গুপ্ত যুগক প্রাচীন ভাৰতৰ সােণালী যুগ’ বুলি কোৱাৰ যথার্থতা বিচাৰ কৰা।
হর্ষবর্ধনৰ ৰাজত্বকাল চমুকৈ বর্ণনা কৰা। প্রাচীন ভাৰতৰ সাহিত্য-সংস্কৃতিৰ ক্ষেত্র
উল্লেখ কৰা।
oo.
(০০
বৰ্ষৰ ইতিহাস (প্রাচীন কালৰ পৰা ১৫২৬ খ্রীষ্টাব্দ)
Answers
Answer:
গুপ্ত যুগকে ভারতের ইতিহাসে সুবর্ণ যুগ বলা হয় কেন ? [Comment on the cultural achievements of the Gupta age (Golden age)]
প্রাচীন ভারতের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ইতিহাসে গুপ্ত রাজাদের শাসনকাল এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় । গ্রিক ইতিহাসে সভ্যতা ও সংস্কৃতির দিক দিয়ে যেমন পেরিক্লিসের যুগকে সুবর্ণযুগ বলা হয় তেমনই ভারত ইতিহাসে গুপ্ত যুগকে সুবর্ণ যুগ বলা হয় । গুপ্ত যুগে ভারত ইতিহাসে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সামগ্রিক উন্নতি দেখা গিয়েছিল, সেদিকে তাকিয়ে বহু ইতিহাসবিদ এই যুগকে সুবর্ণ যুগ বলে অভিহিত করেছেন । সভ্যতা-সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই যুগের সর্বাঙ্গীণ অগ্রগতির কারণ সম্পর্কে ডঃ ভিনসেন্ট স্মিথ -এর মতে, গুপ্ত রাজাদের আমলে সুবর্ণ যুগের উত্থান সম্ভব হয়েছিল বৈদেশিক সভ্যতার সঙ্গে যোগাযোগের ফলে । কিন্তু এই অভিমত সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করা যায় না । বরং বলা যায়, ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতার ফলেই এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছিল । গুপ্ত রাজারা তাদের সামরিক ও রাজনৈতিক প্রতিভাবলে একে একে কুষাণ ও শক রাজ্যগুলি বিলুপ্ত করে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন । এভাবে উত্তর ভারতের রাজনীতির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ঐক্য পুনঃস্থাপিত হবার ফলে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে এক নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার হয় ।