লক্ষী সাইগল স্মরনীয় কেন
Answers
কর্মজীবন
সিঙ্গাপুরে অবস্থানকালীন সময়ে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু'র ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তিনি দরিদ্র বিশেষতঃ অবিভক্ত ভারতবর্ষ থেকে অভিবাসিত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে একটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। ভারতীয় স্বাধীনতা সংঘে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে ১৯৪২ সালে সিঙ্গাপুরের পতনের ফলে জাপানী বাহিনী সিঙ্গাপুর দখল করে। আহত যুদ্ধবন্দীদের সেবাকালীন তিনি দেখতে পান যে তাদের অনেকেই ভারতীয় স্বাধীনতা সেনাবাহিনী গঠনে বেশ আগ্রহী। সিঙ্গাপুরে তখন অনেক ভারতীয় জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিত্ব হিসেবে কে. পি. কেসভা মেনন, এস. সি. গুহ এবং এন. রাঘবন একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করেন। কিন্তু তাদের নেতৃত্বে গঠিত ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী বা আজাদ হিন্দ ফৌজ দখলকৃত জাপানী সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে কোনরূপ সাহায্য-সহযোগিতা কিংবা অনুমোদন পায়নি।
সুভাষচন্দ্র বসু ২ জুলাই, ১৯৪৩ সালে সিঙ্গাপুর গমন করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নারী রেজিমেন্ট গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন যাতে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীরা অংশগ্রহণ করবে। লক্ষ্মী সেহগাল এ বিষয়টি শোনেন এবং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু'র নারী রেজিমেন্ট গঠনের খসড়া নীতিমালা সম্পর্কে অবগত হন। এ নারী বাহিনীই পরবর্তীকালে ইতিহাস বিখ্যাত ঝাঁসির রাণী বাহিনী নামে পরিচিতি পায়। নেতাজীর উদাত্ত আহ্বানে অনেক নারী বিভিন্ন ব্রিগেডে অংশ নেয়। ডঃ লক্ষ্মী স্বামীনাথনও ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী নামে সারাজীবন পরিচিতি পান।
আজাদ হিন্দ ফৌজ জাপান সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনীর সাথে বার্মা অভিমুখে ডিসেম্বর, ১৯৪৪ সালে রওয়ানা দেয়। কিন্তু মার্চ, ১৯৪৫ সালে প্রবল যুদ্ধে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এরফলে আইএনএ নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেয় যে তাদের বাহিনী ইম্ফলে প্রবেশ করবে। ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী মে, ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এবং মার্চ, ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত বার্মায় কারাগারে আটক ছিলেন। দিল্লীতে আইএনএ সদস্যদের বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন তিনি অবিভক্ত ভারতে ফিরে আসেন।
দেহাবসান
১৯ জুলাই, ২০১২ সালে ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সেহগাল হৃদযন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত হন। অতঃপর ৯৭ বছর বয়সে ২৩ জুলাই, ২০১২ তারিখে ১১:২০ ঘটিকায় কানপুরে মৃত্যুবরণ করেন। কানপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রয়োজনে তাঁর দেহ দান করা হয়।
Answer:
বাংলাদেশের সংকটের সময়, তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা শরণার্থীদের জন্য কলকাতায় ত্রাণ শিবির এবং চিকিৎসা সহায়তার আয়োজন করেছিলেন। তিনি 1981 সালে অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক উইমেনস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং এর অনেক কার্যক্রম ও প্রচারণার নেতৃত্ব দেন।
Explanation:
লক্ষ্মী সেহগাল 1914 সালে একটি ঐতিহ্যবাহী তামিল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার প্রথম দেশপ্রেমের পাঠ পেয়েছিলেন তার মায়ের কাছ থেকে যিনি নিজে কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। তিনি মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজ থেকে মেডিসিনে তার ডিগ্রী সম্পন্ন করেন এবং ডাক্তার হিসাবে ক্যারিয়ারের জন্য সিঙ্গাপুরে যান, তবে তার জন্য খুব ভিন্ন কিছু অপেক্ষা করছিল।
সে সময় সিঙ্গাপুর ব্রিটিশ শাসিত ছিল এবং জাপানিরা দেশটিতে আক্রমণ করলে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হয়। হাজার হাজার ভারতীয়কে বন্দী করা হয়। এই মুহুর্তে, নেতাজি ভারতীয় বন্দীদের আইএনএ-তে যোগ দিতে এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। লক্ষ্মী তাদের একজন ছিলেন এবং নেতাজি তার সাহস দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং তাকে রানি ঝাঁসি রেজিমেন্টের নেতৃত্ব দিতে বলেছিলেন। তিনি বার্মার জঙ্গলে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বাঘের মতো লড়াই করেছিলেন।
#SPJ2