিয়া। নিয়ে সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসনের মধ্যে পার্থক্য দেওয়া হলো:
সালোকসংশ্লেষণ শ্বসন
১. এ প্রক্রিয়ায় আলোকশক্তি রাসায়নিক স্থির শক্তিতে পরিণত হয়। ১. এ প্রক্রিয়ায় স্থিরশক্তি গতিশক্তিতে পরিণত হয়।
২. এ প্রক্রিয়ায় শক্তি সঞ্চিত হয়। ২. এ প্রক্রিয়ায় শক্তি নির্গত হয়।
৩. ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত সজীব কোষে হয়। ৩. সকল সজীব কোষে সংঘটিত হয়।
৪. সূর্যালোকের উপস্থিতিতে এ প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। ৪. দিবা-রাত্রি চব্বিশ ঘণ্টাই এ প্রক্রিয়া চলে।
৫. পানি ও CO2 প্রধান উপাদান। ৫. জটিল খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে শর্করা ও O2 প্রধান উপাদান।
৬. উদ্ভিদ CO2 গ্রহণ করে এবং O2 ত্যাগ করে। ৬. উদ্ভিদ O2 গ্রহণ করে এবং CO2 ত্যাগ করে (সবাত শ্বসনে)।
৭. এটি একটি উপচিতি প্রক্রিয়া, তাই উদ্ভিদের ওজন বাড়ে। ৭. এটি একটি অপচিতি প্রক্রিয়া। তাই উদ্ভিদের ওজন কমে।
উত্তর: ঘ. উদ্দীপকে (i) বিক্রিয়াটি সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার। এ প্রক্রিয়ায় দেখা যায়, এক অণু গ্লুকোজ তৈরির সময় ছয় অণু অক্সিজেন নির্গত হয়। এ বিক্রিয়ায় পানি ও CO2 অংশগ্রহণ করে। সুতরাং বলা যায়, সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় যে অক্সিজেন নির্গত হয় তা অবশ্যই পানি বা CO2 থেকে আসে। পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নির্গত অক্সিজেনের উৎস পানি। কয়েকটি পরীক্ষার মাধ্যমে নিম্নে এটি প্রমাণ করা হলো:
(১) হিল বিক্রিয়া: ১৯৩৭ সালে রবিন হিল নামক ইংরেজ প্রাণরসায়নবিদ একটি পরীক্ষা করেন। তিনি CO2-এর অনুপস্থিতিতে পৃথককৃত ক্লোরোপ্লাস্ট, পানি ও কিছু অজৈব জারক তথা হাইড্রোজেন গ্রাহক একত্রে আলোতে রাখেন। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, CO2-এর অনুপস্থিতিতে কোনো শর্করা তৈরি হয় না, কিন্তু অক্সিজেন নির্গত হয়। আসলে পানির হাইড্রোজেন অজৈব জারক তথা হাইড্রোজেন গ্রাহককে বিজারিত করে এবং অক্সিজেন বের হয়ে আসে। হিলের এ পরীক্ষা থেকে প্রমাণিত হয়, সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নির্গত অক্সিজেনের উৎস পানি। হিল বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
A (অজৈব জারক) + H2O আলো AH2+1/2O2
ক্লোরোফিল
২. ভ্যান নীল-এর পরীক্ষা: ভ্যান নীল সালোকসংশ্লেষণকারী সালফার ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে দেখান যে সালফার ব্যাকটেরিয়া পানির পরিবর্তে H2S গ্যাস ও CO2 ব্যবহার করে শর্করা ও পানি উৎপন্ন করে। কিন্তু সেখানে কোনো O2 নির্গত হয় না। তবে সালফার অণু নির্গত হয়। কাজেই এখানেও পরোক্ষভাবে প্রমাণিত হয় সালোকসংশ্লেষণে নির্গত অক্সিজেনের উৎস পানি।
2H2S + CO2 আলো 2S+(CH2O) + H2O
৩. রুবেন ও কামেন-এর তেজস্ক্রিয় চিহ্নিতকরণ পরীক্ষা: ১৯৪৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যামুয়েল রুবেন ও কামেন তেজস্ক্রিয় O218 (অক্সিজেনের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ) দ্বারা পানির অক্সিজেনকে চিহ্নিত করেন এবং ওই পানিতে কতগুলো শৈবালজাতীয় উদ্ভিদ রেখে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার ফল লক্ষ করেন।
6CO2+12H2HO18 সূর্যালোক C6H12O6+6H2O+6O218
ক্লোরোফিল
দেখা গেল, নির্গত অক্সিজেন তেজস্ক্রিয়। এতে নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় যে সালোকসংশ্লেষণে নির্গত অক্সিজেনের উৎস পানি। একই পদ্ধতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে O218 দ্বারা চিহ্নিত করে এবং স্বাভাবিক পানি ব্যবহার করে একই পরীক্ষা করা হলো।
6CO218+12H2O সূর্যালোক C6H12O618+6H2O18+6O2
ক্লোরোফিল
এবার দেখা গেল, শর্করা ও পানিতে তেজস্ক্রিয় অক্সিজেন বিদ্যমান। কিন্তু সালোকসংশ্লেষণের ফলে নির্গত অক্সিজেন মোটেই তেজস্ক্রিয় নয়। সুতরাং সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলো যে (i) বিক্রিয়ায় (সালোকসংশ্লেষণ) নির্গত সবটুকু অক্সিজেনের উৎস পানি