ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে
প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব শিরােনামে একটি প্রবন্ধ লিখ (২০০ শব্দের
মধ্যে)।
অব মেরিন
Answers
Answer:
This is what language?
Cant understand but please mark me as brainliest
Thankss
Answer:
প্রযুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে আজকের এই নগর সভ্যতার দিকে তাকালে আমরা এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষ করতে পারি। এই যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। সমাজের যে স্তরে এখনো বিজ্ঞানের ছোঁয়া লাগেনি সে স্তরে এখনো উন্নতির ছোঁয়া প্রবেশ করতে পারেননি। তাই বলা যায় যে সভ্যতার উন্নয়নের মূলে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
“ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাবহারের ক্ষেত্রসমূহ-
সাম্প্রতিককালে তথ্য প্রযুক্তির যে বিস্ময়কর উন্নতি সাধিত হয়েছে তা প্রযুক্তি বিজ্ঞানেরই অবদান পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে কোন না কোনভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বড় বড় কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ঘুমাতে যাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম থেকে জেগে উঠা পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে আমারা প্রযুক্তির ব্যাবহার করে আসছি। ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাবহারের ক্ষেত্রসমূহ হলঃ
ক) ব্যক্তিগত যোগাযোগ
খ) বিনোদন
গ) জিপিএস
ঘ) কম্পিউটার ব্যবহার করে গান শোনা
ঙ) ই-বুক ব্যবহার করে বই পড়া
চ) কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যোগাযোগ
ছ) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়।
জ) মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যায়।
ঝ) অনলাইন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে ঘরে বসেই চাকরির দরখাস্ত করা যায় এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়।
ঞ) অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরের বাইরে বা স্টেশনে না গিয়েই ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কেনা যায়।
ট) ইন্টারনেটে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার দেওয়া এবং বিল পরিশোধ করা যায়।
কম্পিউটার-নির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে সমগ্র বিশ্বটিই এখন এক বিশাল তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে। নুতন নুতন তথ্যের সমাবেশ ফলে তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কারণ, মানুষের নিজের পক্ষে সব তথ্য মনে রাখা বা হাতের কাছে পাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন ভালো যোগাযোগব্যবস্থা। সম্প্রতি কোভিড-১৯ এর কারনে প্রযুক্তির ব্যাবহার অনেক গুরুত্ব পেয়েছে। মহামারি পরিস্থিতে মানুষ গৃহবন্দি থাকলেও যোগাযোগ থেমে ছিল না। ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যাবহার করে একে অন্নের খবর নিতে পরেছে, অন্যদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরেছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের কোভিড-১৯ এর সম্পর্কে সচেতন করেছে এবং এর থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানিয়েছে|