গ্রামের মেলায় সম্পর্কে বন্ধীকে চিঠি
Answers
Answer:
২৩/০৫/২০১৫
প্রিয় ‘প্রান্ত’
আমার অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার একটি চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে তুমি জানতে চেয়েছ কিছুদিন আগে যে বিজ্ঞান মেলা হয়েছিলো আমি সেখানে গিয়েছিলাম কিনা। হ্যা, আমি বিজ্ঞান মেলা দেখতে গিয়েছিলাম। এমনিতেই বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার আমাকে ভীষণ শিহরিত করে আর যেখানে আমার কলেজ অংশগ্রহণ করেছে সেখানে কি আমি আর না গিয়ে থাকতে পারি? তাই বুঝতেই পারছ এ মেলা আমার জন্য কতটা আনন্দের। সেই মেলার কথা জানাতেই আজ তোমার কাছে চিঠি লিখতে বসেছি। মেলার ভিতর প্রবেশ করেই দেখি সে এক বিশাল রমরমা অবস্থা। স্কুল এবং কলেজ নামে দুটো আলাদা বিভাগ খোলা হয়। আমি এতে অংশ না নিলেও আমার বন্ধুরা তিনটি দল হয়ে অংশ নেয়। প্রত্যেকটি দলই বর্তমান বাংলাদেশকে কিভাবে আরো উন্নত আর সমৃদ্ধশালী করা যায় অর্থাৎ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয় নিয়ে হাজির হয়। বিজ্ঞানের অল্পকিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা যে কলাকৌশল দেখিয়েছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। আমাদের বন্ধুরা যেসব আবিষ্কার নিয়ে উপস্থিত হয় তাহলো- সাশ্রয়ী মূল্যে রেফ্রিজারেটর তৈরি, উদ্ভিদ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ভূমিকম্পরোধে অ্যালার্ম তৈরি। অন্যান্য স্কুল কলেজ থেকেও ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা অসাধারণ সব আবিষ্কার নিয়ে হাজির হয়। সেখানে ছিল স্বল্পব্যয়ে সেচব্যবস্থা, ইলেক্ট্রনিক মিউজিক ইত্যাদি বিজ্ঞান মেলাকে আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল করে তুলেছিল। এই মেলা দুইদিন ব্যাপী চলে। শেষ দিনে মাননীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মেলায় প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত থেকে মেলা পরিদর্শন করেন। সব শেষে তিনি ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে নানা দিক নির্দেশনা দিয়ে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এই মেলায় আমাদের কলেজ প্রথম ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে এবং নটরডেম কলেজ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এই মেলার পর আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে নতুন নতুন আবিষ্কার করার এক অভূতপূর্ব সাড়া পড়ে যায়। সত্যি বলতে কি, এ মেলা দেখে বিজ্ঞান জগত ও তার আবিষ্কার আমার জীবনে এনে দিয়েছে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। যাক, আজ আর লিখবনা। তোমার চিঠির অপেক্ষায় থাকলাম। আজ আর নয়। আমি ভালো আছি, তোমার আব্বা-আম্মাকে আমার সালাম দিও।
প্রীতিমুগ্ধ বন্ধু
‘শান্ত’
ডাক টিকিট
প্রেরক
প্রাপক