History, asked by arpankoley2018, 9 months ago

টাকা লেখাে :
ক) হিন্দ মেলা​

Answers

Answered by DEBOBROTABHATTACHARY
0

১৮৬৭ সালে রাজনারায়ণ বসু এবং নবগোপাল মিত্রের সহায়তায় চৈত্র সংক্রান্তির দিন কলকাতায় হিন্দু মেলা নামে একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে ওঠে। চৈত্র মাসের দিন গড়ে উঠেছিল বলে একে অনেকে চৈত্র মেলা বলে থাকেন। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে হিন্দু মেলার প্রথম বার্ষিক সভায় এবং পরবর্তী সময়ে জ্ঞানেন্দ্র নাথ ঠাকুরের গাও ভারতের জয় গানটি কে গ্রহণ করা হয়। পড়ে এই গান টি দেশপ্রেমিকদের জাতীয় সংগীত হয়ে ওঠে।

হিন্দুমেলার যে সকল সদস্যবৃন্দ ছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল - রাজনারায়ণ বসু, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিয়ারী চরণ সরকার, রাজা কমল কৃষ্ণ বাহাদুর, এবং গিরিশচন্দ্র ঘোষের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ।

বাংলার বুকে যে সমস্ত সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল তার মধ্যে হিন্দু মেলা বা চৈত্র মেলা ছিল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ১৮৭৫ সালের বার্ষিক সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজনারায়ণ বসু। এই সভাতেই কিশোর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর হিন্দু মেলার উপহার কবিতাটি আবৃত্তি করেন।

হিন্দু মেলার উদ্দেশ্য

তদানীন্তন সময়ে বাংলার বুকে যে সকল সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল তাদের সকলের গড়ে ওঠার পেছনে কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল। ঠিক একই রকমভাবে হিন্দুমেলা গড়ে ওঠার উদ্দেশ্য ছিল সেগুলো নিম্নরূপ -

° ভারতীয় বা দেশীয় সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছিল।

° যাতে মানুষ দেশীয় ভাষা নিয়ে চর্চা শুরু করতে পারে সেটিও ছিল হিন্দু মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য।

° জনগণের মধ্যে দেশাত্মবোধ দেশমাতৃকা বোধের জাগরণ ঘটানো ছিল হিন্দু মেলার উদ্দেশ্য।

° এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশীয় সাহিত্য রচনা বা দেশীয় প্রতীক গুলির মর্যাদা দান করা।

° ভারতের বা দেশীয় বিভিন্ন গৌরব বা ঐতিহ্যকে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ায় ছিল হিন্দু মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য।

° বিভিন্ন শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়কে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে তোলার চেষ্টা করা হলো।

Similar questions