Question

A personal educational story with a moral on one's own experience in Bengali.​

Answer 1

Wow you are Bengali but I'm not bengali so sorry....

Answer 2

The Emperor and the Seed

অনেক অনেক দিন আগের কথা।
জনৈক রাজা বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুঝতে পারলেন যে নতুন একজন রাজা নির্বাচন করার সময় চলে এসেছে। নিজের সন্তানদের মধ্যে কাউকে নতুন রাজা নির্বাচন করার পরিবর্তে তিনি অন্য কিছু চিন্তা করলেন এবং রাজ্যের সকল যুবকদের একসঙ্গে ডেকে পাঠালেন।
সবাই একসাথে জড়ো হওয়ার পর রাজা বললেন- আমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে এবং অন্য কারো হাতে যাবতীয় দায়িত্ব সমর্পন করার সময় হয়েছে। আমি তোমাদের মধ্যে কেউ একজনের হাতে রাজ্যের সকল দায়িত্ব সমর্পন করতে চাই।
যুবকদের মধ্যে একধরনের ভয় এবং উত্তেজনা বিরাজ করতে লাগলো।
রাজা বলতে থাকলেন- আমি তোমাদের সবাইকে একটি করে বীজ দেবো, আমি চাই তোমরা তা রোপন করবে, যত্ন নেবে এবং ঠিক এক বছর পর তোমরা গাছটি নিয়ে ফিরে আসবে।
অনেক অনেক দিন আগের কথা।
জনৈক রাজা বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুঝতে পারলেন যে নতুন একজন রাজা নির্বাচন করার সময় চলে এসেছে। নিজের সন্তানদের মধ্যে কাউকে নতুন রাজা নির্বাচন করার পরিবর্তে তিনি অন্য কিছু চিন্তা করলেন এবং রাজ্যের সকল যুবকদের একসঙ্গে ডেকে পাঠালেন।
সবাই একসাথে জড়ো হওয়ার পর রাজা বললেন- আমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে এবং অন্য কারো হাতে যাবতীয় দায়িত্ব সমর্পন করার সময় হয়েছে। আমি তোমাদের মধ্যে কেউ একজনের হাতে রাজ্যের সকল দায়িত্ব সমর্পন করতে চাই।
যুবকদের মধ্যে একধরনের ভয় এবং উত্তেজনা বিরাজ করতে লাগলো।
রাজা বলতে থাকলেন- আমি তোমাদের সবাইকে একটি করে বীজ দেবো, আমি চাই তোমরা তা রোপন করবে, যত্ন নেবে এবং ঠিক এক বছর পর তোমরা গাছটি নিয়ে ফিরে আসবে।
লিং নামের এক যুবকও ওইদিন ওইখানে উপস্থিত ছিলো এবং যথারীতি সেও একখানা বীজ পেলো।
বাসায় ফিরে সে তার মাকে বীজটি দেখালো এবং সব খুলে বললো। সবকিছু শুনে তার মা তাকে বীজ রোপন এবং যত্নে সাহায্য করতে লাগলো।
কয়েক সপ্তাহ পরে অন্য সব যুবকেরা বলতে লাগলো যে তাদের বীজ থেকে চারা বের হচ্ছে। কিন্তু লিং তার বীজ থেকে তেমন কিছুই বের হতে দেখলো না।
তবুও সে আশা ছাড়লো না এবং নিয়মিত গাছের যত্ন ও প্রতিদিন পরীক্ষা করতে লাগলো যদি কোন চারা বের হওয়ার আভাস দেখা যায়!
ছয় মাস পার হয়ে যাওয়ার পর সকলে তাদের গাছ নিয়ে আলোচনা করতে লাগলো কিন্তু লিং এখনও পর্যন্ত কিছুই পায়নি। নিজেকে পরাজিত এবং অকর্মা মনে করতে লাগলো সে।
দেখতে দেখতে এক বছর অতিবাহিত হয়ে গেলো, রাজার সাথে দেখা করার সময় চলে আসলো। লিং তার মাকে জানালো যে সে রাজার সামনে যেতে পারবেনা কারণ সে কিছুই করে দেখাতে পারেনি। তার মা তাকে বলল- তবুও তুমি রাজার সামনে যাবে এবং সত্য কথা স্বীকার করবে।
অবশেষে সবাই রাজ দরবারে রাজার সামনে হাজির হলো। অনেকেই লিং কে উপহাস করতে লাগলো। তার অপারগতার জন্য তাকে নিয়ে ঠাট্টা করতে লাগলো।
লিং তার বীজের টবটা নিয়ে রাজ দরবারের এক কোণায় অপেক্ষা করতে লাগলো।
রাজা এসে বললেন- তোমরা অনেক কষ্টে বীজ রোপন এবং পালন করেছো। আজ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ একজনকে পরবর্তী রাজা হিসাবে নির্বাচন করা হবে।
হঠাৎ করেই রাজার চোখ পড়ল লিং এর দিকে, তিনি দেখলেন ছেলেটি খালি টব হাতে দাঁড়িয়ে আছে। রাজা তাকে সম্মুখে আসার জন্য বললেন।
লিং ভয়ে ভয়ে সামনে এসে দাড়ালে রাজা বললেন- একবছর আগে আমি তোমাদেরকে একটি করে বীজ দিয়েছিলাম আর বলেছিলাম বীজটা রোপন ও যত্ন করে একবছর পর আমার কাছে আসতে, আমি তোমাদের মধ্যে থেকে কেউ একজনকে পরবর্তী রাজা নির্বাচন করবো।
আমি আমার কথা রাখবো, তোমাদের পরবর্তী রাজা হচ্ছে লিং…
এই কথা শুনে সবাই অবাক, লিং নিজেও অবাক কারণ তার বীজ থেকে গাছতো দূরের কথা চারাও বের হয়নি।
রাজা বলতে থাকলেন- আমি তোমাদের সবাইকে সিদ্ধ করা বীজ দিয়েছিলাম যা থেকে চারা বের হওয়া অসম্ভব। আর তোমরা লোভের বশবর্তী হয়ে আমাকে খুশি করার জন্য অন্য বীজ রোপন করে আজ আমাকে গাছ উপহার দিয়েছো। শুধুমাত্র লিং তার সততা দেখিয়েছে। আর তাই তাকেই পরবর্তী রাজা নির্বাচিত করা হলো।