নবম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান
নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১. দেহস্থ রক্তের বহিরাগত রােগ-জীবানু ধ্বংস করার পদ্ধতির নাম লেখাে।
২. অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির রাসায়নিক ধর্মের এবং কাজের পার্থক্য লেখাে।
৩. মানুষের প্রধান রেচন অঙ্গের গঠনগত ও কার্যত একক এর একটি চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করাে
৪. রেচন জীবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া কেন তার দুটি কারণ উল্লেখ করাে ।
Answers
Answer:
অ্যান্টিবডি বা প্রতিরক্ষিকা (ইংরেজি ভাষায় Antibody অ্যান্টিবডি বা Immunoglobulin ইমিউনোগ্লোবুলিন[৪] "প্রতিরক্ষা গুটিকা") হল দেহে বহিরাগত পদার্থের বা প্রতিরক্ষা-উদ্দীপকের (অ্যান্টিজেন) উপস্থিতির প্রত্যুত্তর হিসেবে দেহের অনাক্রম্যতন্ত্র (তথা প্রতিরক্ষাতন্ত্র) কর্তৃক উৎপন্ন এক ধরনের ইংরেজি ওয়াই-আকৃতির (গুলতির মত দেখতে) প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিন জাতীয় পদার্থ। প্রতিরক্ষিকাগুলি প্রতিরক্ষা-উদ্দীপকগুলিকে শনাক্ত করে এবং এগুলির গায়ে তাদের ওয়াই-আকৃতির বাহুদ্বয়ের অগ্রপ্রান্তগুলির মাধ্যমে আবদ্ধ হয়ে এগুলিকে দেহ থেকে বিতাড়ন করার চেষ্টা করে।[৫][৬] দেহ বহু ধরনের পদার্থকে প্রতিরক্ষা-উদ্দীপক হিসেবে গণ্য করতে পারে, যেমন রোগব্যাধি সংক্রামণকারী জীবাণু (ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া), বিষাক্ত পদার্থ যেমন কীটপতঙ্গের বিষ, বহিরাগত প্রোটিন, ইত্যাদি। প্রতিরক্ষিকাগুলি লক্ষ লক্ষ ধরনের হয়ে থাকে। এগুলি দেহের লসিকাকোষ নামক এক ধরনের কোষে স্বাভাবিকভাবে উৎপন্ন হয়। প্রতিরক্ষিকাগুলি দেহের অনাক্রম্যতন্ত্রের (প্রতিরক্ষাতন্ত্রের) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সমস্ত মেরুদণ্ডী প্রাণীর রক্তের গামা গ্লোবিউলিন (গামা গুটিকা) অংশেই প্রধানত অ্যান্টিবডি বা প্রতিরক্ষিকা পাওয়া যায়।[৭]