ভারতিয় উপমহাদেশে বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতা ও রাজবংশ গুলোর তালিকা তৈরিকৃত কর
Answers
Answer:
here is your answer
Explanation:
কালানুসারে ভারত উপমহাদেশের সভভতাগুলোর একটি তালিকা নিচে দেয়া হলোঃ
১. সিন্ধু সভ্যতা (খ্রিষ্টপূর্ব ২৭০০-১৭০০) ভারত উপমহাদেশের প্রথম সভ্যতা।
২. ভারত উপমহাদেশের ২য় নগর সভ্যতা নিদর্শন বগুরার বরেন্দ্র ভূমি মহাস্থানগড়ে এবং নরসিংদীর মধুপুর ভূমি উয়ারি-বটেশ্বরে আবিষ্কৃত হয়েছে।
৩. ভারত উপমহাদেশে সিন্ধু সভ্যতার পরের সভ্যতা হলো আর্য সভ্যতা। আর্য সভ্যতাকে বৈদিক সভ্যতাও বলা হয়। আর্যরা খ্রিষ্টপূর্ব ১৪০০ বা ১৫০০ অব্দে ভারতে আসে।
৪. মহাস্থানগড়ে আবিষ্কৃত প্রাচীন নগরটির নাম ছিল পুন্ড্রনগর। খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকে এটি গড়ে উঠেছিল।
৫. সমসাময়িককালে ভারত উপমহাদেশে ১৬টি বিখ্যাত জনপদের নাম জানা যায়। এ জনপদগুলো ছিল এক একটি প্রথক রাষ্ট্র।
কালানুসারে প্রাচীন রাজবংশগুলোর তালিকা:
মৌর্য সাম্রাজ্যঃ মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত (৩২৪-৩০০ খ্রিষ্টপূর্ব)। তিনি গ্রীকদের বিতারিত করেন। এটি ভারতবর্ষের প্রথম ঐক্যবদ্ধ সাম্রাজ্য।
গুপ্ত যুগঃ আমাদের দেশের বিস্তারিত ইতিহাস জানা যায় গুপ্ত যুগ থেকে। গুপ্তরা মূলত ভারত উপমহাদেশের উত্তর অঞ্চলের শাসক ছিলেন।
গুপ্ত পরবর্তী যুগঃ গুপ্ত শাসনের শেষের দিকে বাংলাদেশ অঞ্চলে কতিপয় শাসকের নাম পাওয়া যায়। শশাঙ্ক তন্মধ্যে অন্যতম।
পাল রাজবংশঃ পাল রাজবংশ (৭৫০-১১৬১ খ্রিষ্টাব্দ) বাংলাদেশের প্রথম দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ। এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল।
কৈবর্ত বিদ্রহঃ ১০৮০ খ্রিষ্টাব্দে দিবা এর নেতৃত্বে কৈবর্ত নামে জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ সফল বিদ্রোহ করে মহীপালকে পরাজিত করে সিংহাসন দখল করে। কৈবর্তের রাজত্ব ছিল স্বল্পস্থায়ী।
সেন রাজবংশঃ পাল রাজা মদনপালের রাজত্তকালে বিজয় সেন ক্ষমতায় আসেন। সেন রাজবংশের শাসনকাল ছিল ১০৯৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১২০৪।