নির্জন বাড়িতে একাকী একদিন |
Write a Paragraph On this Topic within 250 words. Pls Help.
Answers
Answer:
ভূমিকা
বহমান নদীর মত সময়ের বাধা চলিষ্ণু। সকাল হয়, দুপুর বিকালের পাট চুকিয়ে সন্ধ্যা নামে। রাতের কালো পর্দাখানা সরিয়ে ভোরের হাত ধরে আবার সকাল আসে। এভাবে নিরবধি মহাকালের ধারা বয়ে চলে। নিত্যকার গতানুগতিক জীবন যাত্রার প্রতিদিনকার এরকম বিভিন্ন কাল পর্বগুলো কেবল ছায়া ফেলে যায় চলমান ছবির মত। মনের সিলেটে চক খড়ির তেমন কিছু আঁচড় কাটে না। তারই মাঝে টুক করে কখন কোন কালপর্ব স্মরণীয় হয়ে স্মৃতিতে মোটা রেখার স্বাক্ষর রাখে, তা আগে থেকে আঁচ করা দূর্ভার।এভাবে একটি নির্জন দুপুরে স্মৃতি আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা হয়ে আছে, যার কথা বলার জন্যই প্রবন্ধের এই মুখবন্ধ।
নির্জন দুপুরের ছবি:-
সেটা ছিল ঠা-ঠা রোদে পোড়া বৈশাখের এক নির্জন দুপুর। মাথার উপর জলন্ত সূর্য। অগ্নিখরা রোদে পুড়ছে মাঠ-ঘাট সর্বত্র। শত দীর্ণ মৃত্তিকার বুক থেকে উঠছে যেন তাপ দগ্ধ ধরিত্রীর দীর্ঘশ্বাস। তাপদাহের দাপট থেকে পরিত্রান পাওয়ার উদ্দেশ্যে মানুষজন নিয়েছে নিজ নিজ আলয়ে আশ্রয়।
স্বাভাবিকভাবে আমিও আশ্রয় নিয়েছি নিজের শোয়ার ঘরে। শরীরটা বিছানায় আধশোয়া। চোখের সামনে জানালার কপাট আধখোলা। তারই ফাঁক দিয়ে ক্যামেরায় চোখ রাখা দৃশ্যমান ছবির মতো ধরা পড়েছে বিস্তীর্ণ জনপদ, মাঠ ঘাট ,নদী প্রান্তর। পথঘাট একেবারে জনহীন। শস্যহীন মাঠ ধুধু করছে। গাছ গাছালি যা কিছু চোখে পড়ছে সবই যেন স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে দুঃখ কষ্ট ও যন্ত্রণা সারা শরীরে নিয়ে কি যেন কঠোর তপশ্চর্যার কঠিন পরীক্ষা দিয়ে চলেছে। পাখির কলকাকলি ও কানে আসছে না। হয় তারা পাতার ছায়ায় গা ঢেকেছে নয়তো নিজ নিজ নীড়ে বসে বিকেলের প্রতীক্ষায় প্রতিটি মুহূর্ত গণনা করে চলেছে। কেবল চাতক কাতর গলায় এক ফোঁটা জলের কামনায় রোদেপোড়া আকাশের তলে বৃথাযই উড়ে বেড়াচ্ছে।
Answer:
ভূমিকা
বহমান নদীর মত সময়ের বাধা চলিষ্ণু। সকাল হয়, দুপুর বিকালের পাট চুকিয়ে সন্ধ্যা নামে। রাতের কালো পর্দাখানা সরিয়ে ভোরের হাত ধরে আবার সকাল আসে। এভাবে নিরবধি মহাকালের ধারা বয়ে চলে। নিত্যকার গতানুগতিক জীবন যাত্রার প্রতিদিনকার এরকম বিভিন্ন কাল পর্বগুলো কেবল ছায়া ফেলে যায় চলমান ছবির মত। মনের সিলেটে চক খড়ির তেমন কিছু আঁচড় কাটে না। তারই মাঝে টুক করে কখন কোন কালপর্ব স্মরণীয় হয়ে স্মৃতিতে মোটা রেখার স্বাক্ষর রাখে, তা আগে থেকে আঁচ করা দূর্ভার।এভাবে একটি নির্জন দুপুরে স্মৃতি আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা হয়ে আছে, যার কথা বলার জন্যই প্রবন্ধের এই মুখবন্ধ।
নির্জন দুপুরের ছবি:-
সেটা ছিল ঠা-ঠা রোদে পোড়া বৈশাখের এক নির্জন দুপুর। মাথার উপর জলন্ত সূর্য। অগ্নিখরা রোদে পুড়ছে মাঠ-ঘাট সর্বত্র। শত দীর্ণ মৃত্তিকার বুক থেকে উঠছে যেন তাপ দগ্ধ ধরিত্রীর দীর্ঘশ্বাস। তাপদাহের দাপট থেকে পরিত্রান পাওয়ার উদ্দেশ্যে মানুষজন নিয়েছে নিজ নিজ আলয়ে আশ্রয়।
স্বাভাবিকভাবে আমিও আশ্রয় নিয়েছি নিজের শোয়ার ঘরে। শরীরটা বিছানায় আধশোয়া। চোখের সামনে জানালার কপাট আধখোলা। তারই ফাঁক দিয়ে ক্যামেরায় চোখ রাখা দৃশ্যমান ছবির মতো ধরা পড়েছে বিস্তীর্ণ জনপদ, মাঠ ঘাট ,নদী প্রান্তর। পথঘাট একেবারে জনহীন। শস্যহীন মাঠ ধুধু করছে। গাছ গাছালি যা কিছু চোখে পড়ছে সবই যেন স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে দুঃখ কষ্ট ও যন্ত্রণা সারা শরীরে নিয়ে কি যেন কঠোর তপশ্চর্যার কঠিন পরীক্ষা দিয়ে চলেছে। পাখির কলকাকলি ও কানে আসছে না। হয় তারা পাতার ছায়ায় গা ঢেকেছে নয়তো নিজ নিজ নীড়ে বসে বিকেলের প্রতীক্ষায় প্রতিটি মুহূর্ত গণনা করে চলেছে। কেবল চাতক কাতর গলায় এক ফোঁটা জলের কামনায় রোদেপোড়া আকাশের তলে বৃথাযই উড়ে বেড়াচ্ছে।
Explanation: