Class -9 chapter name -ধীবর বৃত্তান্ত
প্রশ্ন :'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে দুই রক্ষীর কথাবার্তায় সমাজের কোন ছবি ফুটে উঠেছে?
Answers
Answer:
Answer:সংস্কৃত সাহিত্যের সর্বাধিক প্রজ্বলিত নক্ষত্র মহাকবি কালিদাস । তাঁর অসংখ্য সৃস্টি সম্ভারের মধ্যে ' অভিজ্ঞানম শকুন্তলম ' একটি উজ্জ্বল উদ্ধার । এই নাটকের ষষ্ট অঙ্ক থেকে নেওয়া ধীবর বৃত্তান্ত নামক অংশটি ।আমাদের আলোচনার প্রেক্ষিত ধীবরের চারিত্রিক ঘূর্ণনের বর্ণনা । নাটকের অংশটি গভীর অভিনিবেশে পাঠ করলে ধীবর চরিত্রের বিশেষ কয়েকটি দিক আমাদের চাক্ষুস হয় । তাঁর চরিত্রের একটি প্রধান দিক হল সততা । গরীব হলেও আংটি পাওয়ার পরও সে ছলনার আশ্রয় নেয়নি । রাজার শ্যালক এবং রক্ষীদের মিথ্যা বলে সে বিপথে চলাতে পারতো । তা না করে সে সত্যবাক্য বলে গেছে প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত । একই সঙ্গে সে স্পষ্টভাষীও বটে । রাজকর্মচারীরা তাকে রাজদরবারে ধরে নিয়ে যাবার পর নানান জিজ্ঞাসাবাদেও সে বিচলিত হয়নি.
[good morning ❤✌❤]
[hope it's help☺]
Answer: প্রশ্ন : 'ধীবর-বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে দুই রক্ষীর কথাবার্তায় সমাজের কোন ছবি ফুটে উঠেছে তা লেখ
Explanation:উঃ- 'ধীবর-বৃত্তান্ত' নাট্যাংশটি মহাকবি কালিদাসের লেখা 'অভিজ্ঞান শকুন্তলম' নামক সংস্কৃত নাট্যকাব্য থেকে নেওয়া হয়েছে । নাট্যাংশে দেখা যায় যে, ধীবরের কাছ থেকে রাজা দুষ্মন্তের নাম খোদাই করা আংটি পাওয়া গেছে । এজন্য রক্ষীরা ধীবরকে চোর ভেবে ধরে নিয়ে রাজার কাছে গেছে । এই সময় তারা ধীবরকে চোর ভেবে নানান অকথা কুকথা বলে গালিগালাজ করে । তারা ধীবরকে 'গোসাপ খাওয়া জেলে' বলেছে । এর গায়ে থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে । জেলেকে ছোটলোক, বদ, বাটপার চোর বলে অপবাদ দিয়েছে ।
দুই রক্ষীর কথোপকথন থেকে তৎকালীন সামাজিক অবস্থার কিছু ছবি এখানে ফুটে উঠেছে । সমাজে জাতপাতের বিভেদ, অর্থনৈতিক বিভেদের ছবি বেশ প্রকট ছিল । জেলেরা নিম্নবিত্ত শ্রেণির লোক বলে তারা এদের দ্বারা নিপীড়িত হত— সে ছবি বেশ স্পষ্টভাবে বোঝা যায় । দুই রক্ষীর কথাবার্তা থেকে বোঝা যায় যে, উচ্চবর্ণের মানুষ নিম্নবর্ণের উপর সর্বদা অবজ্ঞা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত এবং বিনা কারণে তাদের উপর উৎপীড়ন চালাত । তবে নগররক্ষক রাজশ্যালকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি কিন্তু ধীবরের কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন এবং রাজার আদেশের জন্য অপেক্ষা করেছেন । রাজ আদেশ পাওয়া মাত্র ধীবরকে একজন বন্ধু বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ।
#SPJ3