রামায়ণে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে দাবা খেলার স্রষ্টা কে? এই খেলায় বাঙালির সাফল্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
Answers
Answer:
রামায়ণে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে রাবণের স্ত্রী মন্দোদরীই দাবা খেলার স্ষ্টা।
Explanation:
বাংলায় দাবা খেলার সূচনা ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে Calcutta Chess Club গঠনের মধ্য দিয়ে। বিশ্ববিখ্যাত দাবাড়ু জন করেন পৃথিবী জুড়ে দাবার প্রসারে Calcutta Chess Club প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৪৮-১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিখ্যাত দাবাড়ু মহেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে নিয়মিত খেলতেন। ১৯৩০-এ বিশ্ব- চ্যাম্পিয়ন রুশ দাবাড়ু আলেখাইনের কলকাতার খেলায় অংশগ্রহণ দাবা নিয়ে বাঙালির উদ্দীপনা তৈরিতে সাহায্য করে। স্বাধীনতার পরে গড়ে ওঠে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল চেস অ্যাসােসিয়েশন'। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে শুরু হয় রাজ্য দাবা প্রতিযােগিতা। ১৯৬১-তে প্রথমবারের রাজ্য-চ্যাম্পিয়ন হন প্রাণকৃয় কুণ্ড। ১৯৮২-তে বিশ্বের দু নম্বর ভিক্টর কর্শনয়কে হারিয়ে মাত্র ষােলাে বছর বয়সে আলােড়ন তােলেন বাঙালি দাবাড়ু দিব্যেন্দু বড়ুয়া। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য থেকে প্রথম এবং দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার এই দাবাড় অর্জুন পুরস্কার পান। দিব্যেন্দু বড়ুয়ার পরে দাবায় শ্রেষ্ঠ বাঙালি প্রতিভা সূর্যশেখর গাঙ্গুলি। মাত্র ১১ বছর বয়সে একজন গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে তিনি রেকর্ড করেন। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টানা ছয়বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিরল কৃতিত্বের অধিকারী সূর্যশেখর মাত্র উনিশ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার হন। অর্জুন পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি তিনি এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী হন। বাংলা থেকে আরও যাঁরা গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছেন তারা হলেন—সন্দীপন চন্দ (২০০২), নীলােৎপল দাস (২০০৫), দীপ সেনগুপ্ত (২০১০), সপ্তর্ষি রায়চৌধুরী (২০১৩)। দীপ সেনগুপ্ত সম্প্রতি ২০১৪র কমনওয়েলথ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী হয়েছেন।
#SPJ3