Geography, asked by nurnabimohammad88, 8 months ago

জাতীয়তাবাদের উম্মেষে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ​

Answers

Answered by Anonymous
221

Answer:

বাংলা ভাষা আন্দোলন (বাংলা: ভাষা আন্দোলন ভাষা আন্দোলন) পূর্ব পূর্ব বাংলার একটি রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল (১৯৫ in সালে পূর্ব পাকিস্তান নামকরণ করা হয়েছিল এবং ১৯ 1971১ সালে বাংলাদেশ) তত্কালীন পাকিস্তানের আধিপত্যের সরকারী ভাষা হিসাবে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি প্রদানের পক্ষে ছিল। সরকারী বিষয়গুলিতে এর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য, শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে এর ব্যবহারের ধারাবাহিকতা, মিডিয়া, মুদ্রা এবং স্ট্যাম্পগুলিতে এর ব্যবহার এবং বাংলা লিপিতে তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।

১৯৪ in সালে যখন ভারত বিভাগের মাধ্যমে পাকিস্তানের আধিপত্য গঠিত হয়েছিল, তখন এটি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ভাষাতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল, ভৌগোলিক দিক থেকে অবিসংবাদিত পূর্ববাংলা প্রদেশের প্রধানত বাঙালি জনসংখ্যা ছিল। ১৯৪৮ সালে, পাকিস্তানের আধিপত্যবাদ সরকার উর্দুকে একমাত্র জাতীয় ভাষা হিসাবে নিয়োগ দেয়, পূর্ববাংলার বাংলাভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দেয়। নতুন আইনকে কেন্দ্র করে ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও জনগণের অসন্তোষের মুখোমুখি হয়ে সরকার জনসভা ও সমাবেশকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি Dhakaাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মীরা আইনটিকে অমান্য করে এবং একটি বিক্ষোভের আয়োজন করে। এইদিন পুলিশ ছাত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যা করলে এই আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এই মৃত্যুগুলি ব্যাপক নাগরিক অস্থিরতার জন্ম দেয়। বহু বছরের দ্বন্দ্বের পরে, কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৫6 সালে নতুন ভাষায় পুনর্নির্বাচিত হয়েছিল এবং বাংলা ভাষাকে অফিসিয়াল স্ট্যাটাস দেয়।

ভাষা আন্দোলন পূর্ববাংলা এবং পরবর্তী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জাতীয় পরিচয়ের দৃ cat়তা উত্সাহিত করে এবং--দফা আন্দোলন এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন আইন, ১৯৮ including সহ বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অগ্রদূত হয়। বাংলাদেশে , 21 ফেব্রুয়ারি (একুশে ফেব্রুয়ারি) ভাষা আন্দোলন দিবস, জাতীয় ছুটি হিসাবে পালন করা হয়। আন্দোলন ও ক্ষতিগ্রস্থদের স্মরণে Shaheedাকা মেডিকেল কলেজের কাছে শহীদ মিনার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে, ইউনেস্কো 21 ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে, [১] ভাষা আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং বিশ্বজুড়ে মানুষের জাতিগত-ভাষাগত অধিকারকে।

Answered by anindya0570
196

Explanation:

বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি হচ্ছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। স্বাধীন বংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলন সুসংহত হয় এবং অগ্রগতি লাভ করে। ভাষা আন্দোলনের চেতনাই জনগণের মধ্যে পরবর্তীকালে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটায় এবং এর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে।

বাঙালি জনগণের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আকাক্সক্ষাকে হাজারগুণে বাড়িয়ে দেয় এ আন্দোলন। তাই ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির গণচেতনার সর্বপ্রথম বহিঃপ্রকাশ এবং স্বাধিকার আন্দোলনের এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।

জাতীয়তাবাদের উন্মেষে ভাষা আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

সুদীর্ঘ প্রায় দুইশ’ বছর ব্রিটিশদের অপশাসন ও কুশাসনের অবসান ঘটার পর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতীয় উপমহাদেশে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান এবং হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে ভারত গঠিত হলেও শুধু ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়।

তবে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের আদর্শগত কোনো যোগসূত্র ছিল না বললেই চলে। মূল কারণ হিসেবে বলা যায়, উভয় অঞ্চলের মধ্যকার ভাষাগত বিরোধ।

ভাষাগত বিরোধের কারণে বাংলার জনগণ পাকিস্তানের Fundamental Ideology-র সঙ্গে কখনও একাত্মতা অনুভব করতে সক্ষম হয়নি।

এছাড়া পূর্ব বাংলার মানুষের প্রতি নানাভাবে বৈষম্যমূলক নীতি আরোপ করা হয় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে।

মূলত এসব কারণেই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পরেই ভাষা আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় এবং ১৯৪৭ সালের সেপ্টেন্বরে পূর্ব বাংলায় ‘তমুদ্দুন মজলিস’ নামে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।

তমুদ্দুন মজলিসের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন তরুণ অধ্যাপক আবুল কাশেম। আর সেই ভাষা আন্দোলনের প্রভাব বাংলার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রতিটা পরতে পরতে প্রত্যক্ষ করা যায়। যার সার্থক ফসল আজকের এ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

plz mark me as brilliant!

Similar questions