ইলেকট্রন আসক্তি বলতে আপাত দৃষ্টিতে ইলেকট্রনের প্রতি আকর্ষণ বোঝায়। অর্থাৎ মৌলটি অধাতুর মতো আচরণ করে এমনটাই বোঝায়। কোনো মৌল যদি ইলেকট্রন ত্যাগ করে তাহলে তার ইলেকট্রন গ্রহণ করার কথা নয়। কিন্তু তার সত্ত্বেও কোনো মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি বেশি হলে আমরা তার আয়নিকরণ শক্তিও বেশি হতে কেন দেখি?
Answers
Answer:
আপনি প্রশ্নটি লজিকাল ভাবে চিন্তা করেই করেছেন। সুন্দর প্রশ্ন কারণ এই প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে, অনেক ধারণা পরিষ্কার হয়ে যাবে। Thank you for the question.
Explanation:
আপনার চিন্তা ভাবনা প্রাথমিক ভাবে দেখলে ঠিক বলে মনে পারে। কিন্তু আপনি কিছু জিনিস গুলিয়ে ফেলেছেন।
আপনি বলছেন,"ইলেকট্রন আসক্তি বলতে আপাত দৃষ্টিতে ইলেকট্রনের প্রতি আকর্ষণ বোঝায়।"।
না। কথা পুরোপুরি সত্যি না।
এখানে মূল ব্যাপার হলো ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জনের জন্য "কত জুল(J) কাজ" করতে হচ্ছে।
- ইলেকট্রন বর্জন করতে যেমন কাজ হবে (সর্বদা ধনাত্নক+ কাজ)
- ইলেকট্রন গ্রহন করতেও কিন্তু কাজ হবে (ধনাত্নক বা ঋণাত্মক বা (শূন্য হবে শুধু He এর জন্য))
এখন আপনি যদি পর্যায়ের বাম থেকে ডানে যেতে থাকেন, তবে দেখবেন-
- আয়নিকরণ শক্তি বাড়বে
(এটা বোঝাই যাচ্ছে।কারণ নিউক্লিয়াসে ক্রমাগত প্রোটন বাড়ছে, ধনাত্নক আধান বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাইরের স্তরের উপর আকর্ষণও বৃদ্ধি পাবে, ইলেকট্রন সরাতে বেশি কাজ করা লাগবে)
- আবার, ইলেকট্রন আসক্তিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এখন আপনার কথায় ফিরে আসি। আপনি বলেছেন, "কোনো মৌল যদি ইলেকট্রন ত্যাগ করে তাহলে আর ইলেকট্রন গ্রহন করার কথা নয়।"
কথা ঠিক, স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করার কথা নয়।
কিন্তু তারপরও যদি গ্রহন করে, তাহলে কি তার কাজ করতে হবে না?
অবশ্যই করতে হবে। আর সেই কাজ হবে ঋণাত্নক কাজ। (বেশিরভাগ সময়)
পর্যায়ের যত ডানে যেতে থাকবেন, ততই কিন্তু বাধা বাড়বে এবং এর বিরুদ্ধে কাজের মান সাংখ্যিক ভাবে বাড়তে থাকবে। Seems logical..!!?
তাইলে খেয়াল করেন, আয়নিকরণ শক্তি যত বাড়বে, তার সাথে সমানুপাতিক ভাবে ইলেকট্রন গ্রহন করাও কিন্তু কঠিন হয়ে উঠবে। তার মানে এর বিরুদ্ধে বেশি কাজ করা লাগবে, যা হবে ঋণাত্নক কাজ। আর এই বেশি কাজ করা মানেই হলো ইলেকট্রন আসক্তিও বৃদ্ধি পাবে।
এই জন্যই কিন্ত কোনো মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি বেশি হলে, আমরা তার আয়নিকরণ শক্তিও বেশি হতে দেখি।
(কোনো প্রশ্ন থাকলে জানাবেন) ; ধন্যবাদ।