ক ক) মাৎস্যন্যায় :<br />খ) ব্ৰত্মদেয় :<br />গ) খিলাফত
Answers
Answer:
মাৎস্যন্যায়:-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর প্রায় ১১৩ বছর বাংলা দেশে ঘাের অরাজকতা , অনৈক্য , আত্মকলহ ও বহিঃশত্রুর ক্রমাগত আক্রমণ চলতে থাকে । সেই সময় বাংলার রাজতন্ত্র প্রায় ধ্বংস হয়ে যায় । শশাঙ্ক উত্তর ও পশ্চিম বাংলায় এক সার্বভৌম রাজশক্তি স্থাপন করেন । কিন্তু তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে বাংলার দুই অঞ্চল পুনরায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে । ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলা পরিভ্রমণকালে চারটি স্বাধীন রাজ্যের উল্লেখ করেছেন , যথা — পুণ্ড্রবর্ধন ( উত্তরবঙ্গ ) , কর্ণসুবর্ণ ( পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল ) , সমতট ( দক্ষিণ - পূর্ববঙ্গ ) ও তাম্রলিপ্ত ( তমলুক ) । কোনাে সার্বভৌম রাজশক্তি না থাকায় এই সমস্ত রাজ্যের মধ্যে প্রায়ই সংঘাত ও সংঘর্ষ বাধত । বৌদ্ধগ্রন্থ ‘ আর্যমঞ্জুশ্রী মূলকল্প ’ থেকে বাংলার রাজাদের দুর্দশার কথা জানা যায় ।…
পুকুরের বড়াে মাছ যেমন ছােটো মাছকে নির্বিচারে গিলে ফেলে , তেমনি অরাজকতার সুযােগে বাংলা দেশে সবলেরা দুর্বলের ওপর যথেচ্ছ শােষণ চালাত । তাই সমকালীন পুথিতে ওই সময়কে ‘ মাৎস্যন্যায় ’ বলা হয়েছে ।
ব্রহ্মদেয় বা, অগ্রহার ব্যবস্থা–
ইতিহাসবিদ ডঃ রামশরণ শর্মা দেখিয়েছেন যে, ভারতে খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকের পরবর্তীকালে পুণ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মন ও ধর্মপ্রতিষ্ঠানে নিস্কর জমি দান করার প্রথা চালু হয়। এই প্রথা অগ্রহার বা ব্রহ্মদেয় নামে পরিচিত। এই প্রথার মাধ্যমে জমির প্রাপক যে জমি লাভ করত সে জমির যাবতীয় অধিকর তার হাতে চলে যেত। ফলে জমির প্রাপকের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তিনি ভূস্বামীতে পরিণত হন। তার প্রাপ্ত জমিতে বসবাসকারী কৃষকরা তার প্রজায় পরিণত হন এবং তাদের ওপর প্রভূর শোষণ চলতে থাকে। এভাবে সামন্ততন্ত্রের উত্থানের পথ প্রশস্ত হয়।
খিলাফত আন্দোলন-
খিলাফত আন্দোলন যা ভারতীয় মুসলিম আন্দোলন (১৯১৯-১৯২৪) নামেও পরিচিত, ইসলামী খেলাফত পুনরুদ্ধার করতে ব্রিটিশ ভারতের মুসলমানরা শওকত আলী, মোহাম্মদ আলী জওহর ও আবুল কালাম আজাদ নেতৃত্বে পরিচালিত একটি সর্ব-ইসলামবাদ রাজনৈতিক প্রতিবাদ অভিযান করে। যেখানে উসমানীয় খিলাফতের একজন যিনি সুন্নি মুসলমানদের নেতা হিসাবে কার্যকর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব হিসাবে বিবেচিত ছিলেন। এটি সাভ্রেস চুক্তির মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে খলিফা এবং অটোমান সাম্রাজ্যের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ ছিল।
১৯২২ সালের শেষদিকে তুরস্ক আরও অনুকূল কূটনৈতিক অবস্থান অর্জন করে এবং ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে অগ্রসর হলে এই আন্দোলন ভেঙে যায়। ১৯২৪ সালের মধ্যে তুরস্ক খলিফার ভূমিকা কেবল বাতিল করে দিয়েছিল।