India Languages, asked by singh2020, 9 months ago

Article on "Corona Virus" in Bengali...
Don't spam otherwise I'll report u....​

Answers

Answered by durba39
2

করোনাভাইরাস বলতে ভাইরাসের একটি শ্রেণিকে বোঝায় যেগুলি স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদেরকে আক্রান্ত করে। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শ্বাসনালীর সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের লক্ষণ মৃদু হতে পারে, অনেকসময় যা সাধারণ সর্দিকাশির ন্যায় মনে হয় (এছাড়া অন্য কিছুও হতে পারে, যেমন রাইনোভাইরাস), কিছু ক্ষেত্রে তা অন্যান্য মারাত্মক ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে, যেমন সার্স, মার্স এবং কোভিড-১৯। অন্যান্য প্রজাতিতে এই লক্ষণের তারতম্য দেখা যায়। যেমন মুরগির মধ্যে এটা উর্ধ্ব শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়, আবার গরু ও শূকরে এটি ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। মানবদেহে সৃষ্ট করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর মত কোনো টিকা বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আজও আবিষ্কৃত হয়নি। তবে বৃটেন একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে।

করোনাভাইরাস রাইবোভিরিয়া পর্বের নিদুভাইরাস বর্গের করোনাভিরিডি গোত্রের অর্থোকরোনাভিরিন্যা উপ-গোত্রের সদস্য।[১][২] তারা পজিটিভ সেন্স একক সূত্রবিশিষ্ট আবরণীবদ্ধ বা এনভেলপড ভাইরাস। তাদের নিউক্লিওক্যাপসিড সর্পিলাকৃতির। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৭ থেকে ৩৪ কিলো বেস-পেয়ার (kilo base-pair) এর মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ।[৩] করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন ভাষার করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ "মুকুট"। কারণ দ্বিমাত্রিক সঞ্চালন ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটির আবরণ থেকে গদা-আকৃতির প্রোটিনের কাঁটাগুলির কারণে এটিকে অনেকটা মুকুট বা সৌর করোনার মত দেখায়। ভাইরাসের উপরিভাগ প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রমিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে। ভাইরাসটি ডাইমরফিজম রূপ প্রকাশ করে। ধারনা করা হয়, প্রাণীর দেহ থেকে এই ভাইরাস প্রথম মানবদেহে প্রবেশ করে।

করোনাভাইরাস ১৯৩০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দি-হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এরকম দুই ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাস দুটি ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ই’ এবং ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ওসি৪৩’ নামে নামকরণ করা হয়। তবে অনেকের সন্দেহ যে এই ভাইরাসটি চীন সরকার তার দেশের গরিব জনগনকে শেষ করে দেওয়ার জন্য নিজেরাই তৈরি করে নিজেরাই ছড়িয়ে ছিলো।[৪] এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ভাইরাসটির আরো বেশ কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে ‘এসএআরএস-সিওভি’, ২০০৪ সালে ‘এইচসিওভি এনএল৬৩’, ২০০৫ সালে ‘এইচকেইউ১’, ২০১২ সালে ‘এমইআরএস-সিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে এসএআরএস-সিওভি-২’ পাওয়া যায়(যা বর্তমানে সাধারণত নোভেল করোনাভাইরাস নামেই পরিচিত। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ সম্পাদনা

জ্বর

অবসাদ

শুষ্ক কাশি

বমি হওয়া

শ্বাসকষ্ট

গলা ব্যাথা

অঙ্গ বিকল হওয়া

মাথা ব্যাথা

পেটের সমস্যা

মুখ ও নাকের স্বাধ হারিয়ে যাওয়া

পায়ের পাতায় র্যাস হওয়া

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রামণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামকরণ করে। ২০২০ সালের ১৪ই মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ২১৩টিরও বেশি দেশ ও অধীনস্থ অঞ্চলে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার-এরও বেশি ব্যক্তি করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন বলে সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। বর্তমানে ৩ লাখের বেশী ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে এবং ১৬ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে।

উহানে দেখা দেওয়া ভাইরাস প্রজাতিটি ‘এসএআরএস-সিওভি’ প্রজাতির সাথে ~৭০% জিনগত মিল পাওয়া যায়।[৭] অনেকেই অনুমান করছেন নতুন এ প্রজাতিটি সাপ অথবা বাদুড় থেকে এসেছে যদিও অনেক গবেষক এ মতের বিরোধীতা করেন।[

ক্ষতির সম্ভাবনার দিক থেকে করোনাভাইরাস বেশ বৈচিত্র্যময়। কিছু প্রকরণ আক্রান্তের ৩০%-এরও বেশিকে মেরে ফেলে (যেমন মার্স-কোভ), কিছু প্রকরণ মোটামুটি নিরীহ, যেমন সাধারণ ঠাণ্ডা।[২১] করোনাভাইরাস ঠাণ্ডার পাশাপাশি বড় ধরনের কিছু উপসর্গ সৃষ্টি করে, যেমন জ্বর, ফুলে যাওয়া অ্যাডিনয়েডের ফলে গলা ব্যথা। এগুলো সাধারণত শীতকালে এবং বসন্ত ঋতুর শুরুর দিকে হয়।[৪০] করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া ঘটাতে পারে (সরাসরিভাবে ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া) এবং ব্রঙ্কাইটিসের (সরাসরিভাবে ভাইরাসজনিত ব্রঙ্কাইটিস অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্রঙ্কাইটিস) মাধ্যমে।[৪১] ২০০৩ সালে সার্স-কোভি ছড়ানোর পর থেকে করোনাভাইরাস পরিচিতি পায়। এই ভাইরাস একইসাথে সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) এবং উর্ধ্ব এবং নিম্ন শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়।[৪১]

মানব করোনাভাইরাসের নিম্নলিখিত প্রকরণ আবিষ্কৃত হয়েছে:

মানব করোনাভাইরাস ২২৯ই (এইচকোভি-২২৯ই)

মানব করোনাভাইরাস ওসি৪৩ (এইচকোভি-ওসি৪৩)

মানব করোনাভাইরাস এনএল৬৩ (এইচকোভি-এনএল৬৩, নিউ হ্যাভেন করোনাভাইরাস)

মানব করোনাভাইরাস এইচকেইউ১

এবং নিচের তিনটি, সাধারণত মারাত্মক হয়ে থাকে:

সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স-কোভি বা সার্স ক্ল্যাসিক)

মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম-সম্পর্কিত করোনাভাইরাস (মার্স-কোভি), পূর্বে “নোভেল করোনাভাইরাস ২০১২” এবং “এইচকোভি-ইএমসি” হিসেবে পরিচিত ছিল

সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস ২ (সার্স-কোভি-২), পূর্বে “২০১৯-কোভি” বা “নোভেল করোনাভাইরাস ২০১৯” হিসেবে পরিচিত ছিল

করোনাভাইরাস এইচকোভি-২২৯ই, -এনএল৬৩, -ওসি৪৩ এবং -এইচকেইউআই মানুষের মধ্যে ক্রমাগত ছড়ায় এবং বিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের শ্বসনতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়

Similar questions